е е সরল বেদন্তি দশন । সাধকের ঈশ্বর বিষয়ক জ্ঞান যতই বৃদ্ধি পাইতে থাকে তাহার ইষ্টদেবের জ্ঞান ও ততই উন্নতি লাভ করিতে থাকে। যখন সাধকের জ্ঞানে ঈশ্বর কেবলমাত্র একজন শ্রেষ্ঠ গুণসম্পন্ন জীব তখন সাধক আপনার ইষ্টদেবকেও একজন শ্রেষ্ঠ গুণসম্পন্ন জীৰ বলিয়া মনে করেন। যখন সাধকের জ্ঞানে ঈশ্বর রিং টপুরুষ তখন সাধক আপনার ইষ্টদেবতাকে বিরাটপুরুষ বলিয়। মনে কবেন । যখন সাধকের জ্ঞানে ঈশ্বর হিরণ্যগৰ্ভ তখন সাধক্ষ আপনার ইষ্টদেবতাকেও হিরণ্যগৰ্ভ বলিয়া মনে করেন। যখন সাধকের জ্ঞানে ঈশ্বর প্রকৃতির সঙ্কল্পয়িতা তখন সাধক আপনার ইষ্টদেবতাকেও প্রকৃতির সঙ্কল্পয়িতা বলিয়া মনে করেন । যখন সাধকের জ্ঞানে ঈশ্বর ব্ৰহ্ম তখন সাধক আপনার ইষ্টদেবতাকে ব্ৰহ্ম হইতে অভিন্ন দেখেন । প্রতীক উপাসনায় নিরাকার নিৰ্ব্বিকার ঈশ্বরের পরোক্ষঞ্জন অবলম্বন স্বরূপ থাকে এবং ইষ্টদেবতাই প্রধান ভাবে উপাসকের ধ্যানপথে থাকেন। উপাসকের বুদ্ধিতে যে পরিমাণে ঈশ্বর বিষয়ক জ্ঞান থাকে উপাসক সে সমস্তই আপন ইষ্টদেবে আরোপ করেন এবং ইষ্টদেবকে আরও শ্রেষ্ঠ বলিয়া নে করেন। এই উপাসনা দ্বারা উপাসক অপেক্ষাকৃত সহজে জগৎ হইতে আপন মন আকর্ষণ পূর্বক ইষ্টদেবে অর্পণ করিতে পারেন। কিন্তু শাস্ত্র ধে উদ্দেশ্যে দেবদেবীর কল্পনা করিয়াছেন কোন কোন প্রতীক উপাসক হয়ত সে উদ্দেশ্য জানেন না অথবা সে উদ্দেশ্য ভুলিয়া যান। নিরাকার নিৰ্ব্বিকার ঈশ্বরের উপাসনার সৌকর্যার্থেই দেবদেবীর কল্পনা। প্রতীক উপাসনার উদ্দেশ্য এই যে,উপাসক এই উপাসনা দ্বারা জগৎ হইতে আপন মনকে প্রভণস্থার পূৰ্ব্বক মনকে ইষ্টদেবে সুস্থির করিতে শিখিবেন এবং এইরূপে মন আয়ত্ত হইলে মনকে নিগুণ ব্রহ্মে স্থাপিত করিবেন। কিন্তু কখন কখন প্রতীক উপাসকগণ এত গোড়া হইয়া উঠেন যে র্তাহারা আপন ইষ্টদেবকে ব্ৰহ্ম হইতে শ্রেষ্ঠ মনে করেন। বাস্তবিক ব্ৰহ্মই সৰ্বশ্রেষ্ঠ । সৰ্বশ্রেষ্ঠ হইতে আর কেহ বা কিছু শ্রেষ্ঠ হইতে পারেন না। সুতরাং ব্রন্ধ হইতে ইষ্টদেব শ্রেষ্ঠ হইতে পারেন না। যে উপাসক মনে করেন যে র্তাহার
পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/১১২
অবয়ব