পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আইনস্টাইন ও ইন্দুবালা আপত্তি উত্থাপন করিলেন । • তিনি বলিলেন-“না রায় বাহাদুর, আমার অন্য কোন আপত্তি নেই, কিন্তু এমন দিনে একজন জার্মান--” রায় বাহাদুর উত্তেজিত হইয়া বলিলেন ( যেমন ধরনের উত্তেজিত হইয়া তিনি উঠিতেন সন্ধ্যায় রামমোহন উকিলের বৈঠকখানায় ভাগবত পাঠের সময়, অন্য কেহ যদি কোন বিরুদ্ধ তর্ক উত্থাপন করিত)- “সে কি মহাশয়! জার্মান কি ? জার্মান ? আইনস্টাইন জার্মান ? ওঁদের মত মহামানবের, ওঁদের মত ঋষি বৈজ্ঞানকের দেশ আছে ? জাতের গণ্ডি আছে ? আমি বলি---” প্রিান্সপাল বললেন—“আমিও বলছি নে যে তা আছে । কিন্তু বর্তমানে যেমন অবস্থা”-দুই প্ৰবীণ অধ্যাপকে ঘোর তর্ক বাধিয়া গেল। { প্রিন্সিপাল দর্শন শাস্ত্ৰে পণ্ডিত, তিনি মধ্যযুগের স্কলাস্টিক দর্শনের প্ৰধান আচাৰ্য জন স্কোটাসের উদাহরণ দেখাইলেন । আয়ার্লণ্ডে জন্মগ্ৰহণ করিয়াও নবম শতাব্দীর গোড়াদিগের দ্বারা উৎপীড়িত হইয়া ফ্রান্সে তিনি আশ্রয় গ্রহণ করিতে বাধ্য হন । আয়ার্লণ্ডে আর ফিরিতে পারিয়াছিলেন কি ? আসল মানুষটাকে কে দেখে! তঁর মতামতেরই মূল্য 〔牙西〔丽杯夺目 যাহা হউক, শেষ পর্যন্ত প্ৰন্সিপাল রাজি হইলেন না। তখন রায় বাহাদুরকে বাধ্য হইয়া নিরস্ত হইতে হইল। ইতিমধ্যে র্তাহার কানে গোল আইনস্টাইন শীঘ্রই দাৰ্জিলিং যাইবেন । ভারতবর্ষে আসিয়া অবধি নানাস্থানে বক্তৃতা দিতে ব্যস্ত থাকার দরুন তিনি হিমালয় দেখিতে পারেন নাই। এইবার এত কাজে আসিয়া আর দাৰ্জিলিং না দেখিয়া छाप्लिाङ0छन् न्मा । রায় বাহাদুর ভাবিলেন দাজিলিঙের পথে রানাঘাটে নামিয়া লইয়া সেখানে এক সভায় আইনস্টাইনকে দিয়া বক্তৃতা দেওয়াইলে কেমন হয় ? SS