সাংখ্যতত্ত্ব-কৌমুদী। - እ» ጫፍ উন্মাত্রে মাত্র শব্দের গ্রহণ থাকায় স্বশ্নগুলির ভূতত্ত্ব নিরাকরণ করিয়াছেন। বিশেষ ও অবিশেষ হইয়াছে বিষয় যে সমস্ত বুঢ়ীক্রিয় সকলের তাগদিগকে বিশেষাবিশেষ বিষয় বলে, তাগার মধ্যে উৰ্দ্ধস্রোতা দেবগণ ও যোগিগণের শ্রোত্র শব্বতন্মাত্র অর্থাৎ স্বল্পশব্দ এবং স্থূলশব্দকে বিষয় করে, আমাদিগর শ্রোত্র কেবল স্থল-শব্দকেই বিষয় করিয়া থাকে। এইরূপ তাঙ্গাদিগর ত্বক্ (স্পর্শে ক্রিয় ) স্কুল-স্বশ্ন উভয়বিধ স্পর্শকে গ্রহণ করে, আমাদিগর ত্বক কেবল স্থল-স্পৰ্শকেই বিষয় করে। এইরূপে তাহাদিগর ও আমাদিগর চক্ষুরাদিও রূপাদি স্থলে স্বল্প ও স্থল বিষয়ে বুঝিতে হইবে অর্থাৎ তাহাদিগর চক্ষুরাদি স্বল্প স্কুল উভয়বিধ রূপাদিকেই গ্রহণ করে, অামাদিগর চক্ষুরাদি কেবল স্কুলকেই গ্রহণ করিতে পারে - এইরূপ কৰ্ম্মেন্দ্রিয়ের মধ্যে বাগিঞ্জিয় স্থূলশব্দকে বিষয় করে, কেন না উক্ত ইন্দ্রিয় স্থল-শব্দের কারণ। বাগিন্দ্রিয় শব্দ তন্মাত্রের কারণ নহে, শঙ্কঅস্কার চাইতে উৎপন্ন বলিয়া বাগিজিয়ের সহিত তুল্য-কারণক অর্থাৎ এক কারণ হইতে উৎপন্ন। পায়ু, উপস্থ, পাণি ও পাদ এই অবশিষ্ট চারিট কৰ্ম্মেন্দ্রিয় পঞ্চ-বিষয়ক, হস্তাদির দ্বারা গ্রাহ ঘটাদিকে পঞ্চ বলা যায় ॥ ৩৪.া , মন্তবা। বস্তুমাত্রই ত্রিগুণাত্মক, কোন শব্দাদির শান্ত অর্থাৎ মুখরূপে জ্ঞান হয়, এইটা সবগুণের ধৰ্ম্ম। কোনটীর ঘোর অর্থাং দুঃখরূপে জ্ঞান ছয়, এইটা রজোগুণের ধৰ্ম্ম । কোনটর বা মূঢ়রূপে জ্ঞান হয়, এইটী তমোগুণের ধৰ্ম্ম, সাংখ্যমতে গুণও গুণবতের অভেদ বলিয়া শৰাদিকেই পৃথিব্যাদিরূপ বলা হইয়াছে। ‘বহিরিস্ক্রয় গ্রাহ বিশেষগুণবৰং ভূতত্বং, অর্থাৎ যে সমস্ত ভূতের শব্দাদি বিশেষ গুণ বহিরিক্রিয় দ্বারা গৃহীত হইতে পারে তাহাকে ভূত বলে, তন্মাত্ৰসকলের শব্দাদি গুণ সাধারণের গত্যক্ষ হয় না বলিয়া উহাদের ভূতত্ত্ব নিরাকরণ হইয়াছে। শাস্তত্ব ঘোরত্ব মূঢ়ত্বই বিশেষ ধৰ্ম্ম, উগ না থাকায় স্বল্পভূতকে অবিশেষ বলা যায়। কি দেব বা যোগিগণ কি মনুষ্যগণ, কাহারই বাগিঞ্জিয় শস্বতন্মাত্রকে বিষয় করে না, লাগিন্দ্রিয় শস্বতন্মাত্রের পিতা নহে, সহোরি, উভয়ই এক পিতা অহঙ্কার হইতে উৎপন্ন। হস্তাদির দ্বারা আগৰ্ঘ্য (গ্রাহ) ঘটাদিকে পঞ্চ বলে, কেন না, উইাতে পঞ্চভূতের সমষ্টি আছে ॥ ৩৪ ৷ - ੀਂ। সাম্প্রতং ত্রয়োদশশ্ন করণেষু কেষাবি ও গুণভাবং, কেষাঞ্চিং প্রধানভাবৎ সহেতুক মাহ ।
