পাতা:সাংখ্যতত্ত্ব-কৌমুদী.djvu/২৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাংখ্যতত্ত্ব-কৌমুদী। Ջ ՖԳ জ্ঞান-জন্ত সংস্কার তত্ববিষয়ের সাক্ষাৎকার জন্মায় বলিয়া উহা আদিমান হষ্টলেও উe দ্বারা মিথ্যাজ্ঞান खश्च সংস্কারের উচ্ছেদ হইতে পারে, কেন না, বুদ্ধির স্বভাব যথার্থ পক্ষ অবলম্বন করা, বাহ অর্থাৎ বধিমুখ বৌদ্ধগণও উক্ত বিষয়ে সন্মতি দিয়া থাকেন,—“বিপৰ্য্যয় জ্ঞানের দ্বারা যত্নপূৰ্ব্বকও দোষপুঞ্জ যথার্থবিয়য়ক জ্ঞানের বাধা. জন্মান যায় না, কারণ, বুদ্ধি যথার্থ জ্ঞানের পক্ষপাতিনী।” জ্ঞানের আকার বলা হইয়াছে,— “আমার কোন ক্রিয়া নাক্ট, কোন বিষয়ে সম্বন্ধ নাই, আমি কওঁ ন “ন অস্মি” এই পদদ্বয় দ্বারা আত্মাতে । সাধারণ ক্রিযার নিষেপ করা হইয়াষ্টে, “ক্ব, ভূ ও অস্ ধাতু, ইহারা সাধারণ ক্রিয়ার বাচক" এইরূপই ( শাস্ত্রকবিগণ ) বলিয়াছেন, অতএব আত্মার ক্রিয় নাই এ কথা বলায় “অধ্যবসায় (নিশ্চয়, বুদ্ধির ধৰ্ম্ম ), অভিমান ( আমি বা "আমার, অহঙ্কারের ধৰ্ম্ম ), সঙ্কল্প ( বিশেষরূপে বস্তুর নির্ণয়, মনের ধৰ্ম্ম ) ও আলোচন ( সামান্তাকারে বস্তুর জ্ঞান, ইন্দ্রিয়ের কার্য' ), এই কএকটা আস্তর ধৰ্ম্ম এবং বাগিবের সমস্ত ব্যাপারও আত্মার নাই এ কথা বলা হইয়াছে বুঝিতে হইবে । যে হেতু আত্মাতে কোন ব্যাপারের সম্পর্ক নাই, এই নিমিত্তই , অমি কর্তা নষ্টি, অহং শব্দে কৰ্ত্তাকে বুঝায়, কেন না, আমি জানি, আমি হোম করি, অামি দান করি, তামি ভোগ করি ইত্যাদি সকল স্থানেই কর্তার (অষ্টং পদ দ্বারা) উল্লেখ হইয়া থাকে। ক্রিয় না থাকিলে কস্তৃত্বও থাকে না, অর্থাং কিছু না করিলে কৰ্ত্ত হওয়া যায় না, অতএব ক্রিয়া নাই বলিয়া আমি কৰ্ত্ত নাই এ কথা ভালই বগা হইয়াছে। এই নিমিত্তত কিছুতে আমার সম্বন্ধ নাই, কারণ, কত্তাই স্বামিত্বকে লাভ করে, কর্তৃত্ব না থাকায় স্বাভাবিক অর্থাৎ বাস্তবিক স্বামিত্ব কিরূপে হইবে ? ইহাই তাৎপৰ্য্য ? প্রকাবাস্তরে অর্থ করিতেছেন, “না অস্মি” আমি না ( নৃ-শব্দ প্রথম একবচন ) অর্থাৎ পুরুষ, এসবরূপ ধৰ্ম্ম আমার নাই, অর্থাৎ আমাতে কোন বিকার হয় না, বিকার নাই বলিয়াই কৰ্ত্ত নহি, কৰ্ত্ত নমি ফুলাই আমি কোন বিষয়ে স্বামী নহি । প্রশ্ন, পূৰ্ব্বেক্ত তত্ত্বসকল জানিলেও কখনও কোন অজ্ঞাত বিষয় থাকিয় যায়, উক্ত বিষয়ে অজ্ঞান জীবগণকে বদ্ধ করিবে, এইরূপ আশঙ্গায় বলিয়াছেল, উক্ত জ্ঞানে কিছুরই অবশেষ থাকে না, জানিতে হইবে এরূপ কোন বস্তুই পরিশিষ্ট থাকে না, বাহার অজ্ঞান পুনৰ্ব্বার বন্ধন করিলে, এইরূপ 'তাৎপর্য। ৬৪ । . -