পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনহরতলী উৎসাহ জাগিয়াছে তা নয়, সকলে ভাবিতেছে, যশোদার মতলবটা কি ?” কিন্তু মাশোদা জানে বিনা পয়সায় মেয়েদের গান শেখানোর সুযোগ কেউ ছাড়িবে না, মেয়েদের গান বাজনার চর্চা যারা পছন্দ করে না তারাও নয়। দু’চার দিনের মধ্যে ছোট বড় মেয়ের ভিড়ে তার ঘর ভরিয়া উঠিবে। এই তো সবে সুরু । সকলেই আজ এক ঘরে। অন্য সকলে এলোমেলো ভাবে যে যেখানে পারে বসিয়াছে, একটি আস্ত পাটি কে ৮ল ছাড়িয়া দেওয়া হইয়াছে গানের শিক্ষয়িত্রী আর ছাত্রীদের । হারিনোনিয়মের একদিকে বসিয়াছে ছাত্রীরা, অন্যদিকে পরস্পরের যতটা পারে তফাতে সরিয়া বসিয়াছে অলকা আর খুকু। কিন্তু এত কাছে বসিয়া, একই কাজ করিতে বসিয়া, পরামর্শ না করিয়া চুপ চাপ শুধু বসিয়া থাকিলে চলিবে কেন ? বিশেষতঃ সকলে যখন কি ভাবে গান শেখানো আরম্ভ হয় দেখিবার জন্য প্ৰতীক্ষা করিয়া আছে । তা বা যে পরস্পরের সঙ্গে কথা বলে না, তাদের মায়েরাও বলে না, এটা তাই তখনকার মত তাদের ভুলিয়া যাইতে হয় । প্ৰথমে অলকা বলে, “কি শেখানো যায় ? গান ?” তখন খুকু বলে, “গলা কি করে সাধতে হয় শেখালে হতনা ?” অলকা বলে, “গলা তো সাধবেই, একটা সোজাসুজি গান দিয়ে আরম্ভ করলে বোধ হয়। ভাল হয় ।” খুকু বলে, “একেবারে গান দিয়ে আরম্ভ করলে—” পরামর্শের সুবিধার জন্য নিজেেদর অজ্ঞাতসারেই তারা পরস্পরের একটু কাছে সরিয়া আসে। ছয় সাতটি নানা পর্দায় গলার বেমিল, বেসুরে, হঠাৎ-জাগা হঠাৎ NYON