পাতা:সরল বাঙ্গালা সাহিত্য.djvu/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮌ☾ বাঙ্গালা সাহিত্যের আদিযুগ ও পরযুগ ইহার পরে যে সাহিত্যের সৃষ্টি হয়, তাহাতে রাশি রাশি সংস্কৃত শব্দ ও সংস্কৃতের উপমা পাওয়া যায়। স্ত্রীলোকের মুখ বর্ণনা করিতে হইলেই কবিরা চন্দ্রের সঙ্গে উপমা দিয়াছেন, ঠোটের শোভা বলিতে গেলেই দাড়িমের বীজ কি পাকা তেলাকুঁজ ( বিম্ব ) লষ্টয়া উপমার তৈরী করিয়াছেন, তাহা ছাড়া গৃষিণীর ঠোটের সঙ্গে নাকের, মেঘের সঙ্গে চুলের, নাকের ডগার সঙ্গে তিল ফুলের, ভুরুর সঙ্গে ফুলধনুর, গতির সঙ্গে মত্ত হাতীর গমন-ভঙ্গীর, গ্রীবার সঙ্গে রাজহংসের কণ্ঠের, খোপার সঙ্গে চামরের, হাতের সঙ্গে মৃণালের এই ভাবের শত শত উপমা সংস্কৃত হইতে কবির। বাঙ্গলাভাষায় আমদানী করিয়াছেন । পুরুষের দুই বাহু বুঝাইতে তারা সকলেই আজামুলম্বিত শব্দ ব্যবহার করিয়াছেন, দুই চক্ষু পদ্ম-পলাশের সঙ্গে উপমা দিয়া “আকর্ণ বিস্তৃত” শব্দের দ্বারা তাহাদের গৌরব বাড়াইয়াছেন। ব্রাহ্মণগণের প্রভাবান্ধিত বাঙ্গলাসাহিত্যে এইরূপ সংস্কৃতের শব্দ ও ভাবের ছড়াছড়ি দৃষ্ট হয় । এগুলি একরূপ বাধিগৎ হইয়া পড়িয়াছিল। কবির স্ত্রীপুরুষ কাহারও রূপবর্ণনা করিতে গেলে