পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতিভূষণ ; সরস গল্প পাতিয়া বসিয়া একটি সিগারেট ধরাইয়াছি—সেদিন এবং সেই মুহুর্তে এই লোকটি অসিয়া আমাদের সঙ্গে গায়ে পড়িয়া আলাপ করিয়াছে। একটি তরুণ যুবককে বাড়ীর হাতায় ঢুকিতে দেখিয়া আমি চেয়ার ছাড়িয়া উঠিয়া আগাইয়া গেলাম এবং ইংরেজিতে জিজ্ঞাসা করিলাম কাকে চান ? যুবকটির চেহারা একহারা, দাত উচু, শ্যামবর্ণ, মুখে দুই একটা -বসন্তের দাগ, ছোট ছোট চোখ, পরনে নিখুত সাহেবী পোশাক । সে একগাল হাসিয়া বলিল-আপনারা এই বাসা ভাড়া নিয়েছেন ? বাঙালী ? সে আমি দেখেই বুঝেছি। সেইজন্যই এলাম-বাঙালীর সঙ্গে আলাপ করার ইচ্ছে আমার অনেক দিন থেকে আছে । বলিলাম-আসুন বসুন। এইখানেই বাড়ী বুঝি ? যুবক পাশের চেয়ারে বসিয়া পড়িয়া বলিল-দেশ আমার যোধপুর। এখানে কলেজে পড়ি-ফোর্থ ইয়ারে । --বেশ বেশ । একটু চা খান— সেই হইতে ইহার যাতায়াত শুরু এমন একটি দিন যায় নাই, যেদিন ছোকরা দুবেল আসে নাই এবং নানাপ্রকার আলোচনার অবতারণা করে নাই। দিন কয়েক পরেই নবীনবাবু এবং আমি আবিষ্কার করিলাম যে ছোকরা কিছু স্থূলবুদ্ধি, ঠিক সকালে ও বিকেলে চা পানের আগে আসিয়া জুটিবে এবং দুপুর পর্যন্ত বসিয়া বসিয়া শুধু বকিবে-উঠিবার নামটি করিবে না। বাধ্য হইয়া প্রায়ই দুপুর রাত্ৰেকোন কোন দিন দুবেলাই তাহাকে খাইতে বলিতে হইয়াছে। সে খাইয়াছেও। এড়াইয়া চলিবার চেষ্টা করিলেও সে বুঝিতে পারে a হয়তো নবীনবাবু বলিলেন-মিঃ শুকরাম (তাহার নাম রত্নাকর শুকরাম জৈন), ওবেলা আমরা একটু হাইল্যাণ্ড ড্রাইভে বেড়াতে যাব, বিকেলটাতে থাকিব না । Ve