পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কর্ম পিটিশন দিচ্ছেন শিবশঙ্কর,-পয়সা কি আমনি হয় ? শিবশঙ্করের অভিজ্ঞতা। এই যে, অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে দয়া মায়া চক্ষুলজ্জা ইত্যাদি দুবলতা। যে বিচক্ষণ কারবারী সে এ সব মানবে না। কমপিটিশনের বাজার, চক্ষুলজ। এখানে খাটে না। আর একটা অভিজ্ঞতা, অবিশ্যি বড় মূল্যবান অভিজ্ঞতা যে, ঘুষ অসাধ্য সাধন করতে পারে। শিবশঙ্করবাবু বলেই থাকেন-ওহে এমন লোক দেখলাম না যে পুজো পেলে খেতে চায় না। তবে বেশি আর কম। কেউ চায় ষোড়শোপচারে পূজে, কারো বা চাল কলা, কারো ? চিনির নৈবিদ্যি-ঢের ঢের দেখলাম হে, যেখানে ভেবেচি এর কাছে কেমন করে যাবে, এত বড় পদস্থ লোক-পূজো দাও, বাস সব ঠিক ! সবাই সমান, তবে ওই যে বললাম, বেশী আর কম। চুরি করার সুবিধে জোটে নি যার, সেই সাধু } বেলা একটার সময় একটি রোগ, দীর্ঘ চেহারার সাহেবি পোশাকপর লোক শিবশঙ্করের আপিসে এসে ঢুকলো । শিবশঙ্কর বললেন-কি খবর ? আসুন, বসুন। --বডড বেশি চায় । 一邓西? --সাড়ে পাচ করে কাঠা । শিবশঙ্কর বিস্ময়ের সুরে বললেন-জমি কার ? ব্যাঙ্কের ? --আজ্ঞে না, মাগনলাল মুখনলাল ক্ষেত্রীর। একবার মর্টগেজ আছে । রেজিষ্টি আপিস সার্চ করা হয়েচে । -বড় বেশি দর বলছে না ? —ও অঞ্চলে ওর কম দর নেই। এর পরে সাত পৰ্যন্ত উঠবে। ন কাঠা একসঙ্গে আর পাওয়া যায় না হস্তার। আপনি কাল নিজে একবার চলুন-বায়নাপাত্তর রেজেষ্ট্রি না করলে, দু-তিনটে খদের মুখিয়ে SS So S