পাতা:সর্ব্বসম্বাদিনী - জীব গোস্বামী.pdf/৩২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ba a পরমাত্মসন্দর্ভের পরমাণু ক্ষরণ হইলে প্রতিকূল বায়ুতে মণিপ্রভার প্রতিকুল দিকে বিসরণ হইত না এবং অনুকুল দিকে বহুলভাবে প্রভা বিস্তুত হইত্ব। সুতরাং মণিপ্রভা দ্রব্য নহে-গুণ। এইরূপ দীপাদির প্রভাও দ্রব্য নহে-গুণ। দীপ দ্রব্য পদার্থ উহা বায়ু দ্বারা বিক্ষিপ্ত হয় ; কিন্তু গুণ • سمصرے অদ্রব্য নিবন্ধন বায়ুদ্বারা বিক্ষিপ্ত হয় না। শ্ৰীগীতা-উপনিষদেও ইহার দৃষ্টান্ত আছে। যথা,-ছৈ ভারত, যেমন-স্বৰ্য্য এই কৃৎস্ত্র জগৎকে - প্রকাশ করেন, সেইরূপ ক্ষেত্রী জীবাত্মা এই সমগ্ৰ দেহা-ক্ষেত্রকে সচেতন করেন। ட். (গীতা, ১৩ ৷৷ ৩৩) ৷ অণুসমূহেরও এইরূপ ব্যাপনশীলতা দৃষ্ট হয়, মন আদি ইন্দ্ৰিয়সমূহ ন্যায়সিদ্ধ অণু বলিয়াই গৃহীত। ইহাদেরও ব্যাপনশীল প্ৰকাশ পরিলক্ষিত হয়। যেমন উক্ত আছে, মন দ্বারা মেরুতে গমন করিতেছে। ইন্দ্রিীয়-সুড়ায় মনের দুর-শ্রবণদর্শনাদি সিদ্ধির কথা শুনা যায়। ঋক্‌শ্রতি বলেন, "স্বৰ্গে চক্ষু বিস্তৃত রহিয়াছে।” অণুসমূহের ব্যাপনশীলতা এইরূপে সংপ্ৰমাণ হইতেছে। মাধ্বভায্যে উদাহৃত শাণ্ডিলন্ত-শ্রুতিতেও ইহার প্রমাণ আছে (মাধবভাষ্য, ২৪|৮)। অণুর কথা ছাড়িয়া দিয়া এখন গুণের কথাই বলা যাইতেছে। গুণ যে গুণীর নিকট স্থলে ব্যাপ্ত হয়, ইহা দেখিতে পাওয়া যায়। যেমন পুষ্পাদিতে গন্ধ। গন্ধ ফুলের গুণ। ইহা ফুল ছাড়িয়া উহার নিকটবৰ্ত্তী স্থানেও বিসৰ্পিত হয়। যদি বল, ফুলের সূক্ষ্ম অংশ বিশ্লিষ্ট হইয়া গন্ধ বিসৰ্পিত হয়। এ কথা বলা যায় না। যেহেতু উহাতে মূল দ্রব্যের উন্মান (স্বাক্ষ্মতম অংশের) হানি স্বীকার করিতে হয়। ( অর্থাৎ তাহাতে গন্ধবিশ্লেষ সহ সেই দ্রব্যের হানি সম্ভাবনা হয়। বস্তুতঃ গন্ধবিসর্পণে দ্রব্যহানি হয় না।) যদি বল, পরমাণুসমূহের বিশ্লেষণে অল্পকালে বস্তুর পরিমাণ হ্রাস पूछे হয় না। এ কথাও বলিতে পার না। যেহেতু পরমাণুগুলি অতীন্দ্ৰিয়। অতীন্দ্ৰিয় পরমাণুগুলি গন্ধগুণ বহন করিতে // অসমর্থ। কস্তারি প্রভৃতিতে স্কুট (গন্ধ বিদ্যমান। (উস্থা অনবচ্ছিন্ন ভাবে সুদীর্ঘ কাল গন্ধ প্রদান করিলেও উচ্ছার পরিমাণের অল্পতা দৃষ্ট হয় না। :) * কায়বৃহেও এইরূপ গন্ধ-দৃষ্টান্ত জ্ঞেয়। ] গন্ধ-গুণ পৃথিবীর । গন্ধ পৃথিবী ব্যাতিরিক্ত জুলাদিতেও যেমন উপলব্ধ হয়, সেইরূপ দেহান্তরসমূহে জীবগুণের ব্যাপ্তি সম্ভবপর হয়। (মন্ত্রাদি দ্বারা দেহান্তরে জীবন্যাস হইয়া থাকে। ) প্রদর্শিত দৃষ্টান্তে গন্ধের নেতা বায়ু-দাষ্ট1ন্তিকে জীবের নেতা ঈশ্বর। এ বিষয়ে মাধ্বভাষ্য-প্রমাণিত শাণ্ডিল্য-শ্রুতির মৰ্ম্ম এই যে, জীবও গন্ধের ন্যায় ব্যাপনশীল হয়, উহা এক হয়, বহু হয়, উহাকে ঈশ্বর যেমন করেন, তেমনি হয়। (জীব ঈশ্বরাধীন) কিন্তু ঈশ্বর পুরম অচিন্তা ও গরায়ান,(মাধৱভায়া, ২/৩২৭)। এই নিমিত্ত জীব স্বগুণ দ্বারা ব্যাপনশীল হইয়া থাকে। ছান্দোগ্য উপনিষ্ণু জীবের হৃদয়ঙ্গয়তনত্ব ও অণু পরিমাণত্বের উল্লেখ করিয়া অবশেষে বলিয়াছেন, “লোমসমৃদ্ধ হইতে, নখসমূহ হইতে" সর্বত্রই ইচ্ছার প্রসার। এইরূপে চেতনা-গুণ বলে। সূৰ্ব্বশরীরে জীবের ব্যাপিত্ব প্রদর্শিত হইয়াছে। ܒܣܒܒ===-====: + ইট্রত্নেশীয় বিজ্ঞানে #ई जिंकtख बापू’, रुबा माझें ॥ Digitized at BRCin die EOT