পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধন। . ده . তরল অবস্থায় ছিল তাহাও বিশ্বাস করিতে হয়। কতদিন তারল্য গিয়া কাঠিন্যে দাড়াইয়াছে, তাহাও একরকম মোটামুটি গণন করা চলে। ভূপৃষ্ঠ ক্ৰমে ক্রমে শীতল ও কঠিন হইয়াছে, এবং সেই ক্রমশঃ সঙ্কোচনের জন্য বন্ধুর, উচুনীচু হইয়া দাড়াইয়াছে। সরস ফল রৌদ্রে শুকাইলে যেমন তাহার ত্বক বন্ধুর জড়সড় হয়, ভিজ মাটি যেমন শুকাইলে ফোফড় হয় বা ফাটিয়া যায়, কতকটা সেই রূপ। ভূপৃষ্ঠে অমনি স্থানে স্থানে ফাট আছে। গর্ভস্থ তপ্ত পদার্থ কখন কখন সেই ফাট দিয়া প্রবল বেগে বাহির হইয় পড়ে । তথন একটা প্রকাণ্ড কাণ্ড ঘটে ; ইহারই নাম অগ্নিগিরির অগ্ন্যুৎপাত। সেদিন ৮২ সনের ক্রাফাটোয়ার অগ্ন্যুৎপাতে যে সকল পদার্থ ভূগর্ভ হইতে নিঃস্থত হইয়া নভোমণ্ডলে নিক্ষিপ্ত হইয়াছিল, তাহ আজিও কতক কতক বায়ুরাশিতে ভাসিতেছে। সমুদয় অধঃপতিত হয় নাই। অবশু পুরাকালে পৃথিবী যখন আরও উত্তপ্ত ছিল, তখন কার অগ্ন্যুৎপাতে যে আরও প্রবল ঘটনা ঘটিত সন্দেহ নাই। হিসাবে দেখা যায়, কোন পদার্থ সেকণ্ডে আট মাইল বেগে উৎক্ষিপ্ত । o ーニー 。 - - न "סברס -הכ-"תא" סבס سـحجد হইলে তাহা অার ভূপৃষ্ঠে ফিরিয়া আসে না । হয়ত পুরাকালে কোন প্রবল অগ্ন্যুৎপাতে পৃথিবীর দুই এক টুকরা চিরকালের মত পৃথিবী ছাড়িয়া চলিয়া গিয়াছে। রবার্ট বল সাহেবের মতে এই রূপে অনেক উল্কাপিণ্ডের উৎপত্তি হইয়া থাকিবে। যাহাই হউক, পৃথিবীর অন্তরস্থ শক্তি এখন যাহা বর্তমান আছে, তাহাতে ক্রাফাটোয়ার ব্যাপারের মত একটা ছোটখাটাে প্রাদেশিক প্রলয় ঘটা ইতে পারে, কিন্তু তাহার দ্বারা ভবিষ্যতে একটা মহাপ্রলয়ের আশঙ্কা আছে বোধ হয় না। একটা প্রকাও অগ্ন্যুৎপাত ঘটিয়া পৃথিবী যে দ্বিধা বা সহস্রধা ভগ্ন হইয়া যাইবে সেরূপ আশঙ্কা বড় নাই। লাপলাস গ্ৰহগণের কক্ষচুতির একটা প্রবল काबून अभंनाव প্রলয় ৫১১ মধ্যে ধরেন নাই। লর্ড ফেলবিন স্বয়ং ও তৎপথাকুবৰ্ত্তী জর্জ ডারু ইন এ সম্বন্ধে অনেক নূতন কথা বলিয়াছেন। চন্দ্রমণ্ডল সমুদ্রের । জলরাশিকে প্রত্যহ পৃথিবীর দৈনিক আবর্তনের প্রতিকুলে টানিয়া । লইয়া যাইতেছে। ফলে পৃথিবীর আবর্তনের বেগ ক্রমে একটু । - করিয়া ক মিতেছে ও চন্দ্রের দূরত্বও একটু করিয়া বাড়িয়া যাই- । তেছে। এমন দিন ছিল যখন চন্দ্রমণ্ডল আমাদের আরও নিকটে -- ছিল। এমন সময় আসিবে যখন চন্দ্র আরও দূরে যাইবে । এখন ২৪ ঘণ্টায় পৃথিবী একবার আবর্তিত হয় ; তখন এগার শ কি বার শ ঘণ্টায় পৃথিবী আবর্তন করিবে। এখন ছোট দিনের প্রায় তিনশ । পয়ষট্টি দিনে বৎসর হয় ; তখন সেই বড় বড় দিনে । সাত দিন কি আট দিনে বৎসর হইবে। মনুষ্য জাতিকে সে । পৰ্য্যন্ত অপেক্ষা করিতে হইবে কি না জানি না ; কিন্তু ঘটনাট । অনিবাৰ্য্য। . যে কারণে চন্দ্র পৃথিবী হইতে দূরে যাইতেছে, ঠিক সেই কারণে পৃথিবীও স্বৰ্য্য হইতে ক্রমশঃ দূরে যাইবে। পৃথিবীর কক্ষ । চুতির এই একটা কারণ। ইহার ফল নির্দেশ বাহুল্য। - আর একটা কথা । আকাশ যে সৰ্ব্বতোভাবে শূন্ত নহে তাহা । প্রতিপন্ন নহে। আলোকবাহী ও তাড়িত-তরঙ্গবাহী ঈথর নামক । পদার্থ সমগ্র আকাশ ব্যাপিয়া রহিয়াছে। পৃথিবী সেই ঈথর ঠেলিয়া । স্বীয় মাগে ভ্রমণ করিতেছে। জল কিংবা বায়ু পদার্থের গমনে । বাধা দেয়, ঈথর অতি সুহ্ম ও লঘু পদার্থ হইলেও যে কিছুমাত্র বাধা । দেয় না তাহা বিশ্বাস করা কঠিন। তবে এ বিষয়ে এখনও সম্যক । প্রমাণ পাওয়া যায় নাই। ঈশ্বরের গতিঘাত ক্ষমতা আছে কি না । টেই সাহেব অনেক চেষ্টায় তাহার প্রমাণ পান নাই। ঈথরের প্রতিঘাতে এনকি সাহেবের আবিষ্কৃত ধূমকেতুর কক্ষচ্যুতি অনেকে --