পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- . . . সাংখ্যদর্শন । ২৩১ - ২৩০ সাধন । - - ফলতঃ কপিলের শাস্ত্রকে সংসার হইতে উদ্ধারের উপায় । বলিয়া অনুশীলন করিলে সেই শাস্ত্রের প্রকৃত সৌন্দৰ্য্য অননুভূত । থাকিয় যায় । - যাহা “কপিলস্থত্ৰ” বলিয়া এক্ষণে প্রচলিত ইহার অনেক অংশ স্পষ্টই কপিলের রচনা বলিয়া অঙ্গীকার করা যায় না। সাংখ্যের যে সকল পদার্থ স্বীকার করেন “ব্যাপ্তি” তদন্তৰ্গত কি না ইহার বিচারে এই দুইটি স্বত্র দেখা যায় ;– লাগিলাম ; তাহাই এক্ষণে পাঠকগণকে দেখাইবার চেষ্টা করিতেছি । - মনুষ্যের রচিত কোনও শাস্ত্রই নিরবচ্ছিন্ন ভ্রান্তিমূলক অঞ্চল নিরবচ্ছিন্ন সত্যমূলক হইতে পারে না। কপিলের শাস্ত্রের পক্ষে এই কথা থাটে । দর্শনশাস্ত্র পাঠ করিতে গেলে গোড়ামী পরি. ত্যাগ করিতে হয়। ফলতঃ দর্শনের অনুশীলনে গোড়ামী অন্ত হিত হয় বলিয়৷ ইহার অনুশীলন আদরণীয়। পাঠকগণ বোধ হয় লক্ষ্য করিয়াছেন যে, এই প্রবন্ধমালার লেখক মহর্ষি কপিলকে একজন প্রগাঢ় ধীশক্তিসম্পন্ন সমুজ্জল প্রতিভাশালী ব্যক্তি বলিয়া মনে করেন ; কিন্তু তা’ বলিয়া তিনি কপিলকে অভ্রান্ত পুরুষ বলিয়া মানিতে প্রস্তুত নহেন । কপিলের প্রতি মনের ভাব এইরূপ থাকিলেই তাহার উপদেশের সারসঙ্কলন সম্ভব । কপিলের যে সকল ভাষ্যকার কপিলকে একবারে অত্রান্ত বলিয়া মনে করেন—তাহীদের বিদ্যাবুদ্ধি তাহাতেই প্রকাশ । তাহার কপিল যে যে স্থানে ভুলিয়াছেন তাহ বুঝিতে এবং বুঝা ইতে অক্ষম । সেই মৰ্ম্মগ্রহণের অক্ষমতা কপিল যেখানে ভুগেন নাই সেখানেও প্রকাশিত । একজন ভাষ্যকার কপিলস্থত্রের প্রথম স্বত্র ব্যাখ্যাবসরে লিখিতেছেন ;– “অৰ্থ জগন্নাহুদিধর্ষ মহামুনিঃ কপিলঃ ফলসৌন্দৰ্য্যজ্ঞানস্ত ফলেছ छ्i६! সাধনপ্রবৃত্তেী কারণত্বং পস্তান ফলসৌন্দৰ্য্যমাহ । এই ভাষ্যকার কপিলকে “জগতের ত্ৰাণকৰ্ত্তা” বলিয়া বিধা করেন ; এইরূপ গোড়া ভাষ্যকারদের ভাষ্য সতর্কতার সহিত পাঠ করিতে হয়। - নিজশক্ত স্তবমিত্যাচাৰ্য্যাঃ । ৫–৩১ আধেয় শক্তিযোগ ইতি পঞ্চশিখঃ --৫-৩২ এস্থলে গৌরবে বহুবচনান্ত আচাৰ্য্যাঃ পদে আদিসাংখ্যাচাৰ্য্য কপিলকে বুঝিতে হইবে । তাহ হইলে এই স্বত্র কপিলের পরবর্তী শিষ্যদের বচন ইহা স্পষ্ট অনুভূত হয়। আর পঞ্চশিখা 어 ধ3া fဲ့ ( র F i 학 t কণ অ স স্তু ব ?ぐ。 છે झे C झे স্ব ত্র ক পি {. ল র (. জানেন স্থত্রের অনেকস্থলে পুনরুক্তি এবং বিসস্বাদ দেখা যায় ; এই প্রবন্ধমালাতেই কোনও কোন স্থলে তাদৃশ স্থত্রের উদাহরণ দেওয়া হইয়াছে । অতএব প্রচলিত কপিলস্বত্রকে ব্যক্তিবিশেষের রচনা না বলিয়া সম্প্রদায়বিশেষের রচনা বলিয়। t झु t র Įį যদি কপিলের মূল মত কি ছিল তাহ জানিবার প্রযত্ন কর। ইর-তবে সাংখ্যদর্শনের পরিভাষাতেই তাহার মত অন্বেষণ করতে হইবে । আমরা যদি ইহযুগে বঙ্গভাষায় নুতন দর্শন"ত্রের ভিত্তি স্থাপিত করিতে বাঞ্ছা করি—তবে সাংখ্যদর্শনের পরি