পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৯০ - সাধনা ৷ চিত্রকরের প্রথম কৰ্ত্তব্যই এই যে, مخه تا - - লে যে সৌন্দৰ্য্যকল্পনা নিহিত আছে সেইটিকে আয়ত্ত করা । নহিলে, অসংখ্য সরল এবং বক্র রেখাপরম্পরার সমাবেশেও চিত্র কখনও উজ্জ্বল হইয়া উঠে না। দৃষ্টান্তস্বরূপ, আমাদের চিত্রকরদিগের হস্তে মহাদেবের যে সকল দুর্দশা ঘটিয়াছে তাহার উল্লেখ করা যাইতে পারে । - মহাদেব আমাদের পুরুষসৌন্দর্ঘ্যের চরম আদর্শ। কেবলি দৈহিক গঠনে নহে, অন্তরের ভাবে ও বাহিরের চালচলনে ও তিনি পরম পুরুষ । একদিকে বৈরাগ্য, অন্যদিকে গার্হস্থ্য ; এবং সেই অবিচলিত চরিত্রে উভয়েরই সমান প্রতিষ্ঠা । তাহার গৃহিণী অন্নপূর্ণ ; অনুচর নদী ভৃঙ্গ ; তিনি স্বয়ং ভোলানাথ শিব সদানন্দ। নিজের জন্য তাহার কিছুই নাই। সৰ্ব্বস্ব অন্নপূর্ণর হস্তে । সমর্পণ করিয়া দিয়া শিব ভিখারী । * - - এই যোগী গৃহস্থ আমাদের শ্রেষ্ঠ পুরুষ। গৃহে গৃহে শুভ্র বসনী কুমারীরা এই আদর্শের অনুরূপ পতি কামনায় নিত্য শিবপূজা করে। ঐ রূপ, ঐ অনিন্দিত উদার স্বভাব, ঐ অতুল প্রতাপ । এবং ক্ষমাশীল ধৈৰ্য্য নারীহুদয়ের সমস্ত পূর্ণ করিয়া আছে। - কিন্তু চিত্রপটে পেশীবিহীন গঠন, বাবু-মুখ শ্ৰী, তাম্ব, লরাগরক্ত অধর এবং নিম্প্রভ ভাব মন্থন করিয়। এ শিবিশ্বের কিছুই পাওয়৷ ।। বিশেষতঃ ভাব সম্বন্ধে আমাদের চিত্রকর্ণের সম্পূর্ণ। নহিলে, মদন ভক্টের চিত্রে চিত্রকর মহাদেবের গল"" হতে একটি তাম্রলোহিত বাট বাহির করিয়া দিবেন কেন ? * দীপ্ত রোষানলে মদন ভস্ম হইয়াছিল ইহাতে তাহ প্রকাশ পায় নাই ; গ্রকাশ পাইয়াছে কেবল উক্ত স্থলকায় বাঁটা—যাহার মদনকে দগ্ধ করিয়াছিল বলিয়। বিঘ্ন উৎপাদন করে না। কিন্তু চিত্রে এ সকল আতিশয্য সৰ্ব্ব৷ পরিহর্তব্য—চিত্র বস্তুকেই যথাযথ চিত্রিত করে । ইহাও কে না জানে যে, নীল অথবা হরিদ্বর্ণ মানব আমাদে কাহার ও মনে কোনরূপ সোন্দর্য্য উদ্রেক করিতে পারে না ? কৃষ্ণ যদি আকাশের মত নীল হইতেন তাহা হইলে কি गन গোপীকুল তাহার জন্য কুলমানে জলাঞ্জলি দিতে বদিত ? না, গৌরাঙ্গী রাধিক অহনিশি গুরুজন ও ননন্দার বাক্যবাণ সন্থ করিয়াও ঐ শ্ৰীপাদপদ্মে সমস্ত শরীর মন আত্মা সমর্পণ করি তেন ? নীল মানববর্ণের কোনও আকর্ষণ নাই। কৃষ্ণবর্ণে একটি সুকুমার উজ্জল লাবণ্য দেখা যায়, তাহতে একটি প্রশাস্ত কমনী, য়তা আছে। সেই জন্যই মহাভারতকার সাহস করিয়া কৃষ্ণ দ্রৌপদীকে স্বয়ম্বরসভায় উপস্থিত করিয়াছেন । শ্ৰীকৃষ্ণকে কবি নারীসৌন্দর্য্যের মধ্যস্থলে প্রতিষ্ঠিত করিয়াও অম্লান রাখিয়াছেন। কিন্তু এ সকল ত গেল প্রেমসিক্ত সৌন্দর্য্যের কথা । যখন । করলে কালিকার ভীষণ ভাব ব্যক্ত করিতে হইবে তখন একটু অস্বাভাবিক কালে না করিলে চলিবে কেন ? সে উলদিনী উন্মাদিনী মূৰ্ত্তি দু’এক পোছ আলকাতর নহিলে ত খুলে না। কিন্তু কালীর ভীষণত ব্যক্ত করিতে হইলে এই অমান্থধিক মিথ্যাবর্ণের আশ্রয় লইতে হুইবে এ কথা নুতন ভাষণত - তাহার কিসে ব্যক্ত হয় নাই ? নারীহাদয় কঠিন হইয়া গিয়া শুধু - আজ্ঞ শোণিতলালসায় উন্মত্ত হইয়া উঠিয়াছে এ দৃশ্য ভীষণ নহে ? যে বক্ষে সন্তান স্নেহ পান করিয়া পরিপুষ্ট হুইত, সে বক্ষ জুড়ির সহস্ৰ নৃমুণ্ড হইতে তপ্ত রক্ত ঝরিতেছে — ইহাতে কি 壱iホ平5「和 অভাব আছে ? সে কৃপাণ হস্ত। উলঙ্গিনী মূৰ্ত্তিই কি যথেষ্ট ভীষণ নহে? যে চিত্রকর শ্যামার দৈহিক গঠনে সৌন্দর্য্য কর্তা করিয়া, জিহবাকে হস্তাধিক বিস্তত করিয়া দিয়া এবং সৰ্ব্বার্গে অদ্ভুত রং লেপন করিয়া তাহার ভাষণত ব্যক্ত করিতে চেষ্ট করেন, সে চিত্রকরের প্রতিভার প্রশংসা করা যায় ন। --সাহি ত্যের যথার্থ মৰ্ম্মগ্রহণ করিতে না পারিয়া এবং নিরক্ষর কুম্ভকারু গণের পদানুসরণ করিয়া আমাদের চিত্রকরের এই ক্রটিগুণ ঘটাইয়াছেন । , . . . . . শিব নহে, দেবতাদের অনেকেই এইরূপ চিত্রকরের হস্তে ড়ির বহুবিধ বিকৃতি লাভ করিয়াছেন। দেবীগুলির উল্লেখ ন করাই ভাল—আমাদের চিত্রশালায় এমন একখানি চিত্র নাই। " দেখিয়া দেবীকে দেবকুলোদ্ভব বলিয়া মনে হয়। বোধ । করা যাই তে পারে । T

  • " চিত্রকরের। যদি কিছুকাল স্ব স্ব মানসী সৌন্দর্য্যকে মনান্ত