পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতিভূষণ : সরস গল্প রায় বাহাদুর গ্র্যাণ্ড হোটেলে আইনস্টাইনের সঙ্গে দেখা করিলেন । আইনস্টাইন বলিলেন, “ভারতবর্ষের দর্শনের কথা আমায় কিছু বলুন।” রায় বাহাদুর প্রমাদ গণিলেন । তিনি গণিতের অধ্যাপক ; দর্শন, বিশেষত ভারতীয় দর্শনের কোন খবর রাখেন না, তবুও ভাগ্যে গীতা মাঝে মাঝে পড়া অভ্যাস ছিল ; সুতরাং অকাল সমুদ্রে গীতারূপ ভেল। ( কোন আধ্যাত্মিক অর্থে নয়) অবলম্বন করিয়া দু-এক কথা বলবার চেষ্টা করিলেন। ‘বাসাংসি জীর্ণানি” ইত্যাদি ! আইনস্টাইন বলিলেন, “ম্যাক্সমুলারের বেদান্তদর্শনের উপর প্রবন্ধ পড়ে এক সময়ে সংস্কৃত শেখার বড় ইচ্ছে হয়। দর্শনে আমি স্পিনোজার মানসশিষ্য । স্পিনোজার দর্শন গণিতের ফমে ক্রমানুসারে সাজানে । স্পিনোজার মন গণিতজ্ঞ স্রষ্টার মন, সেজন্য আমি ওঁর দিকে আকৃষ্ট হয়ে পড়ি। কিন্তু বেদান্ত সম্বন্ধে ম্যাক্সমুলারের প্রবন্ধ পড়ে আমি নতুন এক রাজ্যের সন্ধান পেলাম। ইউক্লিডের মত থাটি বস্তুতান্ত্রিক মন স্পিনোজার, সেখানে কুটতর্কও বাধা পথে চলে। আমি কিন্তু ভেতরে ভেতরে কল্পনাবিলাসী-” রায় বাহাদুর অৰাক হইয়া আইনস্টাইনের মুখের দিকে চাহিয়া বলিলেন, “আপনি ?” আইনস্টাইন মৃদু হাসিয়া বলিলেন, “কেন, আমার কালের সঙ্গে ক্ষেত্রের একত্র মিলনকে আপনি কল্পনার ছাচে ঢালাই করা বিবেচনা कअभ ना नांक ?” রায় বাহাদুর আরও অবাক। আমতা আমতা করিয়া বলিলেন, “নতুন ডাইমেনশানের সন্ধানদাতা। আপনি, নিউটনের পর নববিশ্বের আবিষ্কারক আপনি-আপনাকে কল্পনাবিলাসী বলতে-” কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান যুগের এই শ্রেষ্ঠতম বিজ্ঞানীর কবিসুলভ A •