পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/২২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আপাততঃ অসম্ভব। যথা, সৈনিকের কাজ-নাবিকের কাজ । ইত্যাদি। যাহাতে বাঙ্গালীর বল-প্রকৃতি পরিপুষ্ট হয় তদ্বিয়ে সকলের যত্ন করা উচিত। যে সকল কাজের জন্য আমরা এক্ষণে । অনুপযুক্ত, বল-প্রকৃতির উন্নতি হইলে, সেই সকল কাজের জন্য আমরা উপযুক্ত হইতে পারি। অনেক কাজের দ্বার যাহা এক্ষণে আমাদের নিকট রুদ্ধ, তখন তাহা অপেন হইতেই উদঘাটিত হইবে। কলকারখানার কাজে আমরা যে বড় প্রবেশ করিতে চাহি না তাহার অর্থ এই, আমাদের দৈহিক প্রকৃতি এখনও সেই সকল কাজের উপযুক্ত হয় নাই। ঘোড়সওয়ারের কাজ—জাহাজচালকের কাজ– রেলগাড়ি চালকের কাজ-অর্থাৎ যে সকল কাজে শ্রমসহিষ্ণুত বল ও সাহসের আবশ্বক সেই সকল কাজে বাঙ্গালী হিন্দুরা প্রায়ই অগ্রসর হয় না। বল-প্রকৃতি পরিপুষ্ট হইলে এই সকল কাজের দ্বার আমাদের নিকট উন্মুক্ত হইবে। তখন আপন হইতেই এই সকল কাজে আমাদের প্রবৃত্তি জন্মিবে—এই সকল কাজকে তখন আর অপমানের কাজ বলিয়া আমাদের মনে হইবে না। কেরাণী ও আইনব্যবসায়ীর সংখ্যায় দেশ ছাইয়া গেল। আর চলে না। এখন জীবিকার নূতন নুতন পন্থা আবিষ্কার করা নিতান্তই আবণ্ডক হইয়াছে। כבאב-אם-א-בסe-c. ה-rarre-ס প্ৰলয় । - جهٔ = i مساحت বাল্যকালে একদিন পিতামহীর নিকট শুনিতে পাই, পৃথিবী | এক সময়ে উলটিয়া যাইবে । সে দিন ভাল নিদ্রা হইয়াছিল কি স্মরণ নাই। মনের ভিতর প্রবল বিভীষিকার সঞ্চার হইয়াছিল এইটুকু স্মরণ আছে। পরদিন পাঠশালার একটি প্রবীণতর দে বিজ্ঞানের কথা বিশেষ ভাবে সমালোচনা করিয়া মতপ্রকাশ করিয়া আশ্বাস দেন, পৃথিবী উন্টাইবে সন্দেহ নাই ; তবে এখনও তাহার ভবিষ্যৎ উন্টান অপেক্ষা পণ্ডিত মহাশয়ের বর্তমান উপস্থিতি অধিকতর উদ্বেগের কারণ নিৰ্দ্ধারিত করিয়াছিলাম। : o সম্প্রতি বৈজ্ঞানিকগণ প্রলয়-তত্ত্ব সম্বন্ধে নানাবিধ আলোচনা ও গবেষণা করিয়াছেন। ফলে পিতামহী ঠাকুরাণীর উক্তির সহিত বন্ধুর আশ্বাসবাণী যোগ করিলে যে কয়টি কথা হয়, তাহার অধিক বিজ্ঞানশাস্ত্রও কিছু বলেন না। প্রলয় একদিন ঘটবে সন্দেহ নাই; তবে এখনও দেরী আছে । • - - - ভিন্ন ভিন্ন দেশের প্রাচীন শাস্ত্রকারদের মুখেও এই রকমই কথা । শুনা যায়। প্রাচীন কালের বিচক্ষণ ব্যক্তিরা অতি দূরদর্শী অথচ সরল-প্রকৃতিক ছিলেন। তাহারা অকস্মাৎ এক একটা বড় গভীর সিদ্ধান্তে উপস্থিত হইতেন ; অথচ আধুনিক বৈজ্ঞানিকদিগের ন্যায় যুক্তিতর্কের জটিলতা ও কঠিনতার ভিতর প্রবেশ করিতেন না। আজকাল লোকের আধ্যাত্মিক দুরদর্শিতার অভাবে এইরূপ কুটিল পথে পরিভ্রমণই ফ্যাশন হইয়া দাড়াইয়াছে। তবে মনুষ্যজাতির সৌভাগ্যক্রমে দুই একজন লোক এমন কদাচিৎ পাওয়া যায়-যাহাদের দূরদর্শিতা অধিক না থাক, বুদ্ধিরূপী আধ্যাত্মিক অনুবীক্ষণের । ম - “ স্বাক্ষদর্শনশক্তির তীক্ষত বশে তাহারা প্রাচীন উক্তির ভিতর নানা বিধ স্বল্প তথ্য আবিষ্কার করেন। যাই হউক, আমরা সাধারণ মানব, সে কথা ছাড়িয়া বিজ্ঞানের নিকটেই সদুত্তরের প্রত্যাশা রাখি। । বিজ্ঞান একরকম সদুত্তরও দিয়াছেন। অধ্যাপক ক্লিফোর্ড সকলের কথা সামঞ্জস্ত করিয়া বলিয়াছেন, পৃথিবীর ধ্বংস হইবে ঠিক, । তবে গরমে হইবে কি ঠাণ্ডায় হইবে বলা যায় না। অধ্যাপক জেবনস্