পাতা:সাধনা (দ্বিতীয় বর্ষ).djvu/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধনা। - যে স্বভাবতঃ”বুদ্ধ"ওমুক্ত—বুদ্ধ হইলেই দে মুক্ত হওয়া যায় এসংস্কার তাহার থাকিয়া গেল।—তবে তাহার মনে হইল যে “তুফার”_ নিৰ্ব্বাণ হইলেই—অর্থাৎ সংসারে ভোগবাসনার বিলোপ হইলেই । বৃদ্ধ অর্থাৎ বিশুদ্ধ চৈতন্যময় হওয়া যায়—এবং মহষ্য মুক্ত হয়। তিনি রাজপুত্র হইয়াও রাজ্যত্যাগ করিলে তাহার যে তৃষ্ণার নির্মাণ হইস্বাছে তাহাতে আর কাহারও সন্দেহ থাকিল না। অতএব তিনিই: সংসারে প্রথম “বুদ্ধ" বলির বিখ্যাত হইলেন, এবং কপিল যাহাকে মোক্ষ বলিয়াছিলেন তাহা এক্ষণে নিৰ্ব্বাণ আখ্যা প্রাপ্ত হইল। অতঃপর কিরূপে স্বপহুঃখের হাত এড়াইয়া বিশুদ্ধ চৈতন্যময় হওয়া । যায়—কিরূপে “নিত্য-গুদ্ধ-যুদ্ধ-মুক্তস্বভাব" পুনর্গাভ করা যায়— তাছাই কিছুকাল মানবজীবনের লক্ষ্য হইল। দুঃখের অত্যন্ত নিবৃত্তি সম্ভব কি না ইহা দৰ্শন-শাস্ত্রের অতীত কথা। ঋধিবল সোমযাগের দ্বারা দুঃখের অতান্ত বিনাশ সস্তাবনার উপদেশ দিতেন—কপিল তাহার বিরোধী হইয়া তপস্তার পন্থা প্রচার করেন। তিনি বলিলেন “দীর্ঘকাল শীতাতপের মধ্যে, ক্ষুৎপিপাসার মধ্যে, আমার বিবেক-মার্গের অনুশীলন কর-আত্মা যে দুঃখের অতীত কঠোর দুঃখের কারণের মধ্যে থাকিয় তাহার সাক্ষাৎকারের চেষ্টা কর—যাহা যুক্তি দ্বারা বুঝিলে তাহ অনুভব কর— তখন চিরকালের জন্য দুঃখের অবসান হইবে।” সিদ্ধার্থ দেখিলেন তাহা ঠিক নয়। তিনি বৈরাগ্যের উপদেশ দিলেন। কিন্তু মন্থ এপর্য্যন্ত কোনও মনুষ্যকেই দুঃখের পীরগামী দেখিলেন না । নব্য দর্শনশাস্ত্র হইতে “স্বৰ্গ” “মোক্ষ" বা “নিৰ্ব্বাণ" শব্দকে দূরীভূত করিতে হইবে। দর্শনশাস্ত্রের সীমায় মহষ্যকে স্বপছঃখের অধীন বলিয়া অঙ্গীকার করিতে হইলে । যুদ্ধ ও কপিল উভয়েই ভ্ৰমে পড়িয়াছিলেন স্বীকার করিতে হুইবে । দশন শাস্ত্রের সীমার - - يخ o - No - - _ r a-3 সাংখাম্বশন । মধ্যে আশা ও আশ্বাসের সমাচার এই যে, প্রকৃতিপুরুষের যেরূপ সম্বন্ধ তাহাতে কেহই অন্যের দাস নহে। প্রকৃতির দ্বাসত্বে আমাদের স্কুৎপিপাসা ও রোগ ও জরা ও মৃত্যু অপরিহার্য বটে-কিন্তু প্রকৃতি আমাদের এতটুকু আয়ত্ত্বাধীন যে, আমরা যত্ন করিলে কৃৎপিপাসা শান্তি করিতে পারি—বুধিয়া চলিতে পারিলে রোগের হস্ত অনেক এড়াইতে পারি - অকালবাৰ্দ্ধক্য ও অকালমৃত্যুও এড়াইতে পারি। জর মৃত্যু অপরিহার্য বটে-কিন্তু জরীর পূৰ্ব্বে জীবন নিতান্ত মন্দময়। প্রকৃতির রূপও মনোহর এবং অস্তৃত সৌন্দর্য্যময় ; সেইরূপ দর্শনের শক্তি যে আমাদের হইয়াছে ইহাও অল্প লাভের বিষয় নহে। কিসে দুঃখের অপচয় ও স্বথের উপায় হইবে, দর্শনশাস্ত্র সেই দিকেই লক্ষ্য রাখিতে আমাদিগকে উপদেশ দেস । - শ্ৰীকৃষ্ণ অৰ্জ্জুনকে যুদ্ধক্ষেত্রে বলিয়াছিলেন-"ম কৈব্যং গচ্ছ কৌন্তেয় !” অভ্রান্ত দর্শনশাস্ত্রও জীবনসংগ্রামের মধ্যে মনুষ্যকে বলে-“বা ক্লৈবাং গচ্ছ মানব ?" কপিলের দর্শন-সিদ্ধার্থ গৌতমের দর্শন এস্থলে উভয়েই ভ্রান্ত ; উভয়েই মনুষোর বীরত্বের হানিজনক , ক্লাব ভাবের উৎপাদক । • বৈরাগ্যপন্থী, উভয়েই মনুষ্যকে বিপথগামী করে। তদপেক্ষা প্রাচীন খরি যে বলিতেন— - “জীবনঃ থলু সংগ্রামে বুহে কম্বেশ্বয়ং। জাততায়িনৰtuছে: হল্যাম্বেশ্বাচিারাল।" ইহাতেই বরং যমুয্যের মনুষ্যত্ব রক্ষা পায়। জীবনের আততায়ী শাতাতপের বেশেই সমাগত হউক, ম্যালেরিয়া জয়ের Sggg BB BBB BBttttgg BBBttBBB DD gg gtt SLLLLLS BBB SBBHHBBBSBBB BBBS GGBBB 00S কপিলের তপস্যা মা যোগপন্থ, বুদ্ধের