পাতা:সাধনা (দ্বিতীয় বর্ষ).djvu/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శ్లో తిపి সাধন । কিন্তু ভাল লাগিল এ কথাটা বড় শীঘ্ৰ শেষ হইয়া যায়, সেটাে একটা রীতিমত প্রবন্ধাকারে প্রতিষ্ঠিত করিয়া তোলা সকল সমে স্বসাধা বোধ হয় না। - আবার, যথল ভাল লাগে, তথম,কেল ভাল লাগে, কেমন করিয়, ভাল লাগে তাহার চেতন থাকে না-উচ্ছসিত সংক্ষিপ্ত হর্ষধ্বনি ছাড়া মুখ দিয়া আর কিছু বাহির হয় না। সমালোচনা করিতে হইলে সেই অচেতন আনন্দকে নিতান্তই খোচা দিয়া দিয়া চেঞ্চল করিয়া তুলিতে হয়। আমি নিজেকে জেরা কলিয়া অবশেষে একটা নূতন উপমা প্রাপ্ত হুইয়াছি। সেইটা দিয়া সমালোচনা আরম্ভ করিব মনে । করিতেছি। লিপিতে লিখিতে ধদি আলো কিছু মনে পড়ে ত পরে বলিব । সাহিত্যরণরঙ্গভূমে কোন মহারণী ভীমের মত গদাযুদ্ধ করেন, আবার কেহব সব্যসাচী অর্জুনের মত কোদণ্ডে ক্ষিপ্ৰহস্ত। কেহ বা প্রকাও ভার লইয়া পাঠকের মস্তকের উপর নিপাতিত করেন, কেহ বা মুহূর্বের মধ্যে পুচ্ছবান অসংখ্য লঘু শত্রসমূহে উক্ত নিরুপায় নিঃসহায় বাক্তির একেবারে মৰ্ম্মস্থল বিদ্ধ করিয়া ফেলেন। সাহিত্য-কুরুক্ষেত্রে বঙ্কিম বাৰু সেই মহাবীর অর্জুন। তাহার বিছালামী শরজাল দশদিক আচ্ছন্ন করিয়া ছুটিতে —তাহারা অত্যন্ত লঘু, কিন্তু লক্ষ্য বিদ্ধ করিতে মুহূৰ্ত্ত কাল বিলম্ব করে না। রাজসিংহ প্রথম হইতে উল্টাইঙ্গা গেলে এই কথাটি বরিস্কার মনে হয়, যে, কোন ঘটনা কোন পরিচ্ছেদ কোথাও বসিয়া কালক্ষেপ করিতেছে না। সকলেই অবিশ্রাম চলিয়াছে। এবং সেই অগ্রসরগতিতে পাঠকের মন সবলে আকৃষ্ট হইয়া গ্রন্থের পরিণামের নিকে বিন আয়াসে ছুটিয়া চলিতেছে। রাজসিংহ । છેક ૧ এই অনিবাৰ্য্য অগ্রসর-গতি সঞ্চার করিবার জন্য বঙ্কিম বাবু তাহার প্রতোক পপিচ্ছেদ হইতে সমস্ত অনাবশ্বক ভার দূরে ফেলিয়া "দিয়াছেন। অনাবশ্যক কেন. অনেক আবখ্যক ভারও বর্জন করিয়া*ছেন, কেবল অত্যাবস্তাব টুকু রাপিয়াছেন মাত্র। কোন ভীরু লেখকের হতে পড়িলে ইহার মধ্যে অনেকগুলি - "পরিচ্ছেদে বড় বড় কৈফিয়ৎ বসিত। জবাবদিহির ভয়ে তাহাকে

অনেক কথা বাড়াইয়া লিপিতে হইত। সম্রাটের অন্তঃপুরের সধো প্রবেশ করিয়া বাদলাহজাদীর সহিত মোবারকের প্রণয়ব্যাপার, তাহাই লইয়া দুঃসাহসিকা আতরওয়ালী দলিয়া প্ৰগল্‌ভতা, চঞ্চলকুমারীর নিকুট আপন পরামর্শ ও পাঞ্জাসমেত যোধপুরী বেগমের দূতপ্রেরণ, সেনাপতির নিকট নৃত্যকৌশল দেখাইয়া ধরিয়ার পুরুষবেশী অশ্বারোহী সৈনিক সাজিবার সম্মতি গ্রহণ—এসমস্ত যে একেবারেই সস্তুবাৰ্তাত তাহ না হইতে পারে—কিন্তু ইহাদের সত্যতার বিশিষ্ট প্রমাণ আৰখ্যক । বঙ্কিম বাবু এক একটি ছোট ছোট পরিচ্ছেদে ইহাদিগকে এমন অবলীলাক্রমে আসঙ্কোচে ব্যক্ত করিয়া গেছেন যে কেহ তাহাকে সন্দেহ করিতে সাহস করে না । ভীতু লেখকের কলম এই সকল জায়গায় ইতস্তত করিত, অনেক কথা বলিত এবং অনেক কথা বলিতে গিয়াই পাঠকের সন্দেহ আরো বেশি করিয়া আকর্ষণ করিত। - বঙ্কিম বাৰু একে ত কোথাও কোনরূপ জবাবদিহি করেন নাই, তাহার উপরে আবার বাঝে মুঝে নির্দোষী পাঠকদিগকেও ধমক দিতে ছাড়েন নাই। মাণিকলাল যখন পথের মধ্যে হঠাৎ অপরিচিত নিৰ্ম্মলকুমারীকে তাহার সহিত এক ঘোড়ায় উঠিয়া বসিতে বলিল এবং নিৰ্ম্মল বঞ্চন তাহার নিকট বিবাহের প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করিয়া অবিলম্বে মালিকলালের অনুরোধ রক্ষা করিল, তখন লেম্বক কোথায়