উপদেশ ৷ } সাম্যদর্শন । పెళి কার্যের অনুষ্ঠাতাকে যথোক্ত ফল প্রদান করেন না। যেমন পিতার ইচ্ছা পুত্র অরোগী হউক, তেমনি শাস্ত্রেরও ইচ্ছা প্রজা সকল শান্তি লাভ করুক। পিতার প্ররোচনায় তিক্তাস্বাদ ঔষধ সেবন করিলে পুত্র যেমন কেবল আরোগ্য লাভই করে, মোদক পায় না, সেইরূপ, শাস্ত্রের প্ররোচনায় মনুষ্য শাস্ত্রোপদিষ্ট পথে গমন করিলে বাহ্যিক বা আধ্যাত্মিক কোন প্রকার না কোন প্রকার কুশল লাভ করে, অন্য ফল পায় না। “প্রতিপদি কুষ্মাণ্ডং , নামীয়াং” প্রতিপত্তিথিতে কুয়াও ভক্ষণ করিবেক না। এই একটি বিধি অর্থাৎ উপদেশাত্মক বাক্য । পাছে কেহ এই উপদেশ উল্লঙ্ঘন করিয়া অকুশলী হয়, এই ভয়ে শাস্ত্র, উহার গাত্রে একটু নিন্দার্থবাদ সংলগ্ন করিয়া দিলেন “কুষ্মাণ্ডে চার্থহানিঃস্যাৎ" যে প্রতিপত্তিথিতে কুষ্মাণ্ড ভক্ষণ করিবেক, তাহার অর্থ বিনাশ হইবে । বস্তুতঃ কথিত সিদ্ধান্তের সুকুসারে বুঝিতে হইবে যে ঐ অর্থবাদ বাক্যটি কেবল প্রতিপত্তিথিতোলাকদিগকে কুয়াও ভক্ষণ হইতে নিবৃত্ত রাখিবার চেষ্টা করিতেছে মাত্র, কুয়াও ভোক্তার অর্থ বিনাশ করিবার চেষ্টা পাইতেছে না। ফলতঃ উক্ত উপদেশ বাক্যের মৰ্ম্ম এই যে, প্রতিপত্তিথিতে কুষ্মাও ভক্ষণ করিলে রাস্তবিক কোন অপকার না হউক, ভক্ষণ না করিলে শারীরিক বা মানসিক কোন প্রকার না কোন প্রকার উপকার প্রভূর অঙ্গি বাক্যের উপর ভক্ত-পুরুষের অচলা ভক্তি ও বিশ্বাস থাকায় তাহারা যেমন প্রভুবাক্য সকল শিরোধার্ঘ্য করতঃ বহন করে-সেইরূপ, শান্ত ভক্ত ব্যক্তিরা যেন উক্ত কথার উপর ভুক্তি ও বিশ্বাস নিহিত করিয়া কুমাওভোজনে নিবৃত্ত থাকিলেম,কিন্তু রাষ্ট্রর 39 -
