পাতা:সম্রাট্‌ ও সম্রাট্‌-মহিষীর ভারত পরিদর্শন - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-পরিদর্শন । See) প্ৰথমে স্থির হইয়াছিল যে প্ৰায় ৮০ হাজার সৈন্য দিল্লীতে আনয়ন করা হইবে। কিন্তু উত্তরভারতে অনাবৃষ্টিনিবন্ধন দুৰ্ভিক্ষ হওয়ায় এ কল্পনা কার্ঘ্যে পরিণত হয় নাই। অবশেষে ৫০ হাজার সৈন্য দিল্লীতে সমবেত হইয়াছিল । দরবার কমিটির সামরিক সভ্যোর নেতৃত্বে একটি বিশেষ সমিতি গঠিত হইয়াছিল। সৈন্যবিষয়ক সমস্ত প্ৰশ্ন-সমাধানের ভার তঁহাদের উপর ছিল। এসিসটাণ্ট কোয়াটারমাষ্টার জেনারাল মেজর ডবলিউ, বি, জেমস সমস্ত সৈনিক শিবির। নিৰ্ম্মাণের ভার লইয়াছিলেন। এড়জুটিাণ্ট জেনারালের অধীনে কৰ্ণেল জে, এম ওয়াল্টার এবং তদীয় সহকারী ক্যাপটেন এইচ, ডেস, ভি উইলকিন্সন সমস্ত উৎসব-অনুষ্ঠানের ভার গ্রহণ করিয়াছিলেন । ৯ই ডিসেম্বর হইতে সৈন্য প্রদর্শনী আরব্ধ হয় । এই দিন রাত্ৰিতে ८°ांगाव् ८श्थव्दिांद्भ বিস্তৃত ময়দানে সেনাগণ মিলিত হইয়া সুললিত স্বরে ব্যাণ্ড বাজাইয়া আনন্দ জ্ঞাপন করিয়াছিল। সর্বাপেক্ষা প্ৰসিদ্ধ গান ছিল, ছাইকৌস্কির “১৮১২” নামক সঙ্গীত। বিচিত্ররূপে রচিত-খচিত মশালের দীপ্তিতে এই বহুলোকসমন্বিত বিস্তৃত ক্ষেত্র নূতন শ্ৰীধারণ করিয়াছিল। স্বয়ং সম্রাট এবং সম্রাজ্ঞী মটরযোগে এই অপূর্ব সেনাসমাবেশ ও তাঁহাদের ক্রীড়া কৌতুক দেখিতে ময়দানে গিয়াছিলেন । ১০ই ডিসেম্বর রবিবার দিন সৈন্যগণের প্রার্থনার দিবস। সামরিক শিবিরের সীমানার অন্তৰ্গত। জগৎপুর গ্রামে ৮ হাজার সৈন্য এই কাৰ্য্যে যোগদান করিয়াছিল। এই ব্যাপারের সমস্ত বন্দোবস্তই সামরিক প্রথানুযায়ী হইয়াছিল। ইহা অতি অনাড়ম্বর ছিল,—সম্রাটু ও সম্রাজ্ঞী এবং পাদ্রীগণ দুইটি ক্ষুদ্র চন্দ্ৰাতপের নীচে আসীন ছিলেন। কিন্তু বিপুল জনসঙ্ঘ মুক্ত আকাশের নিম্নে দাঁড়াইয়াছিল। ৬ নং ইনিসূকিলিং ড়াগুন এবং ৯ নং হডসন্স অশ্বারোহী সৈন্য সহ সম্রাটদম্পতী রাজকীয় শিবির হইতে বাহির হইলেন। সাম্রাজ্যরক্ষক বিপুল বাহিনীদল রাজপথে সারি দিয়া দাড়াইয়া ছিল। গন্তব্যস্থলে পৌছিলে ফিলণ্ড মার্সালের পরিচ্ছদপরিহিত সম্রাটকে ও সম্রাজ্ঞীকে বড়লাটবাহাদুর সসম্মানে অভ্যর্থনা করিয়া পাদ্রীদিগের সহিত তাহাদিগকে পরিচিত করিয়া দিলেন । অতঃপর একটি মিছিল গঠিত হইল। মিছিলের অগ্ৰে অগ্রে একজন &O সৈন্য প্রদর্শনী ।