পাতা:সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা-বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা.pdf/২৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মোহন বিদ্যা কঠিন হইবে ; সুতরাং এই বিষয়ে সে খুব বিবেচনার সহিত কাৰ্য্য করিবে। উপযুক্ত সংবেদনার অভাবে সকল লোককে মোহিত করা যায় না এবং যাহারা সংবেদ্য তাহারাও রুগ্ন হইলে, অনেক সময় রোগ যন্ত্রণার জন্ত মন স্থির করিতে পারেন। বলিয়া মোহিত হয়না । আবার যাহার মোহিত হয়, তাহারাও সকলেই গভীর নিদ্রায় অভিভূত হয়না, এজন্ত সম্মোহন আদেশ তাঁহাদের উপর তেমন কাৰ্য্যকর হয়না । ইহা যে এই বিজ্ঞানের অক্ষমতা তাহ অবশু স্বীকার্য্য। এতদ্ব্যতীত আরও কতকগুলি কারণ বৰ্ত্তমান আছে, যেজন্ত জন সাধারণের মধ্যে এই চিকিৎসার তাদৃশ প্রসার হইতে পারিতেছেন। সময় সময় ডাক্তার কবিরাজগণের পরিত্যক্ত কঠিন রোগীরাও এই চিকিৎসার আশ্রয় গ্রহণ করিয়া সন্তই রোগ মুক্ত হইবার আশা করে। যদি তাহারা দুই-চার দিনের মধ্যে আরোগ্য না হয়, কিম্ব বিশেষ রকমের একটা উপশম বোধ ন করে, তবে তাহার। ইহার প্রতি বিশ্বাসহীন হয় এবং ইহা কিছুই নয়' বলিয়া লোকের নিকট নানা প্রকার মন্তব্য প্রকাশ করিয়া থাকে। তাহাদের রোগ যে অত্যন্ত জটিল এবং তাহ আরোগ্যের জন্য যে উপযুক্ত কাল চিকিৎসার প্রয়োজন, ইহা তাহারা বুঝিয়াও যেন বুঝেনা। এই চিকিৎসায় আমি নিজে যে সকল ক্ষেত্রে অকৃতকার্য হইয়াছি, সেই সকল স্থানে রোগীদিগের অসহিষ্ণুতাই উহার প্রধান কারণ। যদি তাহার রোগের গুরুত্ব ও স্থায়িত্ব বিবেচনা পূৰ্ব্বক ধৈর্য্যাবলম্বন করিয়া উপযুক্ত কাল অীমার চিকিৎসাধীনে থাকিত তবে যে, তাদের অনেকেই আরোগ্য লাভ করিতে পরিত, তাহাতে সন্দেহ নাই। আবার এক শ্রেণীর চিকিৎসক আছেন, তাহারা এই চিকিৎসার বিরোধী।" ইহার প্রতি Հե'Ն