পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- 8२० - * - হরাও প্রণাম জানাইল বটে কিন্তু তাহাতে কোন বিশেষণ যোগ করিল না। বিনোদ বলিল “মা পুছতিছেন, রায়জীর শরীর ত “ভালই আছে বলিয়া সিদ্ধেশ্বর একেবারে কাজের কথায় গিয়া পড়িবার জন্য ব্যস্ত হইলেন। কেননা তাহার জানা ছিল, অতঃপর কত্রী তার পুত্ৰকলত্রাদির কুশল জিজ্ঞাসা করিয়া গঙ্গাস্নান কি ব্রাহ্মণভোজনের প্রসঙ্গ তুলিলে কাজের কথা চাপ পড়িয়া যাইবে। রায় মহাশয় তাই এক নিশ্বাসে বলিয়া ফেলিলেন যে, শরীর তার . | ভালই আছে বটে কিন্তু মনটা ভাল নাই। এবং তার পর কত্রীর প্রশ্নমতে মোক্তারের চিঠির মৰ্ম্ম বিবৃত করিলেন । শুনিয়া কত্রী কিন্তু রায় মহাশয়ের মত বৈষয়িক উৎকণ্ঠায় নিমগ্ন হইলেন না। সরিক ছোট তরফের জন্য র্তার প্রাণ কাদিয়া উঠিল। কালেক্টর সাহেবের আদেশে যেদিন তার কোকনকে । দারোগ ধরিয়া লইয়া গিয়াছিল, সেদিন মনে পড়িয়া গেল। বলি লেন “মৈত্র গোষ্ঠীর যা কিছু ইজ্জত আবরু ছিল, তা আর থাকে নী দেখচি। কোকনকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল, সে যাহোক ব্যাটাছেলে তাতে ইজ্জতের উপর হাত পড়ে নি। ছোটতরফের কুকীকে যদি নিয়ে যায়, তবে কি সৰ্ব্বনাশ হবে । তার না হয় মা বাপ নেই, কিন্তু আমরা ত এখনও বেঁচে আছি। রায়জী, টাকা খরচ করলে কি কালেক্টর সাহেবকে নিরস্ত করা যায় না ?” কত্রী ঠাকুরাণীর হালকা বুদ্ধিতে রায়জীর সর্বাঙ্গ জলিয়া গেল, কিন্তু একে মনিব, তায় কৌশল করিয়া কার্য্যোদ্ধার করিতে হইবে। কাজেই মনের সে ভাব গোপন করিয়া উর্ণনাভের মত তিনি জাল বিস্তারে মন দিলেন। , த “হুজুরের দয়া মায়ার শরীর, সকলের মান ইজ্জতের দিকেই i ৪২১ দৃষ্ট। কিন্তু ছোট তরফের বাবু এ তরফকে এক চোটে পেলে । দুচোটের অপেক্ষ রাখতেন না। আমি তখন ও তরফে কাজ করি, আমার আর কিছু জানতে বাকী নেই। তা কালেক্টর সাহেব যা ইচ্ছে করুক, তাতে আমাদের কি বয়ে গেল ? তবে এই সুযোগে । আমি ভাবচি কি যে, ছোট তরফের বিষয়গুলো কোকন বাবুর করে দিই। মাঠাকুরাণীর এতে কি মত ?” - বিষয় আশয়ের কথা শুনিয়া কিন্তু মাঠাকুরাণীর মাথা ঘুরিতেছিল, বিশেষ এ প্রহেলিকার ছন্দাংশও তার বোধগম্য হয় নাই। r S AAAAAA AAASA SAASAASAAAS .سيس- مسعسr- e>++-ল-নাল নলস+ল रळ्ऽ{"म्ऽY * - ज्झ : - ম্যানেজার আপন প্রশ্নের উত্তর না পাইয়া দুইবার তাহ পুনরুক্ত করিলেন। কাজেই কলের পুত্তলির মত কত্ৰী বলিলেন, “যা ভাল বিবেচনা হয় করুন।” . . . সাহস পাইয়া রায়জী বলিয়া বসিলেন “কালেক্টর সাহেব আসবেন তদারক করতে যে ছোট তারফের কুকী নাবালিকা কি সাবালিকা? ৷ নাবালিকা প্রমাণ হলে বিষয় কোর্ট অব ওয়ার্ডে যাবে, তাহলে পাচ । সাত বছরের ভেতর ডিক্রীর দেন। সব শোধ হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা যদি প্রমাণ করতে পারি যে তিনি সাবালিকা, ষোল বছরের কম । বয়স নয়, তা হলে কালেক্টর সাহেব বিষয় আশয়ে হাত দেবেন না, . দেনার দায়ে অনায়াসে আমরা সৰ্ব্বস্ব বেচে নিতে পারবো।” - এতক্ষণে হরিপ্রিয় ম্যানেজারের কথা বুঝিলেন এবং আতঙ্কে জিহ্বা দংশন করিলেন। বিনোদ তাহ দেখিয়া আপন হইতে বলিল “সে চেষ্টা পাওয়া হবে না রায়জী " সিদ্ধেশ্বর। কেন ? • ‘ কত্রীর শিক্ষামতে বিনোদ বলিল “মা বুলতিছেন, পরের মন্দ করতে গেলে আপনার মন্দ আগে হয়। আমার কোকনের যা - পাছে তাই খায় কে ? অধৰ্ম্ম করে বিষয় করলে কি ভোগ হয় ।