পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আততায়ী তেজ নাই, শুধু আছে একটা অস্বাভাবিক ভোতা আনন্দের অফুরন্ত टcखडन । দিবাকরের আদর পিসীর কাছে দিন দিন বাড়িতে লাগিল । মানুষ কি সব সময় মনে রাখিতে পারে মুখপোড়া কাণ ছেলেটাই তার দাদার ছেলে আর অন্য ছেলেটা তার কেউ নয় এবং কথাটা মনে রাখিয়া পরের যে ছেলেটাকে দেখিয়া বাৎসল্য উথলিয় ওঠে তার বদলে সর্বদা আদর করিতে পারে দাদার ছেলেকে ? সুতরাং পিসীর কোন Cलाव नाई । পিসী যে দিবাকরকে ভালবাসিয়াছে, কৃত্তিবাস তাতেই যেন কৃতাৰ্থ হইয়া গেল। তা ছাড়া, দিবাকরের আদর বাড়িয়াছে বলিয়া কৃত্তিবাসের অনাদর তো বাড়ে নাই, পিসীর কাছে কৃত্তিবাস তাতেই খুলী হইয়া রহিল। এখানে কেউ যে তাকে খোচায় না, গাল দেয় না, অভিশাপ দেওয়ার মত তার কথা আলোচনা করে না, তাই যথেষ্ট । কঁাটার বিছানা হইতে তুলিয়া ছেড়া কম্বলে শোয়াইয়া দিলেই ছোট ছেলে আরাম পায়, গদিতে গড়ানোর সুখে বঞ্চিত হওয়ার অভিমানে হয়তো কদাচিৎ ছেড়া কম্বলে মুখ গুজিয়া একটু কঁাদে, তাও অল্পক্ষণের 商吸1 এমনিভাবে দিন কাটিতে লাগিল। দিবাকর ও কৃত্তিবাসের বাড়ী হইতে মাঝে মাঝে তাগিদ আসিতে লাগিল, কিছুদিনের জন্য বাড়ী যাইতে । মা নাকি তাদের বড় কঁাদে। দিবাকরকে বাড়ী যাইতে দিতে পিসীর বড়ই অনিচ্ছা দেখা গেল। তোর গিয়ে কাজ নেই, বাড়ী গেলেই ফের তোকে ম্যালেরিয়া ধরবে। বাসু, যদি যায় তো যাক দু’দশদিনের জন্য। কিন্তু বাড়ী যাইতে কৃত্তিবাসের কিছুমাত্র আগ্ৰহ দেখা গেল না। (في صر