সাংখ্যতত্ত্ব-কৌমুদী। ' , 82. ভৌতিকং বশীভবতবস্তং । ঈশিত্বং ভূতভোঁতিকানাং প্রভব-ব্যুহব্যয়ানা ੀਂ । যত্রকার্মাবসায়িত্বং সত্যসঙ্কল্পতা, যথাস্য সঙ্কল্পেীভবতি ভূতেষু তথৈব ভূতানি ভবন্তি। অন্যেষাং নিশ্চয় নিশ্চেতব্য মনুবিধাঁয়ন্তে, যোগিনস্তু নিশ্চেতব্যঃ পদার্থী’ নিশ্চয়মিতি, চত্বারঃ . সাত্ত্বিক বুদ্ধিধৰ্ম্মঃ । তামসান্তু তদ্বিপরীত বুদ্ধিধৰ্ম্মাঃ, অধৰ্ম্মাঅজ্ঞানাবৈরাগ্যানৈশ্চৰ্য্যাভিধান শচত্বার ইত্যর্থঃ ॥ ২৩ ॥ অনুপাদ । অধ্যবসায় অর্থাৎ নিশ্চয় বৃত্তিটা বুদ্ধির ধৰ্ম্ম, ক্রিয়া ও ক্রিয়াবিশিষ্টকে অভিন্ন বলিয়া অধ্যবসায়কেই বুদ্ধি বলা যায়। ব্যবহারকারী ( সাংসারিক ) মাত্রই প্রথমতঃ বিষয়ের আলোচন করিয়া অর্থাৎ চক্ষুরাদি ইঞ্জিয় দ্বারা সামান্তভাবে শব্দাদিকে জানিয়া পরে মনন অর্থাৎ মন দ্বাবা বিশেষ করিয়া বিচার করিয়া এ বিষয়ে আমি প্রবৃত্ত হইয়াছি এইরূপে অভিমান ( আমিত্বের অভিনিৰ্দেশ ) করিয়া “এ বিষয় আমার করা উচিত’ এই ভাবে নিশ্চয় করে, অনন্তর সেই কার্য্যে প্রবৃত্ত হয়, ইহা সকলেই জানেন । উহার মধ্যে, চেতন পুরুষের সন্নিপানবশতঃ বুদ্ধির চৈতন্তলাভ হইলে, “এই কার্যটা আমার কৰ্ত্তব্য? এইরূপে যে নিশ্চয় হয়, তাহাকে অপাবসায় বলে, এইটা বুদ্ধির অসাধারণ বৃত্তি, অর্থাৎ উহা বুদ্ধি ভিন্ন অন্ত কাহারও ধৰ্ম্ম নহে। বুদ্ধি এই অধ্যবসায়ের অভিন্ন, ইহই বুদ্ধির লক্ষণ অর্থাৎ পরিচায়ক, কেন না, উহা বুদ্ধিকে সজাতীয় ও । বিজাতীয় হইতে পৃথক করে। ' উক্তরূপে বুদ্ধির লক্ষণ করিয়া বিবেক জ্ঞানের (বুদ্ধি হইতে আত্মাকে পৃথক্ করিয়া বুঝিবার ) উপযোগী সাত্ত্বিক, রাজসিক ও তামসিক ধৰ্ম্ম সকল বলিতেছেন,– ধৰ্ম্ম, জ্ঞান, বৈরাগ্য ও ঐশ্বর্গ এই চারিটী বুদ্ধির সাত্বিক ধৰ্ম্ম, ইগর বিপরীত অর্থাৎ অধৰ্ম্ম, অজ্ঞান, অবৈরাগ্য ও অনৈশ্বৰ্য্য এই চারিট বুদ্ধির তামস ধৰ্ম্ম । অভু্যদয় (সুখ) ও নিঃশ্রেয়সের (মুক্তির ) কারণ ধৰ্ম্ম, উহার মধ্যে যজ্ঞ দান ইত্যাদির অনুষ্ঠান করিলে যে ধৰ্ম্ম হয়,সেইটী (সকাম ধৰ্ম্ম) অভু্যদয়ের কারণ, এবং অষ্টাঙ্গ (যম, নিয়ম, আসন, গাণায়াম, প্রত্যাহার, ধারণা, ধ্যান ও সমাধি ) যোগের অনুষ্ঠান দ্বারা যে ধৰ্ম্ম (নিষ্কাম ধৰ্ম্ম, অগুরুকৃষ্ণ 9 জন্মে উহা দ্বারা মুক্তি হয়। বুদ্ধি ও পুরুষের ভেদ-সাক্ষাৎকারকে জ্ঞান বলে। বিরাগ শব্দের অর্থ বিষয়-বৈরাগ অর্থাৎ অম্বুরাগের অভাব। বৈরাগের বর্তমানসংজ্ঞা, বাতিরেকসংজ্ঞ, একেন্দ্ৰিয়সংজ্ঞা ও বশীকারস"জ্ঞ, এই চারিট
