পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধন। গ্রন্ধপ গোস্বামী । । \39器 অর্থাৎ নিজ আজ্ঞার সহিত শ্রীরূপ ও সনাতনের পৃথক পৃথক নামকরণে এক একখানি “পাঞ্জাপাট্টা” অর্থাৎ নিজ করপল্লবश्रृङ সমনদ লিখিয়া গৌড়েশ্বরের নিকট পাঠাইয় দেন ।’ আকবর রূপসনাতনের লিপিচাতুৰ্য্যে মুগ্ধ হইয়। উভয়কে তৎক্ষণাৎ গৌড়েশ্বরের মন্ত্রীর পদে নিযুক্ত করিবার অ কাট্য কারণ স্বরূপ লেখক উল্লেখ করিয়াছেন যে, “সম্রাট আকবর যথার্থ গুণীলোকের অাদর ও সন্মান করিতেন । লেখা ও রচনার ভাবে দিল্লীশ্বরের হৃদ প্রত্যয় হইয়াছিল যে, লেখক ও রচক সামান্ত ব্যক্তি নহেন। হয় দেব-অংশসস্তৃত, নয় ঈশ্বরের কৃপাভাজন পাত্র, অথবা সরস্বতীর বরপুত্র ” এ সম্বন্ধে আমাদের আর কোন বক্তব্য নাই । - লেখক আর একস্থানে লিথিয়াছেন, “শ্ৰীকুমার দেব নবহট্ট (নৈহট্ট বাদ পরিত্যাগে নিজপুত্র বহুবিদ্যাবিশারদ শ্ৰীসনাতন শেষাবস্থায় বৃন্দাবনে বাস করিতেন। দিল্লীর সম্রাট আকবর ! সাহ সেই সময়ে আগর নগরে থাকিতেন । তিনি সনাতন ঃ গোস্বামীর উৎকট বৈরাগ্য ও অসাধারণ মহুত্বের বিষয় অবগত হুইয়া তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে গিয়াছিলেন । এই সময়ে । সনাতন বুদ্ধাবস্থায় উপনীত হইয়াছিলেন । লেখক একস্থানে । বলিয়াছেন, সনাতন ১৪৮০ শকে বৃন্দাবনে অন্তৰ্হিত হইয়াছিলেন। (নব্যভারত মাঘ ৫২৮ পৃষ্ঠা) ইহা সত্য বলিয়া অবধারণ করলেও আকবরের সহিত র্তাহার সাক্ষাৎ হওয়ার কথা অসঙ্গত বলিয়া বোধ হয় না । আকবর ১৫৫৬ খৃঃ অব্দে (১৪৭৮ শকে) সম্রাট হুয়েন, কিন্তু এই সময়ে তিনি চতুদশ বৎসর বয়স্ক বালক মাত্র । সুতরাং ১৪৮০ শকে তাহার বয়ক্রম ষোড়শ বৎসর। এত অল্প বয়সে তিনি যে সনাতনের সাধুতাতে মুগ্ধ হইয় তাহার দর্শনার্থী হইবেন, ইহা সম্ভব বলিয়া বোধ হয় না। আমাদের বোধ হয় আরও কিছু দিন পরে—অন্ততঃ ২-২৫ বং সর বয়সের সময় আকবর সনাতনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়া ছিলেন এবং সনাতনও অন্ততঃ ১৪৯০ শকাব পৰ্য্যন্ত জীবিত ছিলেন। ফলতঃ এ সম্বন্ধে ভক্তমালের সহিত প্রচলিত ইতি হাসের কোন বিরোধ পরিলক্ষিত হয় না । আমাদের বোধ হয়, লেখক মহাশয় ভক্তমাল আগ্রাহ্য করিয়। পারস্য গ্রন্থবিশেষ ও অমূলক জনপ্রবাদের আশ্রয় গ্রহণ করিয়াই ভ্ৰমে পতিত হইয়াছেন । - - লেখক আবার বলিতেছেন,আকবর এক সময়ে একটা পত্রেী উত্তরে মুগ্ধ হইয়। প্রথমে লেখক ও রচকের নাম জানিবার অভিপ্রায়ে গৌড়েশ্বরকে পত্র লেখেন । গৌড়েশ্বর সেই " | পাইয়া এবং অমাত্য গুণরাজ খান প্রমুখাং সমস্ত অবগত হই লেখক শ্রীরূপ ও রচক শ্রীসনাতন এই উভয় নাম পত্রভিউ লিখিয়া দিল্লীশ্বরের নিকট পঠাইয়া দেন । দিল্লীশ্বর সেই উত্ত পাইয়া, ত্ররূপ ও সনাতনকে মন্ত্রীর পদে অভিষিক্ত এবং " দার সহিত তাহাদিগকে ভ্ৰাতৃ ও বন্ধুভাবে গ্রহণ ও ರ್ಕ মন্ত্রণানুসারে রাজকাৰ্য্য সম্পাদন করণের নিমিত্ত "র"

  • ,

ও ঐক্লপ শ্ৰীবল্লভ, এই পুত্রতনয় এবং অন্যান্য বন্ধু বান্ধব সহিত গৌড় রাজধানীর নিকটস্থ রামকেলী গ্রামে বাস করিয়াছিলেন।” কিন্তু ভক্তিরত্না করে লিখিত আছে, সনাতনের পিত কুমার, জ্ঞাতিবর্গের অত্যাচারে উৎপীড়িত হইয়। নৈহাটার বাস পরিত্যাগপূর্বক পূৰ্ব্ববঙ্গের বাকুলচন্দ্র দ্বীপে (আধুনিক বাকরগঞ্জ) গিয়া বাস করেন । যাতায়াতের ভূবিধার নিমিল্ল যশোহরের অন্তর্গত ফতোয়াবাদ গ্রামে দ্বিতীয় বাসস্থান নির্দিষ্ট করিয়াছিলেন। এই ফতোয়াবাদ গ্রামেই রূপসনাতন জন্ম গ্রহণ করিছিলেন। এই ফতোয়াবাদ এখন যশোর জেলার অন্তর্গত। এখানে রূপসনতনের অট্টালিক। প্রভৃতির ভগ্নাবশেষ চিন্ত্র ও برای ساب-مح “জ্ঞাতিবর্গ হৈতে উদ্বেগ হৈল মনে । ছাড়িলেন নবহট্ট গ্রাম সেই ক্ষণে ॥ নিজগণ সহ বঙ্গদেশে শীঘ্ৰ গেলা । বাকল চন্দদ্বীপ গ্রামেতে বাস কৈল । যশোরে ফতোয়াবাদ নামে গ্রাম হয় । গতায়াত হেতু তথা করিল আলয় ॥” _ - ভক্তিরত্নাকর ।