পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মূলো-র্যাডিশ-হির্স র্যাডিশ নবীনবাবু ইংরেজিতে সায়সূচক কথা বলিয়া আমায় বাংলাতে। বলিলেন—স্বর্গেও যদি যাও মূলোকে নিয়ে স্বর্গের হাওয়া পর্যন্ত তেতো হয়ে উঠবে, ওকে ভাগাবার চেষ্টা কর। মূলে বলিল,-তাহলে কখন রওনা হব আমরা, মিঃ বোস ? —রওনা ? সে তো এখনও ঠিক হয়নি, দেখি--যদি বলেন। আমার এক জানাশোনা গাড়ী আছে-পেট্রোলের খরচা দিলেই রাজী হয়ে যাবে। বলব তাকে ? --বলুন না, বেশ ৰেশ ! আমরা সবাই বেশ উৎফুল্ল হইয়া উঠিলাম। পরদিন মূলোর চেষ্টাতে গাড়ীর জোগাড় হইয়া গেল। আহারাদি । সারিয়া আমরা তিনজনে শহর হইতে চল্লিশ মাইল দূরবর্ত খিনৃসি) হ্রদ দেখিতে রওনা হইলাম। নাগপুর জব্বলপুর রোডের যে স্থান হইতে খিনসি হ্রদের রাস্তা বাহির হইল, ঠিক সেই জায়গাটিতে পড়ে মানসারের ম্যাঙ্গানিজ খনি । মুলো আমাদের সঙ্গে আসিতে পাইয়া বড়ই খুশী হইয়া উঠিয়াছে এবং ভীষণ বকুনি শুরু করিয়াছে। নবীনবাবু বাংলায় বলিলেনমূলোটা তো বডড জ্বালাচ্ছে হে! ওকে ওই ম্যাঙ্গানিজের মাইনে রেখে গেলে কেমন হয় ? মুলো জিজ্ঞাসা করিল--কি, মিঃ বোস ? তাহার সব বাংলা কথার মানে জানা চাই । নবীনবাবু উত্তর দিলেন-এই ম্যাঙ্গানিজ খনিটা ইণ্ডিয়ার মধ্যে একটা বড় খনি তাই বলছি। নাগপুরে আমরা দুজনে আসিয়াছি বেড়াইতেও বটে, কিছু ইনসিওরের আসামী যোগাড় করিতেও বটে। সিভিল লাইনে কোতোয়াল সাহেবের বাংলো ভাড়া লইয়া যেদিনটা বারান্দায় ক্যানভাসের আরাম-কেদারা,