১৬৪ मज्ञठल 6र्झेस्रष्ट ली । ঈশ্বর, হিরণ্যগৰ্ভাদি উপাধিবিশিষ্ট ভাবে সঙ্কল্পিত হন। এই উপাধিবিশিষ্ট উপাসা ভাব সকল ব্ৰহ্ম নহেন । র্যাহাকে ইন্দ্রিয়গণ দ্বারা দর্শন, শ্রবণ, আঘ্রাণ, আস্বাদন ও স্পর্শ করা যায় না, যাহা কর্তৃক প্রযুক্ত হইয়া ইন্দ্রিয় সকল আপন আপন কৰ্ম্ম করে, সেই সং পদার্থই ব্রহ্ম। মন ইন্দ্রিয়াদি সমম্বিত এবং রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ, শব্দাদি গুণবিশিষ্ট হিরণ্যগৰ্ভাদি উপাস্য ভাব সকল ব্ৰহ্ম নহেন। ইন্দ্রির মন, বুদ্ধি প্রভৃতি দ্বারা ব্রহ্মকে জানা যায় না, কেবল ভগবদ্ভূক্তগণের ও গুরুর উপদেশ শ্রবণ, শাস্ত্রালোচনা ও শাস্ত্রমতে ধ্যানাদি ক্রিয়ী করিতে করিতে ক্রমশঃ ব্রহ্মের অনুগ্রহে ব্ৰহ্মকে জানা যায়। যিনি এই তথ্য জানিয়াছেন এবং ব্রহ্ম জানিবার জন্ত তদনুসারে তপস্যা করিতে থাকেন তিনিই ক্রমশঃ ব্ৰহ্মকে জানিতে পারেন। কিন্তু মায়াপ্রস্থত উপাধিবিশিষ্ট কোন অনাত্ম পদার্থকে যিনি ব্রহ্ম বলিয়া মনে করেন, এবং ব্ৰহ্ম জানিয়াছি এই ভাবিয়া নিশ্চিন্ত হন এবং ব্রহ্মকে জানিবার আর কোম চেষ্টা করেন না তিনি ব্রহ্মকে জানিতে পারেন না। র্যাহারা ব্ৰহ্মকে ইন্দ্রির, মন ও বুদ্ধির অতীত বলিয়া জানিয়াছেন, তাহারা তাহার তত্ত্ব বুঝিয়াছেন। যাহারা ব্রহ্মকে ইন্দ্রিয়, মন ও বুদ্ধির গোচর কোন পদার্থ বলিয়া মনে করে তাহার। তাহার তত্ত্ব বুঝিতে পারে না। বাহ্য এবং অন্তজগৎহেতু যে কোন প্রকার জ্ঞান বা বোধ হয় সেই সমস্ত বিকারশীল বোধ হইতে পৃথক এবং সেই সমস্ত বোধের সাক্ষীরূপে অবস্থিত চিচ্ছক্তি মাত্রকেই যিনি ব্রহ্ম জানিয়া প্রত্যেক বোধের সহিত উক্ত চিচ্ছক্তির অনুভব করেন তিনি ক্রমশঃ অমৃতত্ব অর্থাৎ নিত্য মোক্ষপ্রাপ্ত হন অর্থাৎ আপনাকে অজর, অমর, আত্মা বলিয়া জানিতে পারেন। অনাত্মরস্তু সকলকে মায়াময় বলিয়া পরিত্যাগ পূর্বক উক্ত চিচ্ছক্তি মাত্রকে আত্মা ৰলিয়া অবধারণ করত উহার প্রতি লক্ষ্য স্থির রাখিতে রাথিতে আত্মবিদ্যা লাভ হয়। এই আত্মবিদ্যাই মোক্ষ লাভের উপায়। যদি কোন সাধক এই মানবদেহে থাকিতে থাকিতে আত্মজ্ঞানলাভ করিতে পারেন তবে তাহার অবিদ্যা ঘুচিয়া যায় এব তিনি পরমর্থিক
পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/১৭৬
অবয়ব