পাতা:সার ওয়াল্টার স্কটের গ্রন্থাবলী (তৃতীয় ভাগ).djvu/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

నట প্রত্যাশায় বিলম্ব করিতে লাগিল, কিন্তু এক কপর্দকও বৃদ্ধের পকেট হইতে বাহির হইল না। সোপানবলীর উপরে কাগজের তাড়া রাখিয়া বৃদ্ধ মিনিটপাচেক প্রথমোক্ত মাত্রী যুবকের দিকে মুখ ফিরাইয়া দাড়াইলেন। নিজের সোণার ঘড়ী বাছির করিয়া গির্জার ঘড়ীর সহিত মিলাইবার পর তিনি বুদ্ধা টিকিটবিক্রেত্ৰীকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, “মহাশয়,— --অারে ষা: নামটা মনে পড়ছে না—ষ্ঠা, ঠ্যা, মিসেস ম্যাকলুচার ” মিসেস ম্যাকলুচার বুঝিয়াছিল, এখনই কোন প্রসঙ্গের আলোচনা হইবে । সুতরাং সে তখনই উত্তর দিল না । কণ্ঠস্বর উচ্চে তুলিয়া বৃদ্ধ ভদ্রলোক ডাকিলেন, “মিসেস ম্যাকলুচার, ও ভাল মানুষের মেয়ে, ওরে বুড়ী মাগী, ভাল মুস্কিল, একেবারে বদ্ধকালা দেখছি! শোন না, মিসেস ম্যাক্লুচার ” " "আমি এখন খদেরকে জিনিষ দিচ্ছি -এতে দাম কম পড়বে।” বৃদ্ধ পর্য্যটক আবার বলিলেন, “ওগে বাছা ! আমরা কি সারাদিন এখানে দাড়িয়ে থাকৃৎ । তার তুমি ঐ চাকরাণীটার কাছ থেকে তার মাইনের অর্ধেক ঠকিয়ে নেবে ?” কলহের গন্ধ পাইয়া বৃদ্ধ বলিয়া উঠিল, “ঠকাব ? আপনার ও কথা আমি ঘৃণাভরে উপেক্ষা করি ! আপনি মোটেই ভদ্রলোক নন, আমার বাড়ীর সিঁড়িতে দাড়িয়ে আমন ক’রে আমায় গাল দিতে পাবেন না।” সঙ্গী যুবকের দিকে অপাঙ্গে দৃষ্টিপাত করিয়া বৃদ্ধ বাত্রী বলিলেন, “মেয়েমানুষটা কাজ বোঝে না। আরে আমি তোমাদের চরিত্রের উপর কটাক্ষ করছি না। আমি জানতে চাইছি, গাড়ী আসবে কখন ?” বধিরতার অভিনয় করিয়া বৃদ্ধ বলিল, “কি চান আপনি ?” •. যুবক যাত্রী বলিলেন, “ম্যাডাম্, আপনার গাড়ীতে ঘাষার জন্য আমরা টিকিট কিনেছি। কুইনসফেরী ঘাটে আমরা যাব। এতক্ষণ আমরা আধা পথ চ'লে যেতে পারতাম।” বৃদ্ধ যাত্রী বলিলেন, “এর পর জোয়ার চ'লে যাবে! ওপারে আমার জরুরী কাজ আছে। অথচ তোমার হতভাগা গাড়ী—“ বৃদ্ধ বলিল, “গাড়ী ? হা ভগবান! এখনও গাড়ী অালেনি ? আপনারাকি গাড়ীর জন্যই দা प्रांश्न मा क् ि?" - সার ওয়াটার স্বটের গ্রন্থাবলী “আরে বেয়াড়া মাগী ! না হ’লে কি রৌদ্রে । দাড়িয়ে মজা করবার জন্য এখানে রয়েছি ?” মিসেস ম্যাক্লুচার এবার উপরে উঠিয়া পপের দিকে দৃষ্টিপাত করিল। ভার পর বলিল, “কি মুদ্ধিল । এমন ব্যাপার কেউ কখনো দেখেছে ন কি ?” বৃদ্ধ যাত্রী বলিলেন, “ওরে পাজি মাগী, এমন অনেকবার হয়েছে । যারা তোমার মত বজ্জাত মাগর গাড়ছে চড়বে, তার আরো কতবার এরকম দৃষ্ঠ দেখবে * ' ক্রোধভরে বৃদ্ধ পাদচারণা করিতে লাগিলেন । ক্রোধভরে তিনি কত কপাট বলিয়। চলিলেন । যুবক যাত্রীর তেমন জরুরী প্রয়োজন ছিল না ; তিনি এ দৃষ্ঠে অভ্যস্তু কৌতুক অম্ভব করতে লাগিলেন । বৃদ্ধ ক্রোধাভরে বণিলেন, “ওগে। বাছ, এই বিজ্ঞাপনট তোমার ছাপান ত ? এতে কি তুমি ছাপিয়ে দেওনি যে, বেল ১২টায় গাড়ী ছাড়বে ? এ রকম মিথে। বিজ্ঞাপন দিলে কি শাস্তি হয়, ৩ জান ? জীবন ভোর ও মিথে কথাই থ'লে এসেছ ; এখন একটা সত্যি কথা বল। সত্যি তোমার ঐ নামের গাড়ী আছে, না জোচ্চরির মতলব ? সত্য, গাড়ী আছে কি ?” "আছে মশাই, আছে । তার তিনখান চাক। হলুদে রঙ্গের, একখান। কালে ” - “এ কথাও হয় ত বানিয়ে বলছ ভূমি। তোমার অসাধ্য কোম কাজ সেই "

  • অারে মশাই, আপনার দাম ছিল শিলিং ন হয় ফেরত নিন। আপনার কথা আমি আর শুনতে পারিলে ”

“অত চালাকি চলুবে না, বtছা । তিন শিলিংএ কি কুইন্‌ফেীতে এখন যাওয়া যাবে ? আমি তোমায়ু ছাড়ব না, ক্ষতিপূরণ তোমাকে দিতে হবে ।” এমন সময় রাজপথে গুরুগম্ভীর শব্দ হইল। একখানা জরাজীর্ণ গাড়ী সেখানে আপিয়া দাড়াইল । যাত্রীরা তখন তাড়াতাড়ি গাড়ীতে চড়িয়া বসিলেন । মাইল দুই পৰ্য্যস্ত গাড়ী বেশ চলিল । বৃদ্ধ যাত্রী অনেকক্ষণ উত্তেজিত হইয়া রছিলেন। তার পর ধীরে ধীরে তিনি প্রকৃতিস্থ হইলেন। ভাল করিয়া আসনে চাপিয়া বসিয়া বৃদ্ধ কাগজের তাড়া খুলিয়া পড়িতে লাগিলেন। সঙ্গী ধুবক র্তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন যে, তিনি অত মনোযোগ দিয়া কি পড়িতেছেন ? বৃদ্ধ বলিলেন যে, কাগজগুলি একখানি গ্রন্থের উপাদান। স্কটল্যাঞ্জে রোমকদিগের কি অবশেষ রছিয়া গিয়াছে, ঐ কাগজের তাড়া