পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

えあヤ সাধনা... সন্তানকামনার দেবত হইয় অবধি ধীরে ধীরে বন্ধ ছাড়িয়া । ধূতি চাদর ধরিয়াছেন এবং ময়ূরে চড়িয়া যখন বাহির হন তখন হিন্দুস্থানী কাঠিন্য সে দেহে কিছুমাত্র প্রকাশ পায় না । বাঙ্গলার চিত্রকর যদি এই অধুনাতন বঙ্গীয় ভাবে কিঞ্চিৎ অধিকমাত্রা বিচলিত হয়ে ন সে জন্য র্তাহাকে তত দোষ দেওয়া যায় না। কিন্তু কাৰ্ত্তিকেয়কে বাঙ্গালী করিয়! অর্গকিলেও র্তাহীর গঠন ও মুখ শ্ৰীতে সৌন্দর্য্যের বিশেষ বিকাশ হওয়া আবশ্যক । কারণ, সংস্কৃত অাদর্শ হইতে ভ্ৰষ্ট হইলেও অামাদের মনে কাৰ্ত্তিকেরে রূপের প্রতিষ্ঠা অটল ? কিন্তু বাঙ্গলার চিত্রশিল্পে রূপ যে কোথায় প্রচ্ছন্ন থাকে তাই দেবতারাও জানেন না । সৌন্দর্য্য উন্মেষিত করিতে পারিলে স্থলবিশেষে প্রচলিত অাদর্শের অনুসরণ করিয়াও চিত্রকর আপন &t গৌরব রক্ষা করিতে পারিতেন । তাহাতেও ত বিশেষ একটা ভাবের বিকাশ থাকিত । এবং সেই ভাবের গুণে সংস্কৃত আদর্শ হইতে অল্পবিস্তর বিচু্যতি কাহারও নিকট তেমন মারাত্মক বলির বোধ হইত না । চিত্রকর যে ভাবেই চিত্রিত করুন, ভাবটি চিত্রে পরিস্ফুট করিয়া তুলিতে হইবে ; এবং চিত্ৰ যেন কোথাও অসঙ্গত না হয় } র্ণ মানুষের মত না হওয়া, গঠনে প্রকৃতির সাধারণ নির্ণ মের ব্যতিক্রম, এবং মুখশ্ৰীতে সকল ভাবের আত্যন্তিক অভাবইহাই এখন আমাদের চিত্রশালার গৌরব । গৌরাঙ্গ পীতবর্ণ ; কারণ, কাব্যে গোর অঙ্গের সহিত তপ্তকাঞ্চনের সাদৃশ্য । হইয়াছে এবং তপ্তকাঞ্চনে হরিদ্রার কথঞ্চিৎ আভাস পাওয়া যায়। রাধার প্রেমাস্পদ শ্ৰীকৃষ্ণ যেন যুগ যুগ ধরিয়া সৰ্ব্বাঙ্গে প্রাণপণ き 爾 £2. 5 হিন্দু দেবদেবীর চিত্র। ২৮ চে নল পেন্সিল ঘষিয়াছেন ; এবং এই বহু ಕ್ಷ್ কেবলমাত্র শ্ৰীমতী রাধিকার হৃদয় নহে কিন্তু ಶ್ಗ - বসিয়া গঞ্জন ধৰ্ম্মচিত্রকরদিগেরও হৃদয় মন অধিকার ੰ ছেন। রণোন্মাদিনী শু্যাম। এই অঙ্গরধূমোদগারী কলিযু মতা রাণীগঞ্জগঞ্জিন--আবিশ্রাম আল কাতর। লেপন e হু ষ্টি কত্ত । বিধাতাও মানবশরীরে সে বর্ণের আভাস ব্যক্ত করিতে অক্ষম । কিন্তু এই অদ্ভুত বর্ণসঙ্গম চিত্রকরের দোষে ಇ অথবt সংস্কৃত আদর্শের দোষে ? সংস্কৃত সাহিত্যে শুমা রাত্রর ন্যায় কৃষ্ণবর্ণ ; এবং কৃষ্ণেরও বর্ণ মেঘের ন্যায় । সুতরাং মানবদেহে এই রাত্রি অথবা মেঘের বর্ণ ফুটাইতে হইলে চিত্রকর নীল পেন্সিল প্রভৃতির শরণাপন্ন না হইয়া কি করেন ? কিন্তু, সাহিত্য রসজ্ঞ মাত্রেই জানেন, উপমা সাদৃশ্যস্থচক মাত্র । চন্দ্ৰ বদন বলিলে কাহারও মনে একটি কলঙ্করেখালাঞ্ছিত দীপ্ত গোলাকার মুখমণ্ডল উদিত হয় ন—মনে একটি প্রস্ফ টিত সৌন্দর্যের ভাব o সত্যই ভ্যাম যে রাণীগঞ্জ সম্ভব। এমন বুঝায় না –কেবল একটি ঘোর কষ্ণবর্ণ ভীষণগম্ভীর সৌন্দর্য্যের আভাস দেওয়া হয় । কধের ও বর্ণ সেইরূপ বাস্তবিকই মেঘ নহে। এবং নবদুৰ্ব্বাদল


ন বোদগত দুৰ্ব্বাহরিৎ নহে —-ন বছরবার বটে । মানবের বর্ণ কখনও মেঘ অথবা

হয় ? বর্ণও বস্তুভেদে বিভিন্ন। আকাশের নীলবর্ণ সমুদ্রের নীল দুগ্ধ, তুষার, ধবল বস্ত্র প্রভৃতি যাবতীয় শ্বেত । শ্বেতবর্ণের চিত্র নহে। আমাদের দেশের গৌরবর্ণে হরিদ্রৰি । পণS আভাস পাওয়া যায়, তাই বলিয় তাহা হরিদ্রারঞ্জতবৎ গবে। শ্যামবর্ণও সেইরূপ যতই শ্যাম হউক না কেন, মসীর মতও নয়, অঙ্গরসদৃশ ও বলা যায় না । সাহিত্যে এরূপ সাদৃশ্যগত অতিশয়োক্তি তাদৃশ দোষের নহে, কারণ, সাহিত্য . "ণর মনে এই সকল সাদৃশ্যের দ্বারা বস্তুর যথার্থ চিত্রগ্রহণে Y. - " ... - ہ۔یہہسپی سی-جستت=