পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনুমান করিতেন। টেটু সাহেব দেখাইয়াছেন অন্ত কারণে সেই সম্প্রতি অনেকে সাধারণ জড়পদার্থের সহিত ঈথরের সম্বন্ধ নির্ণয়ে প্রবৃত্ত আছেন। তাহদের অনুসন্ধানে কি দাড়াইবে বল। যায় না। যে কারণেই হউক, পৃথিবীর বেগ ক্রমশঃ মন্দীভূত হইতেছে তাহার প্রমাণ পাওয়া গিয়াছে। আড়াই হাজার বৎসর পূর্বে অহোরাত্র যত বড় দিন, এখন তার চেয়ে একটু, সাতাইশ লক্ষ ভাগের এক ভাগ মাত্র, বাড়িয়াছে। মাত্রা যাহাই হউক, কালে বেগ আরও মন্দ হইবে সংশয় নাই। *... --> লর্ড ফেলবিনের নাম দুই একবার উল্লেখ করিয়াছি। ফেলবিন একটা প্রকাও তথ্যের আবিষ্কৰ্ত্তা। বাঙ্গলায় ইহাকে জাগ আমাদের জীবনদাতা। স্বৰ্য্যমণ্ডল প্রভূত পরিমাণে তাপরশ্মি । বিকীরণ করিতেছে। তাহার কণিকামাত্র লইয়া আমাদের উৎপত্তি, স্থিতি, ও গতিবিধি। স্বৰ্য্যমণ্ডলে তাপ জন্মিতেছে আর বাহির হইয়া যাইতেছে ; স্বৰ্য্যমণ্ডল ততই আয়তনে সঙ্কীর্ণ হইতেছে। স্বৰ্য্যের পরিধি বৎসর বৎসর প্রায় আশী হাত খাটাে হইতেছে। জু দশ হাজার বৎসরে আমরা অবশ্য তাহ টের পাই না ; কিন্তু অৰ্দ্ধ কোটি বৎসরের মধ্যে স্বৰ্য্যের আয়তন বর্তমানের আট ভাগ অর্থাৎ দুই আন মাত্র দাড়াইবে। এমন দিন আসিবে যখন ভাস্কর প্রভাহীন হইবেন । গগনপ্রদেশ অনুসন্ধান করিয়া এমন নিৰ্বাপিত স্বৰ্য্যমণ্ডল দুই একটার খোজ পাওয়া গিয়াছে। আমাদের স্বৰ্য্যেরও সেই পরিণাম অবশ্যম্ভাবী। তাহার বহুপূৰ্ব্বে পৃথিবী জীবশুন্য হইবে বলা বাহুল্যমাত্র। , - প্রলয় সম্বন্ধে বিজ্ঞানের এইরূপ উক্তি। পঞ্চাশ বৎসর পূর্বে ডাক্তার হুইবেল তদানীন্তন বিজ্ঞানের মুখপাত্রস্বরূপ হইয়া বলিয়াছিলেন, ভয় নাই। পঞ্চাশ বৎসর পরে পণ্ডিতমণ্ডলী একরকম একবাক্যে বলিতেছেন, ভরসাও নাই । নানা রূপে বিদ্যমান। কিন্তু শক্তি অপচয়োম্মুখী । শক্তিমাত্র আপন হইতে সহজে তাপরুপে পরিণত হয়। কিন্তু তাপ সহজে রূপান্তরিত হইয়া শক্ত্যন্তরে পরিণত হয় না। ফলে এমন দিন আসিবে, যখন শক্তির আর প্রকারভেদ থাকিবে না । জগদ্যন্ত্রের চলাচল বন্ধ হইবে। গ্রহ উপগ্রহ গতিরহিত হইয়া স্বৰ্য্যে মিলিবে। স্বৰ্য্যে স্বৰ্য্যে নক্ষত্রে নক্ষত্রে মিলিয়া যাইবে। ব্ৰহ্মাও একটা গতিহীন, বৈচিত্র্যহীন, তপ্ত অথবা শীতল মহাপিণ্ডের আকার ধারণ করিবে । এই পরিণাম নিবারণ করিতে পারে, এমন উপায় কিছু আছে দেখা যায় না। যদি তত দিন ধরিয়া বৰ্ত্তমান নিয়মাধীনে জগৎ চলে, তবে এই পরিণাম অনিবাৰ্য্য। এই পরিণামকে মহাপ্রলয় বলিতে পার। হবার্ট স্পেন্সর মনে করেন এই প্রলয়ান্তে পুনরায় নুতন স্বষ্টির আরম্ভ হইবে। কিরূপে হইবে, তাহার সঙ্গত উত্তর কৃতজ্ঞতা । একাদশ পরিচ্ছেদ । ধীরে ধীরে অকালী সিং দেউড়ীতে ফিরিয়া চলিল। যে ক্রোধা- . . . বেগে অধীর হইয়া মত্ত করার মত সে সিদ্ধেশ্বর রায়কে অবহেলায় ছড়িয়া ফেলিয়াছিল তাহ যেমন তীব্র তেমনি ক্ষণিক। আকস্মিক

o

o i

§

宝 তিক শক্তির অপচয় বলা যাইতে পারে। সম্প্রতি শক্তি জগতে কিছু দেন না।