गा९थाठख-6कीबूो । ᎼbrᏄ ইঞ্জিয়গণ দ্বারা অযুগত ( গঠিত ) বলিয়া উহাকে বিশেষ বলে ৮ গল্প, এই স্বগ্নশরীরই পুরুষের ভোগের আয়তন (স্থান, অবচ্ছেদ ) হউক না কেন? প্রত্যক্ষ এই স্থলশরীরের ( বাটকৌশিকের ) আবগুক কি ? এইরূপ আশঙ্কায় বলিতেছেন, স্বল্পশরীর সংসরণ করে অর্থাৎ এক একটা স্কুলশরীরকে প্রাপ্ত হইয়া উহা পরিত্যাগ করে, পরিত্যাগ করিতে করিতে অন্ত একটা গ্রহণ করে। প্রশ্ন, এরূপ কেন করে ? উত্তর, যেহেতু, উপভোগ রহিত, অর্থাৎ ষাটুকৌশিক শরীর ব্যতিরেকে স্বক্ষশরীর ভোগ জন্মাইতে পারে না, এই নিমিত্ত সংসরণ করে । ধৰ্ম্ম ও অধৰ্ম্ম বশতঃই সংসার হইয়া থাকে, স্বল্পশরীরের ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম সম্বন্ধ নাই, তবে কি হেতু সংসরণ করে ? এইরূপ আশঙ্কায় বলিতেছেন,— কুষ্মশরীর ভাব অর্থাৎ ধৰ্ম্মাধৰ্ম্মাদি দ্বারা সংশ্লিষ্ট । ধৰ্ম্ম, অধৰ্ম্ম, জ্ঞান, অজ্ঞান, বৈরাগ্য, অবৈরাগ্য, ঐশ্বৰ্য্য ও অনৈশ্বর্য এই আঁটটকে ভাব বলে, ইহাদিগের দ্বারা বুদ্ধি অনুগত, অর্থাৎ ইহারা বুদ্ধির ধৰ্ম্ম, বুদ্ধির দ্বারা অনুগত স্বাক্ষশরীর, সুতরাং স্বল্পশরীরও ভাব দ্বারা অধিবাসিত ( সংশ্লিষ্ট ), যেমন অতি সুগন্ধ চম্পক-পুষ্পের সংসর্গে বস্ত্র সেই গন্ধে সুগন্ধি হয়, অতএব ধৰ্ম্মাধৰ্ম্মাদি ভাব দ্বারা অধিবাসিত ( অমুগত ) হয় বলিয়া হুগ্রশরীর সংসরণ করে। মহাগলয়েও প্রধানের স্তায় স্বক্ষশরীর,অবস্থান কেন না করে ? এইরূপ আশঙ্কায় বলিতেছেন,— লিঙ্গ, লয় (বিনাশ, তিরোভাব ) গ্রাপ্ত হয় বলিয়া স্বল্পশরীরকে লিঙ্গ বলে । স্বল্পশরীর হেতুমৎ অর্থাৎ জন্ত, বুলিয়া বিনাশী হয় ॥ ৪• । মন্তব্য লিঙ্গ শরীরের সহিত সম্বন্ধই পুরুষের বন্ধ, উক্ত সম্বন্ধ নাশই মুক্তি । ব্যবহার দশাতে লিঙ্গ শরীরকেই আত্মা বলা যায়। স্থখ-দুঃখ, ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম প্রভৃতি সমস্তই লিঙ্গ শরীরে থাকে। লিঙ্গ শরীরে তন্মাত্রের সম্বন্ধ আছে বলিয়া উহাকে অবিশেষ বলা হউক, এইরূপ আশঙ্কায় বলিয়াছেন, ইঞ্জিয়রূপ বিশেষের সম্বন্ধ থাকায় লিঙ্গ শরীরকে বিশেষ বলে। তন্মাত্ররূপ অবিশেষকে অপেক্ষা করিয়া যেমন স্থলভূতকে বিশেষ বলা যায়, তদ্রুপ জহঙ্কাররূপ অবিশেষকে অপেক্ষা করিম ইন্দ্রিয়গণকে বিশেষ বলা গিয়া থাকে। চম্পকের সংযোগে চম্পকের গন্ধ যেমন বস্ত্রে সংক্রমিত হয়, তদ্রুপ বুদ্ধির সংযোগে বুদ্ধিবৃত্তি ধৰ্ম্মাধৰ্ম্মাদিও লিঙ্গ শরীরে থাকে বলা ধাইতে পারে। ইন্দ্রিয় ও শরীরের পার্থক্য আছে বলিয়া তন্মাত্রকেই লিঙ্গ শরীর বলা উচিত, নতুবা লিঙ্গশরীর বুদ্ধাত্মক বলিয়া উহাতে ধৰ্ম্মাধৰ্ম্মাদি নাই, এরূপ আপত্তিই
