পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उन्डट्झडठी করিয়া ? নন্দ কি রোজগারের কোন উপায় করিতে পারিয়াছে ? সুবর্ণের গায়ের গয়না একটি একটি করিয়া স্যাকরার দোকানে যাইতেছে তয় তো ! নন্দর মত ছেলে, দু’দিন আগেও দিদি মুখে তুলিয়া না দিলে ফে প্রায় খাইতেই জানিত না, একটা মেয়েকে চুরি করিয়া পালাইয়া এতকাল সে যে কেমন করিয়া ব্যাপারটার জের টানিয়া চলিতেছে, ভাবিলেও যশোদা অবাক হইয়া যায় । মাঝে মাঝে নন্দর কীৰ্ত্তন শুনিবার জন্য যশোদার জোরালো ইচ্ছা! জাগে । কীৰ্ত্তন করিলেই নন্দর শবীর খারাপ হয় বলিয়া নন্দর কীৰ্ত্তন করা যশোদা আগে পছন্দ করিত না, যদিও কীৰ্ত্তন শুনিতে শুনিতে সকলের মত অনির্বচনীয় ভাবাবেগে সেও চিরদিন এক দুর্বোধ্য ব্যাকুলতা অনুভব করিয়াছে । এখন মাঝে মাঝে তার মনে হয়, নন্দ থাকিলো নিজেই নন্দকে গাহিতে বলিয়া একদিন সে ভাল করিয়া তার কীৰ্ত্তন \g f(\s জ্যোতিৰ্ম্ময়ের সঙ্গে রাস্তায় একদিন যশোদার দেখা হইয়া গেল । একটি নূতন শ্রমিক-সমিতি সভায় যোগ দেওয়ার জন্য যশোদাকে একরকম জোর করিয়া ধরিয়া নিয়া যাওযা হইয়াছিল, যাওয়ার ইচ্ছা তার একেবারেই ছিল না । আবার শ্রমিকদের ব্যাপারে মাথা ঘামাইতে যাইবে, তার কি লজ্জা নাই ? পীড়াপীড়িতে শেষ পৰ্য্যন্ত তাকে যাইতে হইয়াছিল। সভায় গিয়াই সে টের পাইয়াছিল, তার অনুমানই ঠিক। সমিতিটি খাটি শ্রমিক-সমিতি নয়, একজন ভদ্রলোক নিজের স্বার্থের জন্য সমিতি গড়িবার চেষ্টা করিতেছেন । সভা শেষ হওয়ার আগেই যশোদা চলিয়া আসিয়াছিল— ৰাচিয়া, S24