পাতা:সরল বাঙ্গালা সাহিত্য.djvu/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সরল বাঙ্গালা সাহিত্য ... Yo এই অনুবাদ-সাহিত্যে সংস্কৃত উপমা ও সংস্কৃত শব্দের ছড়াছড়ি হইয়াছে। তারপর ভাষাটা এমন এক স্থানে আসিয়া দাড়াইল যে ইহা ঠিক সংস্কৃতের মত হইয়া উঠিল। এ বিষয়ে প্রায় ২০০ বৎসর পূৰ্ব্বে ভারতচন্দ্র রায় সৰ্ব্বাপেক্ষা সফল হইয়াছিলেন, র্তাহার কাব্যে এমন অনেক পদ আছে, যাহা দেবনাগর হরপে লিখিলে ভাহা অবিকল সংস্কৃত কবিতা হইয়া যাইতে পারে, একটা উদাহরণ দিতেছি— জয় শিবেশ শঙ্কর, বৃষধ্বজেশ্বর মৃগাঙ্ক শেখর দিগম্বর, জয় শ্মশান নাটক, বিষাণ-বাদক হুতাশ ভালক মহত্তর । জয় ত্রিলোক কারক, ত্রিলোক পালক ত্রিলোক নাশক মহেশ্বর ॥ ভারতচন্দ্র কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাকবি ছিলেন । এই কৃষ্ণচন্দ্র রাজাই ইংরেজদিগকে সাহাষ্য করিয়া যে ষড়যন্ত্র করেন, তাহার ফলে পলালীর যুদ্ধে ক্লাইবের জয় হয়, এবং বঙ্গদেশ নামে মাত্র মিরজাফরকে নবাব বলিয়া স্বীকার করিলেও প্রকৃত-পক্ষে ইংরেজদের