পাতা:সম্রাট্‌ ও সম্রাট্‌-মহিষীর ভারত পরিদর্শন - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-পরিদর্শন । صوb( . প্ৰজামণ্ডলী, রাজবৃন্দ ও সর্বসাধারণের স্বার্থের দিকে তঁহাদের লক্ষ্য द्धिकांव অটুটভাবে নিবন্ধ ছিল। বৰ্ত্তমানে সম্রাটের ভারতশ্ৰীতি কেবলমাত্র ংশগত সংস্কারের ফল নহে। ১৯০৫-০৬ সনের ভারতভ্ৰমণে এই প্রীতি নবভাবে উদ্দীপিত হইয়াছিল। এই সময়ে শ্রেণী:নির্বিশেষে সকলের সহিত মিশিয়া, তিনি এদেশবাসীর চরিত্রের ধৈৰ্য্য, আড়ম্বরহীনতা, রাজভক্তি ও ধৰ্ম্মোৎসাহ সম্যগৃরূপে বুঝিতে পারিয়াছিলেন। ইংলণ্ডের অধিবাসিগণের মধ্যে বোধ হয় তিনিই ভারতবর্ষ প্ৰকৃতপক্ষে কি চাহে, তাহা সর্বাপেক্ষা ভাল রূপে বুঝিয়াছিলেন। রাজকীয় অনুগ্রহ ও উৎসাহব্যতীত ভারতের রাজনৈতিক জীবন যে নিতান্ত নিরুৎসাহ ও শুষ্ক হইয়া পড়িবে, একথা তিনিই বিশেষ রূপে জানিতেন। ভারতরাজ্য স্বচক্ষে দেখিয়া তাহার স্থির বিশ্বাস হইয়াছিল যে তিনি এদেশের উপযুক্ত ব্যবস্থা করিতে পরিবেন। এ সম্বন্ধে তিনি স্বয়ং বলিয়াছিলেন : - “১৯০৫ সনে তোমাদের গ্ৰীতিপূর্ণ সান্দরসম্ভাষণে উৎসাহিত হইয়া বোম্বাই হইতে যাত্ৰা করিয়াছিলাম। এই বিশাল দেশের অন্ততঃ কিয়দংশ পরিদর্শন করা এবং এই দেশবাসিগণের সম্বন্ধে কিছু জ্ঞানলাভ করাই সেই ভ্ৰমণ-ব্যাপারের উদেশ্য ছিল । তৎকালে আমি যে জ্ঞানলাভ করিয়াছিলাম তাহাতে এদেশে জাতিধৰ্ম্মনির্বিশেষে সকলের উপর আমার গভীর সহানুভূতি জন্মিয়ছিল। পূজনীয় পিতা মহাশয়ের শোকাবহ মৃত্যুর পর, আমি পৈতৃকসিংহাসনে আরোহণ করিয়া সর্বপ্রথমেই আমার প্রিয় ভারতীয় প্ৰকৃতিপুঞ্জকে দর্শন করিবার প্রবল ইচ্ছা অনুভব করিয়াছিলাম।” সম্রাটের ভারতগমনের নানা রাজনৈতিক কারণ উল্লিখিত হইয়া থাকে। কিন্তু স্বয়ং সম্রাটু, ১৯১১ সনে বোম্বাই নগরে পদার্পণ করিয়া যে কথা বলিয়াছিলেন, তাহাতে বুঝা যায় যে ভারতে আসিবার डॉक्डाश्म बड ইচ্ছা স্বতই তঁহার মনোমধ্যে উদিত হইয়াছিল ; বাহিরের কোন কারণে তাহা হয় নাই। ভারতবাসীর সহিত সম্মিলিত হুইবার ঐকান্তিকী ইচ্ছা ও তাহাদিগের প্রতি গভীর প্রীতির ভাব না থাকিলে, অভিষেকের পরিশ্রম ও কষ্ট সহ করিয়া ও তৎসংক্রান্ত গুরুতর রাজকাৰ্য্যের ব্যাপদেশে, সম্রাটু ও সাম্রাজ্ঞী এমন শ্রমসাধ্য ও অসুবিধাজনক বিদেশীযাত্রার জন্য লালায়িত হইতেন না। দরবারামণ্ডপে সম্রাটু বলিয়াছিলেন, “সাম্রাজ্ঞীর