পাতা:সরল বাঙ্গালা সাহিত্য.djvu/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ye S অনুবাদের যুগ লং সাহেবের বাঙ্গালা পুস্তকের তালিকায় লেখা আছে, যে মহাভারত বাঙ্গালায় লেখার জন্য কাশীদাসকে ব্রাহ্মণের অভিশাপ দিয়াছিলেন যে, তিনি নিৰ্ব্বংশ হক্টবেন । কিন্তু এই সকল বাধা বিস্তু সত্বেও বাঙ্গালী ভাষার জয় হইল। অবশেষে মস্ত বড় বড় পণ্ডিতেরাই এই ভাষার বই লিখিতে সুরু করিয়া দিলেন। সংস্কৃতের প্রকাগু ভাণ্ডার হাতের কাছে পাইয়া বাঙ্গালী কবির। প্রায় সমস্ত পুরাণ ও শাস্ত্রগুলি অনুবাদ করিয়া ফেলিলেন–রামায়ণ মহাভারত হইতে সুরু করিয়া ভাগবত কাশীখণ্ড পৰ্য্যন্ত তাঙ্গার কিছুই বাদ রাখেন নাই । বাঙ্গালা ভাষা এই সময় হইতে অর্থাৎ প্রায় ছয়শত বৎসর যাবৎ সংস্কৃত শব্দের দ্বারা পুষ্টিলাভ করিতেছে। এই ভাষা প্রাকৃত-ভাষা হইতে আসিয়াছে এবং পূর্কে ইহার নামও ছিল "প্রাকৃত-ভাষা” কিন্তু এই সংস্কৃত অনুবাদের দরুণ ইহাতে এখন এত সংস্কৃত শব্দ ঢুকিয় পড়িয়াছে যে, কেহ কেহ ভ্ৰম করিয়াছেন যে ইহা সংস্কৃত হইতেই উৎপন্ন হইয়াছে।