পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনহরতলী

) তাকে ফেলিয় এক এক কুমুদিনী যে বাড়ী-ঘর বেচিয়া অন্যত্ৰ চলিয়া,

ঝাইতে পারে না, কুমুদিনী তাকে ভালবাসে বলিয়াই তো ? তার বেশী আর কি চাই মানুষের ? কুমুদিনীর ঘরভরা ছেলেমেয়েদের কলরব শুনিতে শুনিতে যশোদার বিরাট দেহটি অবসন্ন হইয়া আসে। কারণটা বুঝিতে না পারিয়া সে একটু আশ্চৰ্য্য হইয়া যায়। সে তো জানে না মনের মধ্যে গভীর অশান্তির গুরুভার বহিয়া বেড়াইতে বেড়াইতে হঠাৎ মুক্তি পাইলে শুধু মন নয় শরীরটাও মানুষের আশ্চৰ্য্যরকল হাল্কা মনে হয়, শান্তি যেন আসে ঘুমের ছদ্মবেশে । ঘুমের মতই হয়তো অস্থায়ী, তবু এখন যশোদার মনে যে শান্তি আসিয়াছে তার তুলনা হয় না । ইংরাজী নববর্য সুরু হয়। শীতকালে। রাজেন পরামর্শ দিল, ইংরাজী নববর্ষের প্রথম দিন আবার । হাটেল খুলিলে কেমন হয় ? কারখানার কুলি-মজুরদের জন্য না হোক, কারখানার বাহিরে যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলিয়া জীবিকা অর্জন করে তাদের জন্য ? যশোদারও তো জীবিকা অর্জন করিতে হইবে ! বিশেষতঃ ধনঞ্জয়ের মত বিরাটকায় একটি পোস্য যখন তার জুটিয়াছে। যশোদা বলিল, “কিছুদিন যাক।” রাজেনও সায় দিয়া বলিল, “আচ্ছা যাক কিছুদিন ।” দিন যায়। নন্দ ও সুবর্ণের কোন খবর আসে না । কোথায় কি ভাবে ওরা দিন কাটাইতেছে কে জানে ! দিন ওদের চলিতেছেই বা কি SQNo