পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথিকের বন্ধু বিপদ হোতে কতক্ষণ ? তখন তুমি আমায় দোষ দিতে পারে। এই সব তিথিতেই ভূত প্ৰেত-পিশাচ ব্ৰহ্মদত্যি লোকটা বলে উঠলো।--রাম রাম রাম রাম-ও সব নাম করবেন না বাবু --মানে ওঁরা সব বার হয়ে থাকেন। কিনা--তাই নাকি ? তবে তো-আবার কি জান, এই চতুর্দশী তিথিতে গলায় দড়ি দিয়ে অপমৃত্যু ঘটেছে এমন ভূতেরা বার হয়। আমি একবার বড় বিপদে পড়েছিলুম লোকটা আড়ষ্ট সুরে বললে—কি বাবু? —একটা শ্মশানের ধার দিয়ে সেবার যাচ্ছিলাম। সেও এই ভূতচতুর্দশী তিথি । দেখি যে অন্ধকারে গাছের ডাল থেকে কি একটা যেন কুলচে-কাছে গিয়ে দেখি একটা মেয়ে-মানুষ গলায় দড়ি দিয়ে বুলচে আর হিঃ হিঃ করে হাসচে লোকটা আঁৎকে উঠে বললে--কি সর্বনাশ । --যাক, ওই আমার রাস্ত নেমে গেল। আমি চললাম। এবার। যাও তুমি, একটু সাবধানে যাও, সাবধানের মার নেই। কথা শেষ না করেই আমি আমাদের গ্রামের পথে নেমে পড়লাম । ও কঁাদো-কঁদো সুরে বললে— বাবু, আমাকে একটু এগিয়ে নিয়ে সঁাকোটা পার করে দ্যান যদি- ২ আমি শিউরে বলে উঠি-আমি ? আমার কৰ্ম্ম নয়। আমাকে তারপর এগিয়ে দেবে কে? বাবারে, প্ৰাণ হাতে করে যাওয়া ওসব জায়গায়। একে আজ ভুতচতুর্দশী 一项恼颈T可颈恼可恼! --তুমি চলে যাও একটু জোর পায়। আবার রাস্তাও তো কম নয়, তোমাকে যেতেও হবে একমাইল দেড়মাইল রাস্তা আর এই অন্ধকার । আচ্ছা চলি-তুমি বিদেশী লোক, জিগ্যেস করলে তাই এত কথা বলা। YRGt