পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s ovア 、 সাধন । মৃচ্ছকটিক । R c > কথা শেষ হইতে না হইতে রদনিকাকে লইয়া মৈত্ৰেয় প্রবেশ করিলেন । চারুদত্ত দেখিলেন যে, যাহার অঙ্গে উত্তরীয় নিক্ষিপ্ত হইয়াছে সে রদনিক নহে ; কিন্তু যেই হোক, ইহার অঙ্গে উত্তরীয় বড় শোভা পাইয়াছে । পথ অতিক্রম করিয়া একেবারে চারুদত্তের পক্ষদ্বীরে অসিয়৷ উপস্থিত হইলেন । তখন চারুদত্তের জপসমাপ্তি হইয়াছে এবং বয়স্য মৈত্রেয় পরিচারিক রদনিক সমভি ব্যtহারে মাতৃকাগণের পূজার্থে পক্ষদ্বার উন্মুক্ত করিয়া বাহিরে আসিতেছেন। দ্বার উন্মুক্ত হইতেই বসন্তসেনা তাড়াতাড়ি রদনিকার হস্তস্থিত দীপ নিবাইয়া দিয়া গৃহে প্রবেশ করিলেন। বাতাসে দীপ নিবিয়া গেল ভাবিয়া মৈত্রেয় পুনরায় দীপ জালিয়া আনিতে গেলেন । ইতিমধ্যে শকার অাসিয়া বসন্তসেনাক্রমে রদনিকার কেশগুচ্ছ ধারণ করিল। মৈত্রেয় প্রদীপ লইয়া আসিতেই শকার রদনিকণকে ছাড়িয়া দিল। বিট মার্জন ভিক্ষাপূর্বক এ ঘটনা যাহাতে চারুদত্তের কর্ণগোচর না হয় সে জন্য মৈত্রেয়কে বিস্তর অনুনয় সহকারে অনুরোধ করিল। কিন্তু শকারের আস্ফালন থামিল না। সে শাসাইয়া গেল যে, বসন্তসেন। আমাদের অনুনয় “ছাদিত শরদত্রেণ চন্দ্রলেখেব দৃশ্যতে ” মৈত্রেয় বসন্তসেনার পরিচয় দিয়া দিলেন। এবং কামদেবীয়তনের কাহিনী ও রাজ শ্যালকের দুর্ব্যবহারের কথাও প্রকাশ করিয়া বলিতে ত্রুটি করিলেন না । চারুদত্ত কেবল বলিলেন অজ্ঞে হিসেী’ এবং উত্তরীয়নিক্ষেপের জন্য বসন্তসেনার নিকট অপরাধ স্বীকারপূর্বক ক্ষমা প্রার্থনা করিলেন। বসন্তসেনাও চারুদত্তের ন্যায় সন্ত্রান্ত জনের গৃহে তাহার প্রবেশ অত্যন্ত অনুচিত কাৰ্য্য হইয়াছে বলিয়া ক্ষমা চাহিলেন । ইহাই প্রথম স্থচন । তাহার পর রাজপথে বিপদাশঙ্কায় বসন্তসেন অলঙ্কারগুলি চারুদত্তের নিকট গচ্ছিত রাখিলেন । এবং পরিশেষে চারুদত্তই তাহাকে গৃহে রাখিয়া আসিলেন। এইখানে মৃচ্ছকটিকের প্রথম অঙ্ক সমাপ্ত হইল। এবং এই যে চারুদত্তের সহিত বসন্ত সেনার সংস্পর্শ সুচিত হইল, দশ অঙ্কের মধ্য দিয়া বিবিধ বিপ্লবচক্রে ও বিচিত্র চিত্রে ইহাই ক্রমে বিকশিত ইরা উঠিয়াছে। রাজী-কবি শূদ্রক গণিকা কন্যার এই প্রণয়বন্ধনে উজ্জয়িনীর সাময়িক সমাজনাট্যের প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন। এবং কে অঙ্কে এই প্রণয়ঘটনার চতুর্দিকে বিলাসী উজ্জয়িনীর সমগ্র বলাস অনুলিপ্ত হইয়াছে। - উজ্জয়িনীর তদানীন্তন সমাজ চিত্রিত করিতে হইলে এই "পদ ভিন্ন আর কিছুই নাই। গণিকা তখন নগরের শোভা বলিয়া গণ্য হইত এবং দুতিভবন তাহার ঐশ্বৰ্য্যের পরিচায়ক - පි সেই গণিকা কন্যাকে প্রত্যপণ না করিলে কপাট তল প্রবিষ্ট কপিখবং মড়মড়শব্দে চারুদত্তের মস্তক চূর্ণীকৃত হইবে জানিয়ো । বাহিরে যখন এই কাণ্ড চলিয়াছে, গৃহাভ্যন্তরে তখন চারুদন্ত বসন্তসেনাকে রদনিক ভাবিয়া পুত্র রোহসেনকে গৃহাভ্যন্তরে আনিতে আদেশ করিলেন এবং বসন্তসেনার প্রতি স্বীয় জাতীকুস্থমবাসিত উত্তরীয়খণ্ড নিক্ষেপ করিয়া তদ্বারা রোহসেনের গাত্রাচ্ছাদন করিয়া দিতে বলিলেন । বসন্তসেন। নীরব নিশ্চল । আদেশ পালিত হইল না দেখিয়া চারুদত্ত ক্ষুঃস্বদয়ে বলিলেন, ইরি রদনিকে, আজ প্রতিবচন পৰ্য্যন্ত নাই—পুরুষের অবস্থাবিপৰ্য্যনে মিত্রও শক্র হইয়া দাড়ায়, চিরান্নুরক্তও বিরক্ত হয়।