পাতা:সর্ব্ববেদান্ত-সিদ্ধান্ত-সার-সংগ্রহঃ.djvu/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هلها হইয়া থাকে। যাহার সহিত যাহার বিরোধ পরিদৃষ্ট হয়, সেই তাহার নিবৰ্ত্তক দেখা যায়, যেমন আলোক ও অন্ধকার। র্যাহার কৰ্ম্মম্বারা কিংবা কৰ্ম্মসহকৃত জ্ঞামের দ্বারা মুক্তিলাভের আশা করিয়া থাকেন, তাহার একটু বিচার করিয়া দেখিলে বুঝিতে পারেন, ইহা নিতান্ত অসম্ভব। কারণ কৰ্ম্মজন্ত ফল অনিত্য ; ইহলোকে কৃষ্যাদিকৰ্ম্মজন্ত শস্তাদি ফল যেমন অনিত্য, সেইরূপ লোকান্তরে যাগাদি জন্য স্বর্গাদি ফল ও অনিত্য হইয়া থাকে । এ বিষয়ে শ্রীতি স্পষ্টই বলিয়াছেন -“তযেথেং কৰ্ম্মচিতো লোকঃ ক্ষীয়তে এবমেবামুত্র পুণ্যচিতো লোকঃ ক্ষীয়তে" ইত্যাদি। জ্ঞান ও কৰ্ম্মের সমুচ্চয়ও সম্ভব হইতে পারে না ; কারণ, কৰ্ম্মে যিনি অধিকারী, তিনি জ্ঞানে অধিকারী হইতে পারেন না। আত্মার ব্রাহ্মণত্বাদি অভিমানস্থাপন না করিলে, কখনও পুরুষ ব্রাহ্মণোচিত কাৰ্য্য করিতে সমর্থ হ’ন মা ; কিন্তু যিনি জ্ঞানে অধিকারী, তিনি সেই সমস্ত ধৰ্ম্ম আরোপিত জানিয়া, আত্মার বিশুদ্ধতা সম্পাদন করিয়া থাকেন। অপিচ, অধিকারী ও ফল ভিন্ন হওয়ায় এককালে একপুরুষে যুগপৎ জ্ঞান ও কর্ণের স্থিতির সম্ভব নহে। বিশেষতঃ কৰ্ম্ম অজ্ঞানসস্তৃত এবং অজ্ঞানের দ্বারা তাহার বৃদ্ধি হইয়া থাকে ; যে যাহা হইতে জাত এবং বৰ্দ্ধিত, সে তাহার নিবৰ্ত্তক হইতে পারে না । তাই বলিয়া কৰ্ম্মানুষ্ঠান ব্যর্থ হয় না ; কৰ্ম্ম চিত্তশুদ্ধি সম্পাদনপুরঃসর জ্ঞান উৎপাদন করিয়া দেয় ; সেই তত্ত্বজ্ঞান একমাত্র মুক্তির সাধন ; ভগবান অক্ষপাদও তদীয় দর্শনে “তত্ত্বজ্ঞানান নিঃশ্রেয়সাধগমঃ” এই প্রথম স্বত্রেই তত্ত্বজ্ঞানকে মোক্ষসাধন বলিয়া কীৰ্ত্তন করিয়াছেন। ভগবান শ্ৰীশঙ্করাচার্য এই তত্ত্বজ্ঞানের উপদেশ দিয়া মুক্তির পথ প্রশস্ত করিয়া দিয়াছেন। শঙ্কর-প্রাদুর্ভাব। কালক্রমে ভারতে সনাতন আৰ্য্যবর্ণাশ্রমধর্শ্বের উপর ঘোরতর কুঠারাঘাত হইল ; বৌদ্ধ-জৈন-প্রমুখ নাস্তিকবৃন্দ সনাতন বেদের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করিয়া নবীন মত প্রচার করিতে লাগিল। পৃথিবীর প্রায় এক চতুর্থভাগ লোক সেই ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইল। এমন কি অনেক নৃপতি সেই ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইয়া বলপূৰ্ব্বক প্রজাদিগকে সেই ধৰ্ম্মণীক্ষা প্রদান করিলেন , তদানীং বর্ণাশ্ৰমধৰ্ম্ম বিধ্বস্ত, ৰেবিহিত কর্ণাঙ্গুষ্ঠান বিলুপ্ত এবং সদাচার তিরোহিত হইতে লাগিল। কেবল ব্রাহ্মণগণ সনাতন বর্ণাশ্রমধর্শ্বের রক্ষার জন্ত লোকালয় পরিত্যাগপূর্বক পুলিনে, গহন ৰিপিনে, পৰ্ব্বতকন্দরে অবস্থান করিতে লাগিলেন। কেহই তাঁহাদের