পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਤਣ বড় খারাপ। কথায় কথায় কারণে অকারণে রাগিয়া যায়, গালাগালি দেয়, অপমান করে । অজিতের সঙ্গে মঙ্গীতোষের বন্ধুত্ব না হয় আছে, কিন্তু মঙ্গীতোষ কি জানে না বন্ধু তার যশোদার বাড়ীতে থাকে ? যশোদার বাড়ীর ভাড়াটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠত করার সাহস সে পাইল কোথায় ? শ্রমিক সমিতির সভায় গিয়া যশোদা যে পিশেষ খৃসী হইল তা বলা যায় না, তবে তেমন খারাপ ও তার লাগিল না । পরিচালক সমিতির সভায় বড় বেশী তর্ক চলে, নিজের নিজের মতামতটা জাতির করিবার জন্য অনেকে বড় ব্যস্ত। বড় বড় কথাও অনেক বলা হয়, একেবারে নাটকীয় ভাঙ্গিতে, অবরুদ্ধ একটা উত্তেজনা যেন বক্তার অসহ্য হইয়া উঠিয়াছে । তবে সকলে এরকম নয়, শান্ত ও সংঘােত মানুষও কয়েকজন ভাছে, ভাবিয়া চিন্তিয়া হিসাব করিয়াই যারা কথা বলে । কিন্তু এদেরও আসল বক্তব্যটা যশোদা আগাগোড়া ঠিক বুঝিয়া উঠিতে পারিতেছিল না । খানিকক্ষণ হয়তে কথাগুলি জলের মত পরিষ্কার বুঝা যাইতে লাগিল তারপর হঠাৎ কখন কি ভাবে যে সমস্ত বিষয়টা জটিল আর দুর্বোধ্য তইয়া গেল কিছুই যশোদার মাথায় ঢুকল না । তবে সেজন্য এদের সে দোষ দিল না, অপরাধটা ধরিয়া নিল নিজের বুদ্ধির। এরা সমস্ত জগতের শ্রমিকদের অবস্থা জানে, শ্রমিক সমস্যা এরা, বৈজ্ঞানিক উপায়ে বিশ্লেষণ করিয়াছে, এদের সমস্ত তর্কবিতর্ক পয়িষ্কার বুঝিবার মত জ্ঞান সে কোথায় পাইবে ? তার মত ঠেকানো দিয়া দশবিশজন শ্রমিককে কোন রকমে খাড়া রাখিবার ব্ৰত এদের নয়, ধনিক し六コ。