পাতা:সম্রাট্‌ ও সম্রাট্‌-মহিষীর ভারত পরিদর্শন - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y68 ভারত-পরিদর্শন। ক্রুশ দণ্ড লইয়া গিয়াছিল। তাহার পশ্চাতে যথাক্রমে লাহোরের আর্কডিকন, লক্ষ্মৌর আর্কডিকন, কলিকাতার প্রেসিডেন্সী সিনিয়র চ্যাপলেন, লক্ষ্মৌর বিশপ, রেঙ্গুনের বিশপ, নাগপুরের বিশপ, ছোটনাগপুরের বিশপ, বোম্বাইর বিশপ, এবং মান্দ্রাজের বিশপ ছিলেন। সমাটদম্পতীর ঠিক অগ্ৰেই লাহোরের বিশপ যাইতেছিলেন। তঁহার অগ্ৰে অগ্ৰে তদীয় চ্যাপলেন ধৰ্ম্মযাজকের দণ্ডটি বহন করিয়া লইয়া যাইতেছিলেন। বড়লাটবাহাদুর এবং লেডী হার্ডিঞ্জ সম্রাটুদম্পতীর পশ্চাৎ পশ্চাৎ গিয়াছিলেন । ইহঁরা সকলেই ধীরে ধীরে অগ্রসর হইতে আরম্ভ করিলে, “এখন বিভুর পদে করি। প্ৰণতি” নামক প্রার্থনা সঙ্গীত গীত হইল। অতঃপর লাহােরের বিশপ গম্ভীরভাবে সম্রাটুদম্পতী, রাজপরিবার, বড়লাটবাহাদুর, ভারতগাবৰ্ণমেণ্ট, দেশীয় রাজগণ ও প্ৰজাপুঞ্জ-সকলের মঙ্গলের এবং একতার জন্য বিশেষ প্রার্থনা সম্পন্ন করিলেন । “সারমন” অর্থাৎ উপদেশ পাঠ করিয়াছিলেন-মান্দ্রাজের বিশপ মহোদয় । প্রার্থনাসঙ্গীতগুলি স্বয়ং সম্রাটু নির্দেশ করিয়া দিয়াছিলেন । এই সকল সঙ্গীতের পূর্বে সামরিক বাদ্য বাদিত হইয়াছিল। লাহোরের বিশপ মহােদয় আশীৰ্বাণী উচ্চারণ করিলে জাতীয় মহাসঙ্গীত গীত হইল, এবং তৎপরে এই দিনের মাঙ্গলিক কাৰ্য্য সমাহিত হইল । ১১ই ডিসেম্বর সৈন্যদিগকে নূতন পতাকা উপহার দিবার পালা । অন্যান্য নানা বিষয়ের মধ্যে এই ব্যাপার বিশেষ উল্লেখযোগ্য । প্ৰত্যেক সৈন্যদলের এক একটি প্রধান পতাকা থাকে। সৈইটি সেই দলের বড় প্ৰিয় বস্তু। পতাকাটিকে শুধু দণ্ডাগ্রভাগে সংলগ্ন একটি বস্ত্রখণ্ড বলিয়া গণ্য করা ঠিক নহে-উহা সমগ্রদেশের মাহাত্ম্যজ্ঞাপক-রাজদত্ত মহা পবিত্ৰ সামগ্রী । যুদ্ধের সময় প্ৰত্যেক সেনাদল এইটিকে প্ৰাণপণে রক্ষা করে, কারণ ইহা হারাইলে তাহদের মানসন্ত্রম সবই নষ্ট হয়। দেশাধিপতি স্বয়ং পুরোহিত সহযোগে এই পতাকা প্ৰত্যেক সেনাদলকে দান করিয়া থাকেন। দিল্লীতে ‘পোলো” খেলিবার বিশাল মাঠে এই ব্যাপার অনুষ্ঠিত হইয়াছিল। উন্মুক্ত মাঠের পশ্চাতে কৃষ্ণাভ তরুপংক্তি ও অসংখ্য দশকমণ্ডলী দৃশ্যটিকে এরূপ গুরুগম্ভীর করিয়া তুলিয়াছিল যে যাহারা উহা দেখিয়াছিলেন তাহারা কখনই সে কথা ভুলিবেন না। °ङक ऐं9°छ्द्र ।