পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ॐ५ o سسسسسسسسسمح ستمتمححسسسسسسسسسسسسسسسسسسسسسسسســـــــس SA. - স্থায় জ্ঞান থাকে না । জাগ্রৎ ও স্বপ্লাবস্থায় অসংখ্য জ্ঞানের সাংখ্যদর্শন । >8 ○ জাবির্ভাব তিরোভাবেরও “চৈতন্য” হয়। অতএব “চৈতন্য” যেমন নিত্য"জ্ঞান’ তেমনি ক্ষণিক । স্বযুপ্ত অবস্থায় আত্মার চৈতন্য থাকে ইহা সাংখ্যদের একটি বিশেষ প্রণিধানযোগ্য কথা। তাহারা বলেন ;– । “সমাধি স্বলুপ্তি-মোক্ষেৰু ব্ৰহ্মরূপত ।” ৫–১১৬ --আত্মা সমাধি অবস্থায়,স্থষুপ্তি অবস্থায় এবং মোক্ষ অবস্থায় "ব্রহ্মত্ব” * প্রাপ্ত হয়। সমাধি অর্থাৎ ধ্যান ; ধ্যানের লক্ষণ ;– “ধানং নির্বিষয়ং মনঃ ” ৬ – ২৫ - —ঘে জাগ্ৰদ বস্থায় মনের বিষয়স্বরূপ কোনও জ্ঞান থাকে না— তাহার নাম ধ্যান। আর যে অবস্থায় কোন কারণেই আত্মার কোনও প্রকার দুঃখ উৎপন্ন হয় না—তাহার নাম মোক্ষ। মোক্ষ ও ধ্যান সম্ভব কি না, তাহা এস্থলে বিবেচ্য নহে। পরে তাহার আলোচনা করিব । কিন্তু স্থষুপ্তি কি, তাহা আমরা সকলেই জানি। গভীর নিদ্রার নাম স্বযুপ্তি। যে নিদ্রাবস্থায় কোনও প্রকার স্বপ্নদর্শন হয় না তাহার নাম স্বযুপ্তি। তৎকালে “ন ভূত ‘চৈতন্যং প্রত্যেকাদ্বষ্টেঃ সাংহত্যেহপিচ।” ৫—১২৯ —অর্থাৎ ভৌতিক পদার্থ বিযুক্ত হইয়াই থাকুকু বা সংযুক্ত হইয়াই থাকুক, তাহাতে “চৈতন্য” নাই। কেহ কেহ চৈতন্য ও জ্ঞানকে সমানার্থক বলিয়া বুঝেন । তবে উপরোক্ত ভেদ জ্ঞাপনের জন্য “বি শুদ্ধ চৈতন্য” ও “বিকৃত চৈতন্য’’ এইরূপে চৈতন্যের ভিন্নাবস্থা স্বীকার করেন । তদ্রুপ জ্ঞানকে সাধারণ জ্ঞান ও কেবল জ্ঞান বা “কৈবল্য” বলিয়া বিভক্ত করেন । এইরূপ বিভাগ ! সমীচীন বলিয়। মনে হয় না। যদি জ্ঞান ও চৈতন্যের বাস্তবিক ভেদ কিম্বা ভিন্না বস্থা থাকে, তবে ভিন্ন ভিন্ন শব্দ ব্যবহার করাই যুক্তিসিদ্ধ । বোধ হয়, চৈতন্য ও জ্ঞানের এইরূপ লক্ষণ করিলে সাংখ্যদর্শ নের মূলতত্ত্ব স্পষ্টীকৃত হইতে পারে, যথা – (১) চৈতন্য = আত্মার স্বকীয় সত্বা ও অবস্থার অনুভব । (২) জ্ঞান = ভৌতিক পদার্থ দ্বারা আত্মার অবস্থান্তর। চৈতন্য আত্মার নিত্যসহচর । চৈতন্য দ্বারা বিযুক্ত হইয়া আত্মা কোন কালেই থাকে না । চৈতন্যের লোপে আত্মার বিলোপ | আত্মা যেমন নিত্য, চৈতন্যও তেমনি নিত্য । চৈতন্য তাত্মার স্বভাব সিদ্ধ ধৰ্ম্ম । আত্মা সকল সময়েই স্বকীয় সত্ত্বার ও অবস্থার অনুভব করিয়া থাকে। আমি আছি, আমার এক্ষণে অবস্থ৷ এইরূপ--ঈদৃশ অল্প ভবকে চৈতন্য বলা যায়। পক্ষান্তরে “জ্ঞান” আত্মার নিত্যসহচর নহে। স্বযুপ্তি অব ইয়াও অবষ্টন্ধ ও অবরুদ্ধ হয়। প্রকৃতি পুরুষের কোনও অবস্বাস্তর সাধন করে না ; প্রকৃতির পুরুষের উপর ক্রিয়া কারিত। ত্তি নিরুদ্ধ হয়। আত্মা তৎকালে স্বীয় সত্ত্বা ও অবস্থার যেরূপ জাগ্ৰং অবস্থায় তাহার কিছুমাত্র স্মৃতি থাকে না। ক্রয় প্রকৃতিসংযোগ জন্য জ্ঞান ; স্বতরাং প্রকৃতির বৃত্তিনিরোধ অবস্থায় চৈতন্যের স্থাত অসম্ভব । + আবির্ভাব তিরোভাব হইতে থাকে। যখন জ্ঞান হয় তখন আমার ঈদৃশ জ্ঞান হইতেছে বলিয়া “চৈতন্য" থাকে ; আবার একপ্রকার জ্ঞান অন্তৰ্হিত হইলে ও ভিন্ন প্রকার জ্ঞান সমুদ্ভূত হইলে, সেই

  • অর্থাৎ শরীরের অধিষ্ঠাতাস্বরূপ শরীরকে জীবিত রাখিয়াও তদ্বারা

অভিভূত হয় না। -

  • জাগ্ৰদ বস্থার জ্ঞান স্মৃতির সত্ত্বাবশতঃ অহঙ্কারসমন্বিত-সুপ্তি অবস্থায়