পাতা:সাংখ্যতত্ত্ব-কৌমুদী.djvu/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> * > . - সাংখ্যতত্ত্ব-কৌমুদী l ংজ্ঞা আছে। রাগ গ্রভৃতি কযায় অর্থাৎ ভোগকৃষ্ণ গভূতি রঞ্জক ( মাহ দ্বারা চিত্ত বিষয়োপরাক্ত ১য় ) সকল চিন্তে থাকে, উহা দ্বার চক্ষুরাদি ইস্ক্রিয়গণ আপন আপন বিষয়ে ( চক্ষুর রূপ, কর্ণের শব্দ ইত্যাদি ) প্ৰবৰ্ত্তিত হয়, যে প্রকারে ইন্দ্রিয়গণ নিজ নিজ বিষয়ে পুনৰ্ব্বার প্রবৰ্ত্তিত না হয়, সেরূপে চিত্তে পরিপাক অর্থাং রাগাদির অপনোদন করিতে প্রয়ত্ব বিশেষকে যতমানসংজ্ঞা বলে, অর্থাৎ ভোগ-বিষয়ে অনুরাগাদি থাকিলে ইন্দ্রিয়গণ বিষয় লাভে ব্যগ্র থাকে, চিত্ত হইতে রাগাদি দূর করিতে পাবিলে আর সেরূপ হয় না, ইহাকেই যতমানসংজ্ঞা বলে । উক্ত রূপে চিত্তে পরিপাক আরম্ভ হইলে অর্থাৎ চিত্ত হইতে ক্রমশঃ বিষয়তৃষ্ণাদি বিদূরিত হইতে আরম্ভ হইলে, কতকগুলি কষায় পক रहेबांटाइ অর্থাৎ কোন কোন বিষয়ে তৃষ্ণ নাই, এবং কতকগুলিকে পুরিপাক করিতে হইবে, এইরূপে পৌৰ্ব্বাপর্য থাকায় ( একদা সমস্ত তৃষ্ণ দূর করা যায় না, এক একটা করিয়া ত গ করিতে হয় ), যে কষায়গুলিকে নিরাস করিতে হইধে, তাহা হইতে নিরস্ত কষায়গুলিকে পৃথক্ করিয়া স্থির করাকে ব্যতিরেক-সংজ্ঞা বলে । নিরস্ত কষায়গুলি শব্দাদি বিষয়ে ইন্দ্রিয়ের প্রবৃত্তি জন্মাইতে না পারিয়া কেবল ঔংস্থক্যরূপে চিত্তে থাকার নাম একেক্রিয়সংজ্ঞা (চিত্তরূপ একটা ইঞ্জিয়ে থাকে, অন্ত ইজিয়ে থাকে না)। পূৰ্ব্বোক্তরূপে ঔৎসুকটুকুরও নিবৃত্তি অর্থাৎ ঐহিক পারত্রিক ভোগ্য পদার্থ সমুদায় উপস্থিত হইলেও চিন্তৈর .প্রবৃত্তি না হওয়াকে বশীকার-সংজ্ঞা বলে, এইটা পূৰ্ব্বোক্ত যতমানসংজ্ঞাদিত্রয়ের পরাচীন, অর্থাৎ পরে হয়। ইহাকেই ভগবান পতঞ্জলি মুনি বর্ণনা করিয়াছেন, ঐহিক ও পারত্রিক বিষয়ে তৃষ্ণারহিত ব্যক্তির বশীকার নামক বৈরাগ্য ছয় । প্রদর্শিত যতমানাদিকেই বুদ্ধির ধৰ্ম্ম বৈরাগ্য বলে । - ঐশ্বৰ্য্যটও বুদ্ধির ধৰ্ম্ম, উহা হইতেই অণিমাদির প্রাচুর্ভাব হয়। অণিমাদি অষ্টবিধ ঐশ্বর্যের মধ্যে অণিমা (অণু শব্দের উত্তর ভাবার্থে ইমন ) শব্দে অণুত্ব বুখায়, এই শক্তিপ্রভাবে শিলার মধ্যেও গ্রবেশ করিতে পারে। লঘিমা শব্দে লযুত্ব বুঝায়, ইহা দ্বার স্বৰ্য্যকিরণকেও অবলম্বন করিয়া স্বর্যালোকে গমন করিতে পারে। ‘মহিমা শব্দে মহত্ব বুঝায়, ইহা দ্বারা অতিবৃহৎ রূপ ধারণ করিতে সমর্থ হয়। গ্রাপ্তিনামক ঐশ্বর্য হইলে অঙ্গুলির অগ্রভাগ দ্বারা চন্দ্রকে স্পর্শ করিতে পারে। প্রাকামা শব্দে ইচ্ছার ব্যাঘাত না হওয়া বুঝায়, যাহা হইলে জলাশয়ের ছায় মৃত্তিকাতে উন্মগ্র নিমগ্ন হইতে পারে। ভূত ভৌতিক { ভূত হইতে উৎপন্নকৈ ভৌতিক বলে ).পদার্থ সকল অষ্ঠের বশীভূত না হইয়াও