পাতা:সাধনা (দ্বিতীয় বর্ষ).djvu/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধনা। م,{ = 4 তাহার স্বরচিত পাত্রগুলির এইরূপ অপূৰ্ব্বব্যবহারে কিঙ্কিং অপ্রতি হইবেন তাহ না হইয়া উন্টিয়া তিনি বিস্থিত পাঠকবর্গের প্রীি কটাক্ষপাত করিয়া বলিয়াছেন— “বোধ হয় কোর্টশিপূটা পাঠকের বড় ভাল লাগিল না। আমি কি করিব? ভালবাসাবাসির কথা একটাও নাই-বহুকালসঞ্চিত প্রণয়ের কথা কিছু নাই--"হে প্ৰাণ ৷” “হে প্রাণাধিক " সে সব কিছুই নাই—ধিক।" এই গ্রন্থবর্ণিত পান্নগণের চরিত্রের, বিশেষতঃ স্ত্রীচরিত্রের মধ্যে বড় একটা দ্রুততা আছে। তাছার বড় বড় সাহসের এবং নৈপুণ্যের কাজ করে অথচ তৎপূৰ্ব্বে যথেষ্ট ইতস্তত অথবা চিন্তা করে না। সুন্দরী বিদ্যুৎরেখার মত এক নিমেয়ে মেঘাবরোধ ছিন্ন করিয়া লক্ষোর উপর গিয়া পড়ে, কোন প্রস্তরভিত্তি সেই প্ৰলয়গতিকে বাধা দিতে পারে না । স্ত্রীলোক যপন কাজ করে তখন এমনি করিয়াই কাজ করে। তাহার সমগ্র মনপ্রাণ লইয়া বিবেচনা চিন্তা বিসর্জন দিয়া একেবারে অৰবিহিত ভাবে উদেশ্বসাধনে প্রবৃত্ত হয়। কিন্তু স্তুে হৃদয়বৃত্তি প্রবল হইয় তাহার প্রাতাহিক গৃহকৰ্ম্মদীমার বাহিরে তাহাকে অনিবাৰ্য্য বেগে আকর্ষণ করিয়া আনে, পাঠককে পূৰ্ব্ব হইতে তাহার একটা পরিচয় একটু সংবাদ দেওয়া আবশ্বক। বমি বাৰু তাহ পুরাপুরি দেন লাই। সেই জন্য রাজসিংহ প্রথম পড়িতে পড়িতে মনে হয় সহসা এই উপন্যাস জগৎ হইতে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব যেন অনেকটা হ্রাস হইয়া গিয়াছে। আমাদিগকে যেখানে কষ্ট্রে চলিতে হয় এই উপস্বাসের লোকেরা সেখানে লাফাইয়া চলিতে পারে। সংসারে আমরা চিন্ত শঙ্কা সংশয়ভারে ভারাক্রান্ত, কার্যাক্ষেত্রে যুগ্মধাই দ্বিষপরায়ণ, রাজসিংহ । 8 as মনের বোঝাটা বহিয়া বেড়াইতে হয়—কিন্তু রাজসিংহ-জগতে ,অধিকাংশ লোকের যেন আপনার ভার নাই। যাহারা আজকালকার ইংরাজি নভেল বেশি পড়ে তাহাদের কাছে এই লঘুতা বড় বিস্ময়জনক। আধুনিক ইংরাজি লভেলে .পদে পদে বিশ্লেষণ–একটা সামান্ততম কার্যের সহিত তাহার দূরতম কারণপরম্পরা গাথিয় দিয়া সেটাকে বৃহদাকার করিয়া তোলা হয়-ব্যাপারটা হয় ত ছোট কিন্তু তাহার নর্থটা বড় বিপৰ্য্যয়। আজকালকার নভেষ্টির কিছুই বাদ দিতে চানন, তাহাদের কাছে সকলই গুরুতর। এই জনা উপন্সাসে সংসারের ওজন ভয়ঙ্কর বাড়িয়া উঠিয়াছে। ইংরাজের কথা জানি না, কিন্তু আমাদের মত পাঠককে তাহাতে অত্যন্ত ক্লিষ্ট করে । এই জন্য আধুনিক উপন্যাস আরম্ভ করিতে ভয় হয়। মনে হয় BBBB BBBBBBB BB BBB BBBB BBBBB BBB সময় যথেষ্টল অপেক্ষা বেশী হইয়া পড়ে, আবার যদি সাহিতাও নিৰ্দ্দয় হয় তবে অার পলায়নের পথ থাকে না। সাহিত্যে আমরা জগতের সত্য চাই কিন্তু জগতের ডার চাহি না। কিন্তু সূতাকে সম্যক্ প্রতীয়মান করিয়া তুলিবার জঙ্ক কিয়ৎ পরিমাণে ভারের আবগুক, সেটুকু ভারে কেবল সত্য ভালরূপ অযুভুবগম্য হুইয়া হৃদয়ের আনন্দ উৎপাদন করে ; কল্পনাজগৎ প্রত্যক্ষবং দৃঢ় ও স্পশযোগ্য ও চিরস্থাীিরূপে প্রতিষ্ঠিত বোধ হয়। বঙ্কিম বালু রাজসিংহে সেই সালখক ডায়েরও কিয়দংশ যেন বাদ দিয়াছেন খোধ হয়। ভারে যেটুকু কম পড়িয়াছে গতির দ্বারায় তাৰা পূরণ করিয়াছেন। উপন্যাসের প্রত্যেক অংশ অগন্দিন্ধরূপে সম্ভবপর ও প্রশ্নসহ করিয়া তুলেন নাই, কিন্তু সমস্তটার উপর দিয়া এমন দ্রুত অবলীলাভঙ্গীতে চলিয়া গিয়াছেল যে প্রশ্ন করিবার আল