পাতা:সরল বাঙ্গালা সাহিত্য.djvu/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 어 বাঙ্গালা গদ্য গ্রাম্য-ভাষা ও সংস্কৃতের পাণ্ডিতা এই দুইটী বিরুদ্ধ শক্তির মধ্যে পড়িয়া বঙ্গভাষা তখনও একটা স্থির মূৰ্ত্তি ধারণ করিতে পারে নাই। কেহ কেহ এই ভাষাকে টানিয়া লইয়া একেবারে বেহদ সহরের অলিগলিত্তে ফেলিয়াছেন। যথা, কালীপ্রসন্ন সিংহ তাহার “হু তুম প্যাচার নক্সায়”—আবার কেহ বা উহাকে অতিরিক্ত ংস্কৃত শব্দের ঘটায় গজেন্দ্র-গামিনী করিয়া তুলিয়াছেন যথ,—তারামুন্দর র্ত্যতার “কাদম্বরীতে” । আবার কেহ কেহব। এই দুই স্রোডের মধ্যে ফেলিয়া বাঙ্গালীভাষাকে দুই বিরুদ্ধদিকে টানিয়া বিড়ম্বিত করিয়াছেন । ঘূর্ণিপাকে টলমল ডিঙ্গি নৌকার ন্যায় তখন ইহার অবস্থাটি হইয়াছে —যেমন রামনারায়ণ তর্ক রত্নের “কুলীন-কুল সর্বস্ব” নাটকে । এই সন্ধিস্থলে বিদ্যাসাগর মহাশয় তাহার প্রতিভার স্কিন্ধ, মুন্দর ও অপূৰ্ব ঐ লইয়া সাহিত্যক্ষেত্রে উপস্থিত হইলেন। ইনি সংস্কৃত শব্দ দিয়া বাঙ্গালী ভাষাকে সাজাইলেন, সেই সাজানোটিতেই তাহার হাতের অপূৰ্ব্ব কারুকার্য্য প্রকাশ পাইল। ষে গহনাগুলি ভারি তাহা তিনি ছাড়িয়া দিলেন । সংস্কৃতের ছোট ছোট