s সাময়িকপত্র-সম্পাদনে বঙ্গনারী বাগলার কথা। ১৩২৮ সালের ১৪ই আশিবন, শক্রবার (৩o সেপ্টেম্বর ১৯২১) দেশবন্ধ চিত্তরঞ্জন দাসের সম্পাদনায় “বাঙ্গলার নবযাগের সাপ্তাহিক মািখপত্ৰ” ‘বাঙ্গলার কথা” প্রকাশিত হয়। প্রথম সংখ্যায় ‘বাঙ্গলার কথা? প্রসঙ্গে সম্পাদক যাহা লিখিয়াছিলেন, তাহার কয়েক পংক্তি উদ্ধত করিতেছি : “আমাদের দেশের উন্নতিসাধন করতে হইলে আমাদের এই নব জাগ্রত জাতিত্বের প্রতি দলিট রাখিয়া আমাদের ইতিহাসের ধারাকে উপলব্ধি করিয়া ও সাক্ষী রাখিয়া আমাদের দেশের সকল দিকের বক্তমান অবস্থা আলোচনা করিতে হইবে এবং সেই আলোচনার ফলে কি কি উপায় অবলম্বন করিলে আমাদের সর্বভাবধৰ্ম্মম-সন্তগত অথচ সাব্বভৌমিক উন্নতি সাধিত হইতে পারে, তাহা নিদ্ধারিত করিতে হইবে। “আমার স্বদেশবাসীদের নিকট আমার প্রাণের নিবেদন এই যে, বাওগলার কথা যেন অচিরে বাঙ্গালীর কায্যে পরিণত হয়। সমবেত চেন্টা চাই, সকলের উদ্যম চাই, বাঙ্গালীর সবাৰ্থত্যাগ চাই। এই যে জীবন-যজ্ঞ, ইহা শািন্ধচিত্তে পবিত্ৰ-প্ৰাণে আরম্ভ করিতে হইবে। সকল বিদ্বেষ, সকল সাবাথ, ইহাতে আহিতি দিতে হইবে। ইহাতে বৰ্ণধৰ্ম্মমনিন্বিশেষে সকলকে আহবান করিতে হইবে। কৰ্ম্মক্ষেত্রে অনেক বাধা, অনেক বিঘা। অসহিষ্ণ হইলে চলিবে না, নিরাশ হইলে চলিবে না। যে অধিকার আজি আমরা দাবী করিতেছি, তাহা যক্তি-সপ্তগত, ন্যায়-সঙ্গত, আমাদের সর্বভাবধৰ্ম্ম-সওগাত, মানষের স্বাভাবিক অধিকার-সঙ্গত, আমাদের ধর্ম-সপ্তগত, জগতের ধৰ্ম্ম-সঙ্গত। এই অধিকার হইতে আমাদের কেহ। বাঁশগুত করিতে পারবে না। .. ” চিত্তরঞ্জন কারাবরণ করিলে তৎপত্নী বাসন্তী দেবী। ১২শ সংখ্যা (২৩ ডিসেম্বর ১৯২১) হইতে ‘বাঙ্গলার কথা’র সম্পপাদিক হন। ইহা একখানি উচ্চাঙ্গের পত্রিকা ছিল। ইহাতে শরৎ চন্দ্রের অনেক সলিখিত প্ৰবন্ধ স্থান পাইয়াছিল। দন্টান্তস্বরপ শিক্ষার বিরোধ,’ ‘স্বরাজ। সাধনায় নারী’ ‘সত্য ও মিথ্যা,’ ‘মহাত্মাজী’ প্রভৃতির উল্লেখ করা যাইতে পারে। নব্যভারত। এই সপরিচিত মাসিক পত্ৰখানি দেবীপ্রসন্ন রায় চৌধরিীর সম্পাদনার ১২৯o সালের জ্যৈষ্ঠ মাসে প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৩২৭ সালের ১৮ই আশি বন দেবীপ্রসনের মাতৃত্যু হইলে তৎপত্র প্রভাতকুসম রায় চৌধরিী ‘নব্যভারতের প্রচার অব্যাহত রাখেন। সম্পবৎসর-মধ্যে তাঁহার মাতুত্যু হইলে (১২ ভাদ্র ১৩২৮) ১৩২৮ সালের আশির্বন-কাতিক যম-সংখ্যা হইতে
পাতা:সাময়িকপত্র-সম্পাদনে বঙ্গনারী.pdf/২৪
অবয়ব