পাতা:সম্রাট্‌ ও সম্রাট্‌-মহিষীর ভারত পরিদর্শন - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিল্লী শিবির। সম্রাটু দিল্লীতে কেবল দরবার ও তদানুষঙ্গিক অনুষ্ঠান করিয়াই ক্ষান্ত হুন নাই,-সাধারণের অন্যান্য নানাপ্রকার উৎসবে এবং আমোদপ্রমোদে যোগদান করিয়া সকল শ্রেণীর লোকের প্রতি শ্ৰীতি প্ৰদৰ্শন করিয়াছিলেন । ভারতসম্রাট সাধারণের সম্পকিত অন্যান্য কাৰ্য্যাবলীর মধ্যে প্ৰথমেই স্বীয় পূজ্যপাদ পিতৃদেব মৃত সম্রাটু সপ্তম এডোয়ার্ডের Preja qetstricës سمجھ প্ৰতিমূৰ্ত্তি । ব্ৰঞ্জ নিৰ্ম্মিত মূৰ্ত্তি প্ৰতিষ্ঠার কাৰ্য্যসূচনা করেন। সম্রাটু সপ্তম। এডোয়ার্ডের লোকান্তরগমনে সমগ্ৰ ভারত শোকসািন্তপ্ত হইয়াছিল। তঁহার স্মৃতিরক্ষার জন্য চান্দা সংগ্ৰহউপলক্ষে যে কমিটি গঠিত হইয়াছিল, স্বয়ং বড়লাট বাহাদুর তাহার নেতৃত্ব গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। অনেক বাদানুবাদের পর কমিটিতে ধাৰ্য্য হইয়াছিল যে একটি ব্ৰঞ্জের প্রতিমূৰ্ত্তি সম্রাটের স্মৃতিচিহ্ন হইবে ; স্যার টমাস ব্ৰক নামক বিখ্যাত শিল্পী। ইহা নিৰ্ম্মাণ করিবার ভারপ্রাপ্ত হইবেন । স্বয়ং বড়লাটবাহাদুর প্রতিমূৰ্ত্তিস্থাপনের স্থাননির্দেশ করিয়াছিলেন । দিল্লীর দুর্গ এবং সুন্দর জুম্মামসজিদ এই উভয়ের মধ্যবৰ্ত্তী ভূমিখণ্ড এজন্য মনোনীত হইয়াছিল। বড়লাট বাহাদুরের যত্নে একটি মনোরম উদ্যান শীঘ্রই এই স্থানকে সুশোভিত করিল । ইহারই ঠিক মাঝখানে প্ৰতিমূৰ্ত্তি স্থাপিত হইবে। ভারতের বিভিন্ন ‘প্রদেশ হইতে ৮০০,০০ লোক ভূতপূর্বসম্রাটের স্মৃতিরক্ষার জন্য চাঁদা দিয়াছিলেন। তঁহাদের মধ্যে বাঁহারা দিল্লীতে উপস্থিত ছিলেন। তঁহার এবং আরও অনেক গণ্য মান্য লোক এই উপলক্ষে সম্রাটুবাহাদুরের সন্নিকটে উপস্থিত থাকিবার সুযোগ পাইয়াছিলেন। কিন্তু এতদৰ্থে যে প্রাঙ্গণ নিদিষ্ট হইয়াছিল, তাহার বেষ্টনীর বাহিরে অলিন্দ-গবাক্ষে ও হর্ম্যাচুড়ায় অসংখ্য সকৌতুক চক্ষু এই দৃশ্য দেখিবার জন্য প্ৰস্তুত ছিল। বড়লাট বাহাদুরের মন্ত্রণাসভার সভ্যগণ, প্ৰাদেশিক উচ্চরাজপুরুষগণ, দেশীয় রাজগণ প্ৰভৃতি অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। ৮ই ডিসেম্বর অপরাহ্নে, সম্রাজ্ঞীসহ সম্রাট এই উপলক্ষে রাজপথে বহির্গত হইলেন। রাজচিহ্নসমূহ এবং রক্ষিসেনাগণ সঙ্গে সঙ্গে চলিল। নির্দিষ্ট স্থানে উপস্থিত হইলে পত্নীসহ বড়লাটবাহাদুর তাহাদিগকে সংবৰ্দ্ধনা