বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাময়িকপত্র-সম্পাদনে বঙ্গনারী.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

 ১৮

সাময়িকপত্র-সম্পাদনে বঙ্গনারী

"রথ দেখা আর কলা বেচা” একসঙ্গে করতে গেলে রথ-দশন সাৰ্থক হয় না, প্রাণের নিবেদন ঠাকুরের কাছে পৌছে না। আমরা অতঃপর ইহাকে মহিলাদের পক্ষে সর্ব্বতোভাবে উপযোগী একখানি আদশ মাসিক পত্রিকায় পরিণত করতে পেরেছি।" (চৈত্র ১৩০০)

প্রথম পাঁচ বর্ষ (১৩৩০-৩৪) সুরবালা দত্ত এবং পরবতী সপ্তম ও অষ্টম বর্ষের সপ্তম সংখ্যা পর্যন্ত সুশীলা নন্দী 'মাতৃ-মন্দিরে'র যুগ্ম-সম্পাদক ছিলেন। ইহার পর পত্ৰিকাখানির প্রচার রহিত হয়।

বঙ্গনারী। ১৩৩০ সালের আশ্বিন মাসে ময়মনসিংহ হইতে এই মাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। ইহার সম্পাদিকা চিন্ময়ী দেবী।

শ্রমিক। সন্তোষকুমারী গুপ্তার সম্পাদনায় এই নামের একখানি সাপত্তাহিক পত্রিকা ১৩৩১ সালে প্রকাশিত হয়।

ত্রিপুরা হিতৈষী। ৭০ বৎসরেরও অধিক কাল পাবে গুরুদয়াল সিংহের সম্পাদনায় কুমিল্লা হইতে এই সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রচারিত হয়। তাঁহার মত্যুর পর কমনীয়কুমার সিংহ পিতৃপ্রতিষ্ঠিত পত্রিকাখনি জীবিত রাখেন। ১৩৩১ (?) সালে কমনীয়কুমারের মৃত্যু হইলে তাঁহার বিধবা ঊর্মিলা সিংহ অনেক দিন ত্রিপুরা হিতৈষী’ পরিচালনা করিয়াছিলেন। (৫)

বঙ্গলক্ষ্মী। ১৩৩২ সালের অগ্রহায়ণ (১৯২৫, নবেম্বর) মাসে সরোজনলিনী দত্ত নারীমঙ্গল সমিতির মুখপত্রস্বরূপ “বঙ্গলক্ষ্মী’ প্ৰকাশিত হয়। ইহা একখানি সচিত্ৰ মাসিক পত্রিকা। প্রথম সংখ্যায় পত্রিকা প্রচারের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে এইরূপ লিখিত হয় : “বাংলা দেশের নগরে নগরে, গ্রামে গ্রামে, পল্লীতে পল্লীতে মহিলা-সমিতি স্থাপন করিয়া তথাকার নারীদিগের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতিসাধনের জন্য “সরোজনলিনী দত্ত নারীমঙ্গল সমিতি” নামে যে প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হইয়াছে তাহারই মুখপত্রস্বরূপ ‘বঙ্গলক্ষ্মী ’ বাংলার নারীসমাজের সেবার জন্য প্রকাশিত হইল। ইহাতে বাংলার মহিলাগণ কর্ত্তৃক পরিচালিত নানা জনহিতকর অনুন্ঠানের কথা, নারীশিক্ষার অবস্থা এবং নারীজাতির উন্নতিবিষয়ক প্রবন্ধাদি প্রকাশিত হইবে। ৫ দ্র, “প্রবাসী, অগ্রহায়ণ ১৩৩৬ ।