পাতা:সর্ব্বসম্বাদিনী - জীব গোস্বামী.pdf/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 তত্ত্ব-সন্দর্ভের যুক্তিসঙ্গত -কিন্তু এই আশঙ্কার বাস্তবিক কোন খুঁক্তি নাই। বেদ অপৌরুষেয়, সুতরাং ইহাতে কোনও দোষের আশঙ্কা নাই। বােধকত্ব বিষয়েও বেদ স্বতঃসিদ্ধ প্রমাণ—ইহার স্বকাৰ্য্যে অর্থাৎ প্রমিতির উৎপাদনে বেদ অপর কোন প্রমাণের অপেক্ষা রাখে না। *F- , ইহাতে বিরোধী পক্ষ বলিতে পারেন,-“ভাল, মানিয়া লইলাম, প্রমিতি বিষয়ে বেদের অনুষ্ঠা প্রামাণ্যাপেক্ষা না থাকিলেও আগম-জ্ঞানের উৎপত্তি বিষয়ে অবশ্যই প্রত্যক্ষের অপেক্ষা আছে। কেন না, প্রত্যক্ষ ব্যতিরেকে শাব্দিবােধ অসম্ভব। সেই প্রত্যক্ষের বিরোধী হইলে আগমজ্ঞানের উৎপত্তিতেই বাধা ঘটে, সুতরাং উহার অনুৎপত্তিলক্ষণ অপ্রামাণ্য দোষ ঘটে। বিরোধী পক্ষের এই আশঙ্কারও কোন মূল নাই। যেহেতু আগমজ্ঞান, উৎপাদকের ( প্রত্যক্ষের) অপ্রতিদ্বন্দ্বী। আগামজ্ঞান ব্যাবহারিক প্রত্যক্ষের প্রামাণ্য বিনষ্ট করে না। এই ব্যাবহারিক প্রত্যক্ষ কৰ্ম্মের উপহনননেই প্রত্যক্ষ বিরুদ্ধ-লক্ষণ কারণের অভাবে প্রমিতি হইতে, পারে না। আগমজ্ঞান প্রত্যক্ষেত্র তাত্বিক প্রমাণ্যের বাধক ৷ কিন্তু প্ৰত্যক্ষের তাত্বিক প্রামাণ্য ত আগমজ্ঞানের উৎপাদক মহে। অপর পক্ষে তাত্বিক প্রামাণ্যবিহীন সাংব্যবহারিক প্রমাণসমূহ হইতেও তত্ত্বজ্ঞানের উৎপত্তি দৃষ্ট হয়। যেমন ক খ প্রভৃতি অক্ষরগুলিতে হ্রস্বত্ব দীর্ঘত্ব আদি। ভিন্ন ভিন্ন বর্ণ-ধৰ্ম্ম সমারোপিত হইয়া তত্ত্বজ্ঞানের হেতু হইয়া দাঁড়ায়। যেমন নাগ বলিলে হস্তী বুঝায়, আবার নাগ বলিলে বৃক্ষ বুঝায় । এইরূপ ভিন্ন ভিন্ন বর্ণ-ধৰ্ম্মারোপে যে পদসমূহ রচিত হয় এবং তং তং পদে জনসাধারণের যে শব্দবোধ জন্মে, তাহদের সেই বোধ বাস্তবিক बमखान নহে। যে বাক্যের অন্য অর্থে তাৎপৰ্য্য অসম্ভবপর, তাহা কখনই স্বার্থে লক্ষণা হইতে পারে না। ( কেন না, স্বার্থে তাৎপৰ্য্যের উপপত্তি না হইলেও লক্ষণা হয়। লক্ষণা শক্যসম্বন্ধস্তাৎপৰ্য্যানুপপত্তিতঃ) । আচাৰ্য্যগণ বলেন--বিধায়ক শব্দে লক্ষণার্থ হয় না”। পরস্পর অন্যােপক্ষিত জ্ঞানের মধ্যে যেটি পূৰ্ব্বজাত, তাহার জ্যেষ্ঠত্ব বাধ্যের হেতু হয়, উহা বাধকত্বের হেতু হয় না। পশ্চাৎ শুক্তিজ্ঞান দ্বারা পূৰ্ব্বোৎপন্ন রজতজ্ঞানের বাধা হইয়া থাকে। পশ্চাৎ উৎপন্ন শুক্তিজ্ঞান পূর্বোৎপন্ন রাজতজ্ঞানের বাধা না জন্মাইলে শুক্তিজ্ঞানের উৎপত্তি হওয়াই সম্ভবপর হয় না।L ইহ-পূর্বেই প্রদর্শিত হইয়াছে যে, তাত্ত্বিক প্রমাণভাব আপেক্ষিত নহে-উহা নিরপেক্ষ । পূৰ্ব্বমীমাংসা সুত্ৰকার মহৰ্ষি জৈমিনি বলেন-যে স্থলে পূৰ্ব্বাপর ভাববিদ্যমান, সেখানে পূর্বটিরই দৌৰ্ব্বল্য ঘটে-প্রকৃতির ন্যায়। * তন্ত্রবাৰ্ত্তিককার শ্ৰীমৎ কুমারিল ভট্ট বলেন-ষে স্থলে পরস্পর

  • "প্রকৃতি" শব্দটি মীমাংসা দর্শনে পারিভাষিকরূপে ব্যবহৃত হয়। এ যে যাগে সমগ্ৰ অঙ্গের উপদেশ থাকে, ER 13 al 24 fis- যেমন দর্শপৌর্ণমাস্তাদি যােগই প্রকৃতি নামে অভিহিত। সংস্কৃত ভাষাঢ় এই পারিভাষিক শব্দটির বুৎপত্তি নিম্নলিখিতরূপে সাধিত হয়,-"ষত্ৰ কৰ্ত্তব্যং সৰ্ব্বং প্রকর্ষেণ, कभीखट्रेनब्रटिश1 উপদিTTuB K KDBBuu S DBBG BDB BDDBD DBDB BDBD KB BgSB BDDDBB BKB tttEBt DBS DBD স্থলে উক্ত কৰ্ম্মাদি প্রকৃতি সংজ্ঞায় অভিহিত হয়। আবার অপর পক্ষে যে স্থলে শ্রুতি ভূীরা বিশেষ কোন কৰ্ম্ম উপদিষ্ট হয় এবং তৎ সম্পাদনের জন্য অন্যান্য প্রাকৃত যাগের বিধাগুলি অনুগত হইয়৷ সেই ক্রিয়া সম্পন্ন হয়, তাহার নাম বিকৃতি ।

Digitized at BRCIndia.com " -