পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y S 8 সাধন । সংখ্যদর্শন । N 8 (R স্বষুপ্তির পর লোকে অনুভব করে—“আমি অতিমুখে নিদ্র গিয়াছিলাম।” ইহাতে যে নিদ্রাবস্থার কোন ও প্রকার মুখের চৈতন্যের স্মৃতি হয় তাহ বলা যায় না । ইহাতে কেবল দুঃখtভাব প্রকাশ করে। গভীর নিদ্রায় আমার সকল দুঃখজনক জ্ঞানের এবং সকল দুঃখের অবসান হইয়াছিল ইহাই বক্তব্য। সুষুপ্তি অবস্থায় চৈতন্যকে জ্ঞানাভাব ও দুঃখাভাবের চৈতন্য বলা যায় ; কিন্তু সেই চৈতন্য কোন ও ভাবপদার্থের চৈতন্য কি না, তাহা নিশ্চয় করা যায় না। ফলতঃ সুমুপ্তিতত্ত্বটি পণ্ডিতগণের সবিশেষ আলোচনার উপযুক্ত । চৈতন্য থাকিলেও জ্ঞান থাকে না দেখা গেল । কিন্তু চৈতন্য ব্যতিরেকে জ্ঞান অসম্ভব । জ্ঞানের ন্যায় সুখদুঃখ ও চৈতন্য ব্যতিরেকে অসম্ভব । যখন সুখ ও দুঃখের উদয় হয়—-তখন আত্মা তত্তদবস্থাপন্ন হইল বলিয়। চৈতন্য বা অনুভব জন্মে। তাদৃশ অনু ভব যখন অসম্ভব তখন সুখদুঃখ ও অসম্ভব। তন্দ্রপ রাগদ্বেষাদি এবং ইচ্ছাশক্তির স্ফৰ্ত্তিসমকালেও 5. দের মূলে আত্মার চৈতন্যের সদ্ভাব দেখা যায়। চৈতন্যের অপর এক নাম “বোধ ” । চৈতনা আত্মার স্বাভাবিক ধৰ্ম্ম বলিয়া সাংখ্যের আত্মাকে “বুদ্ধ” এই সংজ্ঞা প্রদান করেন । এবং আত্মাকে — ১৭ ॥ হুখ ও আনন্দ ॥ জ্ঞান ও চৈতন্যের যে প্রভেদ, সুখ ও আনন্দের মধ্যেও সেই গ্রভেদ । যে সুখের বিচ্ছেদ নাই তাহার নাম আনন্দ । তাহ। অবিচ্ছিন্ন, সন্তত ও চিরাভ্যস্ত বলিয়া বিশেষ প্রণিধান ব্যতিরেকে অনুভূত হয় না । পক্ষান্তরে – প্রকৃতিসংযোগ জন্য রূপরসাদির অনুভবে সুখের উৎপত্তি। সুখের আবির্ভাব তিরোভাব আছে। আনন্দ চৈতন্যের সহচর ; তাহ। নিত্য, তাহার আবির্ভাব তিরোৰ নাই । আত্ম। যেমন স্বীয় অস্তিত্ব ও অবস্থা সৰ্ব্বদা অনুভব রে, তেমনি সেই অনুভবের সঙ্গে সঙ্গে একটি অনিৰ্ব্বচনীয় প্রীতি বা মধুরভাবের অনুভব করে। আত্মার স্বীয় অস্তিত্বায়ু ভব সর্বদাই মধুর ভাবময় ; সেই মধুরভাবের নামই আনন্দ । যখন মৃত্যু বা আত্মার সম্ভাবিত বিনাশের আশঙ্কা উপস্থিত হয়—তখন সেই মধুরভাব বিশেষ পরিস্ফুট হইয় উঠে। অসহ যন্ত্রণার মধ্যেও মন্ত্র্য মরিতে চাহে না—কেন না, তৎকালেও স্বীয় স স্থানুভবের সঙ্গে একটি অনিৰ্ব্বচনীয় আনন্দ প্রবাহ বিদ্যমান এবং মরিলে পাছে সেই অস্তিত্ব একবারে দীপশিখার ন্যায় নিৰ্ব্বাণ হইয়া যায় এবং তৎসহকৃত আনন্দের বিলোপ হয়—তজ্জন্যই মরণের ভয় । সরিলেও আত্মার অস্তিত্ব থাকিবে এরূপ স্থির বিশ্বাস জন্মিলে সমুয্যের মরণের ভয় ঘুচিয়া যায়। * নিত্যবুদ্ধস্বভাব তজন আত্মা যেমন চৈতন্যময় বা চিন্ময়-তদ্রুপ কেহ কেহ বt গায়াকে “আনন্দময়” বলেন । কিন্তু এই মত সাংখ্যদশননিত্যচৈতন্যময় اس-هها

  • পক্ষান্তরে যাহা স্থখ ও দুঃখ তাহ ভৌতিক পদার্থের ক্রিয়াজনিত জ্ঞানের লাল। আনন্দপ্রবাহ অখণ্ডিত ; কিন্তু সুখদুঃখ জ্ঞানের ন্যায় ক্ষণিক এবং "ণভাবতিরোভাবস্বভাব। জ্ঞান যেরূপ প্রকৃতি পুরুষের সংযোগজন্য, *ইখও তদ্রুপ তাদৃশ সংযোগজন্য। উহা আত্মার স্বভাবসিদ্ধ ধৰ্ম্ম নহে।

বলিয়। বর্ণনা করেন । কপিলস্থত্র ১-১৯ ॥ চৈতন্যে স্মৃতি না থাকায় তা হাতে অহঙ্কারের লেশ থাকে না । তজ্জন্য সাংখ্যের