পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8રર - সাধনা ৷ রায়জী ? আজও ত চন্দ্র স্থর্ষ্যি উঠচে–সত্যিই কিছু ঘোর কলি এখনও আসে নি।” . সিদ্ধেশ্বর রায় এ কথার উত্তর না দিয়া বলিয়া চলিলেন, “ছোট তরফের বিষয়টুকু যদি হাত করতে পারি, বছর দশেকের ভিতর লক্ষ টাকার মুনাফা হবে সে আর কি আশ্চৰ্য্য কথা ! কিন্তু সে সবই নির্ভর করচে কৰ্ত্তামার একটা কথার ওপর । কালেক্টর সাহেব জিজ্ঞাসা করলে তাকে বলতে হবে যে কুকীর বয়স ষোলবছরের কম কিছুতে নয়। আর তাতে কোকন বাবুর বয়সও কিছু বেড়ে যাবে। এখনও তার সাবালক হতে প্রায় পাচবছর বাকী। এ হিসাবে খুব কম হয় ত তিনটে বছর এগিয়ে আসবে।” হরিপ্রিয়া । তা আমি কখন বলতে পারবে না। আমার ভামা তুলসী নিয়ে মিছে বলে কোকার অকল্যাণ করব ? বিনোদ বলিল “মা তামা তুলসী তোমার হাতে দ্যায় ত আমি জানালা গলিয়ে ফেলে দেব। সে ভয় করোনা ।” হরা বলিল, “সত্যি সত্যি কিছু কালেক্টর সাহেব কত্তামাকে তাম তুলসী দিয়ে জিজ্ঞেস করবে না। তাও কি হয় ? মা হলেন সাক্ষাং অন্নপূর্ণ p” - সিদ্ধেশ্বর বলিলেন “বিষয় আশয় করতে গেলে কল কৌশল ছাড়া তামা বেশী ! তার পর টাকা খরচ করে প্রায়শ্চিত্ত করলেই ত পাপক্ষয় হয় ।” - কত্রী ঠাকুরাণী কিছুতে মিছা বলিতে সম্মত হইলেন নী “আমার ছাওয়ালের অকল্যাণ হবে” বারবার এই কথাই বলিলন। কাজেই সিদ্ধেশ্বর পরামর্শ করিলেন, কালেক্টর সাহেব আ"ি একটা ছাওয়াল, আর জন্মে কত পাপ করেছি তাই এত শাস্তি। । গতি নেই। তাম তুলসী ! হলেই বা ! রূপে সোণ বেশ কি শরীর ভাল নয় বলিয়া কত্রী তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতে ক্ষান্ত থাকিবেন। রায়জী উঠিবার সময় বিনোদাও হরাকে সাবধান করিয়া দিলেন, কথাটা যেন প্রকাশ না হয়। কিন্তু বিনোদাদাসী যতক্ষণ না স্নানের ঘাটে ভগীর দেখা পাইয় তাহার কানে কানে | সকল কথা বলিয়াছিল, ততক্ষণ তার প্রাণটা অস্থির হইয়া উঠিয়া{ झिज्ञ । | - দশম পরিচ্ছেদ । তাহাকে না শুনাইয়া ছাড়িত না। অন্য কোন কথা শুনিলে ভগী হয় তখনই ভুলিয়া যাইত, নয় পরিপাক করিয়া ফেলিত, কিন্তু সুর| বালার অমঙ্গলসূচক অমন একটা খবর জমাদারকে যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত | কথায় না শুনাইয়া সে থাকিতে পারিল না। শুনিয়া অকালী সিং | | i ; | অনেকক্ষণ অগ্নিগর্ভ ভূধরের মত স্তম্ভিত হইয়া রহিল। দুনিয়াতে নেমকহারামির ততটা প্রাবল্য হওয়ায় সেদিন প্রাতঃকালে অকালী সিং স্বর করিয়া রামায়ণ পড়ার নিত্যকৰ্ম্ম বন্ধ করিয়া দিল এবং. বিশেষ চেষ্টা সত্ত্বেও উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে গালি না দেওয়া তাহার পক্ষে অসম্ভব হইয়া উঠিল। ক্রমে তাহার আরক্ত চক্ষু এবং কম্পিত শুদ্ধ হইতে গৈরিক নিস্রববৎ যে সকল তপ্ত বাক্যবাণ নির্গত ইহল, বাঙ্গালী শ্রোতারা তাহার ভিতর “শু্যালা” ও “শ্বশুরা’ ছাড়া দাতালার ঘরে বসিয়া পুতুলগুলিকে কাপড় পরাইতেছিলেন। অকস্মাৎ জমাদারের উচ্চকণ্ঠ শুনিয়া দেউড়ার দিকে যখন ছুটিয়া | ৪২৩ ৷ ভগী দাসী কখন কাহারও কথায় থাকে না। কিন্তু বিনোদ । o তার দূরসম্পর্কের মাসতুতো বোন, সে দুটাে একটা কথা মাঝে মাঝে শার বড় কিছু বুঝিতে পারিল না। সুরবালা তখন অনন্তমনে । গল, অকালী সিং তখন তাহার সে দিনকার অব্যক্তনামা খালক