সাঙ্খ্যদর্শন । যুক্তি ও "לפא র্থের সংযোগ হইলেই ধূম জন্মে, তৈজস পদার্থের সহযোগে ধূম জন্মে না । কেন नी, বছি মধ্যে এক খণ্ড কাষ্ঠ নিক্ষেপ করিলে, তাহার দাহন কালেই ধূম জন্মে, কিন্তু এক খণ্ড সুবর্ণ নিক্ষেপ করিলে, সেই সুবৰ্ণ খণ্ডের দাহন কালে ধূম জন্মে না। অতএব, ধূম ও বহ্নির স্বাভাবিক ব্যাপ্তি-জিজ্ঞাসু-ব্যক্তির ইহাই ,অবধারণ করা কৰ্ত্তব্য যে, বহ্নির সহিতই ধূমের স্বাভাবিক ব্যাপ্তি, ধূমের সহিত নহে। ঘুমের সহিত বহির যে ব্যাপ্তি দেখা গিয়াছিল, তাহ স্বাভাবিক নহে। তাহ পদার্থাস্তরের [ দাহ্য বিশেষের ] সংযোগ বশতঃই ঘটয়াছিল। এই রূপ নির্ণয়ের ফল এই যে, কোথাও অবিছিন্ন মূল ঘুমের উদগম দেখিতে পাইলে, তন্মলে বন্ত্রি প্রাপ্তির আশা করা বাইতে পরিবে, কিন্তু বহি মাত্র দেখিয়া কজ্জলুসম্পাদনের নিমিত্ত তদুপরি ধূমের আশা করা যাইতে পারিবে না । - - যে কারণ দ্বারা ব্যাপ্তির অস্বাভাবিকত্ব নির্ণয় করা যায়, সেই কারণ-দ্রব্যটির নাম উপাধি। জলীয়-পরমাণুবহুল দাহ্য পদার্থের সংযোগ, ধূমের সহিত বহ্লির অস্বাভাবিক ব্যাপ্তি প্রকাশ করিয়া দিতেছে বলিয়া উহা ধূমের সহিত বহির অস্বাভাবিক ব্যাপ্তি বা অস্বাভাবিক সম্বন্ধ নির্ণয়ের হেতু হইতেছে সুতরাং কথিত স্থলে ঐ আদ্রে স্কন সজল কাষ্ঠ ] সংযোগই উপাধি হইয়াছে। । উপাধি দুই প্রকারে উপস্থিত করা যাইতে পারে। এক শঙ্কিত রূপে, অপর সমারোপিত রূপে। উপাধি প্রদর্শন করিতে পারিলে তাছা সমারোপিত উপাধি হইবে, আর উপাধি থাকার শঙ্কা মাত্র করিলে তাহ শঙ্কিত নামে পরিগণিত হইবে। এই দুই প্রকার উপাৰিই অনিষ্টকারী অর্থাৎ প্রকৃত যুক্তির আচ্ছাদক পরস্তু তদুভয়ের
